বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে বিএনপি মিথ্যাচারের মাধ্যমে জাতিকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। পাশাপাশি বিএনপি মহাসচিব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদেশে চিকিৎসাগ্রহণের বিষয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন ওবায়দুল কাদের।
আজ বুধবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি তাদের চিরাচরিত অপরাজনীতি অব্যাহত রেখেছে। খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে মিথ্যাচারের মাধ্যমে জাতিকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকন্যার উদারতাকে বিএনপি মহাসচিব শুধু অসম্মানই করেনি, গোটা বিষয় নিয়ে অত্যন্ত উসকানিমূলক মন্তব্য করেছেন। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের আইন, বিচার প্রক্রিয়া ও সংবিধান সম্পর্কে দায়িত্বহীন বক্তব্য দিয়েছে। খালেদা জিয়ার অসুস্থতাকে পুঁজি করে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য জলঘোলা করার অপতৎপরতা চালাচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে বিএনপি মহাসচিবের মন্তব্যের জেরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘২০০৮ সালে শেখ হাসিনা কোনো দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন না। তার বিদেশ গমনে আদালতের কোনো নিষেধাজ্ঞা ছিল না। শেখ হাসিনা সর্বদা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তিনি তার বিরুদ্ধে দাখিল হওয়া সব মামলায় জামিন পাওয়ার পর যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই বিদেশে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন।’
বিবৃতিতে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী ক্ষমতাবলে তার সাজা বর্তমানে স্থগিত রয়েছে। তাকে বিদেশে যেতে হলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী আদালতের শরণাপন্ন হতেই হবে। বিষয়টি সম্পূর্ণ আদালতের এখতিয়ারাধীন। এ বিষয়ে রাজনীতি করার কোনো সুযোগ নেই।’
বিএনপি মহাসচিবের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও প্রতিপক্ষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘ইতিহাস জানে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। শুধু তাই নয়, খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিল। খালেদা জিয়াও বঙ্গবন্ধুর খুনি রশিদ ও হুদাকে ভোটারবিহীন নির্বাচনে পার্লামেন্টে বসিয়েছিল। খুনি খায়রুজ্জামানকে চাকরিতে পুনর্বহাল করে মন্ত্রণালয়ে চাকরি দিয়ে রাষ্ট্রদূত পদে নিয়োগ দিয়েছিল।’