আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষেই শুধু সমীকরণ মেলাতে পারেননি কার্লো আনচেলত্তি। অরেলিয়াঁ চুয়ামেনিকে না খেলিয়ে টনি ক্রুস ও লুকা মদরিচকে একসঙ্গে নামিয়ে হেরে বসেছিলেন ৩-১ গোলে। এর আগে-পরে যেমনই খেলুক না কেন প্রতি ম্যাচেই জয় পেয়েছে রেয়াল মাদ্রিদ। গতকাল রাতেও তাই হলো।চ্যাম্পিয়নস লিগে নাপোলির মাঠ থেকে ৩-২ ব্যবধানে জিতে ফিরেছে মাদ্রিদ।
এ মৌসুমে অধিকাংশ ম্যাচেই প্রথমে পিছিয়ে পড়েছে মাদ্রিদ। গতকালও তাই হয়েছে। ১৯ মিনিটে একটি কর্নার বক্সে উড়ে এলে ফ্লাইট মিস করেন মাদ্রিদ গোলকিপার কেপা আরিসাবালাহা। ঠিকমতো বল ক্লিয়ার না করায় ফিরতি বল থেকে গোল করেন লিও অস্তিগর্দ। এর আগেও এ মৌসুমে কর্নারে কেপাকে ঝামেলায় পড়তে গেছে, মাদ্রিদের চোটাক্রান্ত গোলকিপার থিবো কোর্তোয়ার নির্ভরতা অন্তত উঁচু বলের ক্ষেত্রে দেখাতে পারছেন না বাস্ক অঞ্চলের গোলকিপার।
এ ব্যাপারে আনচেলত্তিকে প্রশ্ন করলে নিজের শিষ্যের ঢাল হয়েছেন ইতালিয়ান কোচ, ‘সব খেলোয়াড়েরই ভিন্ন চরিত্র আছে। সে উঁচু বলে একটু অস্বস্তিতে পড়ছে, কিন্তু সে ভালো সেভ করে। সবারই কোনো না কোনো দুর্বলতা আছে, এবং এটাই স্বাভাবিক। সে অনেক লম্বা না। সবাই তো নিখুঁত না। আমি এত হ্যান্ডসাম কিন্তু আমিও নিখুঁত না! আপনিও না।’
কেপার ভুলের পরও মাদ্রিদ প্রথমার্ধেই এগিয়ে যায়। ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও জুড বেলিংহামের দারুণ দুই গোল মাদ্রিদকে এগিয়ে দেয়।
এ ব্যাপারে আনচেলত্তির ব্যাখ্যা, ‘আমরা ভিনিসিয়ুসকে বলে দিয়েছি, যেখানে স্বচ্ছন্দ সেখানেই জায়গা খুঁজে নিতে। সে প্রায়ই বাঁ প্রান্ত ঘেঁষে খেলবে এবং সেটা যখনই হয়, বেলিংহাম সেটার সঙ্গে মানিয়ে নেয়। আমার ধারণা বেলিংহাম ও ভিনিসিয়ুসের ভালো জমে এবং বাঁ প্রান্তে এ দুজনের প্রেসিং অনেক বিপদের (প্রতিপক্ষের জন্য) জন্ম দেয়।’
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে নাপোলি আবার ম্যাচে ফিরলেও ৭৮ মিনিটে ফেদে ভালভার্দের একটা গোলা মাদ্রিদকে জয় এনে দেয়। ভালভার্দের জোরালো শট পুরোপুরি ঠেকাতে পারেননি নাপোলির গোলকিপার মেরেত। বল তাঁর হাতে লেগে ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। এবং তাঁর পিঠে লেগে গোলে চলে যায়!