০১:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আফগান অভিবাসীকে দেশত্যাগের নির্দেশ পাকিস্তানের

নথিভুক্ত নয় এমন প্রায় ১৭ লাখ ৩০ হাজার আফগান অভিবাসীকে স্বেচ্ছায় দেশত্যাগ বা নির্বাসনের মুখোমুখি হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তান সরকার। এক্ষেত্রে ১ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার দেশটির তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনওয়ার উল হক কাকার এবং উচ্চপর্যায়ের সরকারি ও সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তত্ত্বাবধায়ক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি।

সরফরাজ বুগতি জানান, চলতি বছর দেশে ২৪টি আত্মঘাতী বোমা হামলার মধ্যে ১৪টি আফগান নাগরিকদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছে। এ বিষয়ে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে।

বুগতি আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে যে কোনো দেশ বা তার নীতির চাইতে পাকিস্তানের নাগরিকদের নিরাপত্তা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। নিজেদের নাগরিকদের জান-মালের নিরাপত্তা রক্ষার্থে এই প্রথম আমরা এমন কোনো আদেশ দিচ্ছি।’

‘আগামী ১ নভেম্বরের মধ্যে সব অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকে নিজ দেশে ফেরত যেতে হবে। ১ নভেম্বরের পর থেকে অভিযানে নামবে আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। সে সময় যদি কোনো অবৈধ অনুপ্রবেশাকারী ধরা পড়েন, তাহলে তাদেরকে জোর করে নিজেদের দেশে পাঠানো হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যারা পাকিস্তান ছাড়তে না চায়, তাদের নির্বাসনের জন্য রাষ্ট্রের সব আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে ব্যবহার করা হবে।’

পাকিস্তান সরকারের তথ্য অনুসারে, প্রায় ৪৪ লাখ আফগান শরণার্থী দেশটিতে বাস করে। যার মধ্যে প্রায় ১৭ লাখ ৩০ হাজার আফগান অভিবাসীর দেশটিতে থাকার বৈধতা নেই।

উল্লেখ্য, পাকিস্তানে বসবাসরত আফগান শরণার্থীদের একটি অংশ পাকিস্তানে এসেছিলেন ১৯৭৯ সালে, আফগানিস্তানে সোভিয়েত আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর। তারপর ১৯৯৫-৯৬ সালে তালেবান সরকার প্রথমবারের মতো ক্ষমতা দখলের পর শরণার্থী হিসেবে আসেন আরও কয়েক লাখ শরণার্থী। এই শরণার্থীদের অধিকাংশই থাকেন পাকিস্তানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বেলুচিস্তানে।

আফগান অভিবাসীকে দেশত্যাগের নির্দেশ পাকিস্তানের

আপডেট : ০৬:৪২:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ অক্টোবর ২০২৩

নথিভুক্ত নয় এমন প্রায় ১৭ লাখ ৩০ হাজার আফগান অভিবাসীকে স্বেচ্ছায় দেশত্যাগ বা নির্বাসনের মুখোমুখি হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তান সরকার। এক্ষেত্রে ১ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার দেশটির তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনওয়ার উল হক কাকার এবং উচ্চপর্যায়ের সরকারি ও সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তত্ত্বাবধায়ক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি।

সরফরাজ বুগতি জানান, চলতি বছর দেশে ২৪টি আত্মঘাতী বোমা হামলার মধ্যে ১৪টি আফগান নাগরিকদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছে। এ বিষয়ে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে।

বুগতি আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে যে কোনো দেশ বা তার নীতির চাইতে পাকিস্তানের নাগরিকদের নিরাপত্তা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। নিজেদের নাগরিকদের জান-মালের নিরাপত্তা রক্ষার্থে এই প্রথম আমরা এমন কোনো আদেশ দিচ্ছি।’

‘আগামী ১ নভেম্বরের মধ্যে সব অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকে নিজ দেশে ফেরত যেতে হবে। ১ নভেম্বরের পর থেকে অভিযানে নামবে আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। সে সময় যদি কোনো অবৈধ অনুপ্রবেশাকারী ধরা পড়েন, তাহলে তাদেরকে জোর করে নিজেদের দেশে পাঠানো হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যারা পাকিস্তান ছাড়তে না চায়, তাদের নির্বাসনের জন্য রাষ্ট্রের সব আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে ব্যবহার করা হবে।’

পাকিস্তান সরকারের তথ্য অনুসারে, প্রায় ৪৪ লাখ আফগান শরণার্থী দেশটিতে বাস করে। যার মধ্যে প্রায় ১৭ লাখ ৩০ হাজার আফগান অভিবাসীর দেশটিতে থাকার বৈধতা নেই।

উল্লেখ্য, পাকিস্তানে বসবাসরত আফগান শরণার্থীদের একটি অংশ পাকিস্তানে এসেছিলেন ১৯৭৯ সালে, আফগানিস্তানে সোভিয়েত আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর। তারপর ১৯৯৫-৯৬ সালে তালেবান সরকার প্রথমবারের মতো ক্ষমতা দখলের পর শরণার্থী হিসেবে আসেন আরও কয়েক লাখ শরণার্থী। এই শরণার্থীদের অধিকাংশই থাকেন পাকিস্তানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বেলুচিস্তানে।