বিশ্বের ৩৩তম পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারকারী দেশ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। রাশিয়া থেকে আসা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান আনুষ্ঠানিক হস্তান্তর হতে যাচ্ছে আগামীকাল বৃহস্পতিবার। হস্তান্তর অনুষ্ঠানটি অনলাইনে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
দেশের সবচেয়ে বড় একক প্রকল্প রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট। গেল ২৮ সেপ্টেম্বর রাশিয়া থেকে আসে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি, ইউরেনিয়াম। কড়া নিরাপত্তায় যা নেওয়া হয় রূপপুরে। বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই জ্বালানির চালান বুঝে নেবে বাংলাদেশ।
হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সাথে থাকবেন আন্তর্জাতিক পরমাণু সংস্থা আইএইএর মহাপরিচালক রাফায়েল ম্যারিয়ানো গ্রসি।
কর্তৃপক্ষ বলছে, রূপপুরের পরমাণু চুল্লির বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলবে আগামী এপ্রিল পর্যন্ত।
রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর পরমাণু চুল্লির বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা নিয়ে জানিয়েছেন, 'আগামী বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত যত ধরনের পরীক্ষা আছে যেমন, কোল্ড টেস্ট, হট টেস্টসহ যাবতীয় ফাংশনাল টেস্ট আমরা শেষ করে ফেলব। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে পুরোদমে এখান থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করা হবে। এখন পর্যন্ত বড় কোনো চ্যালেঞ্জ দেখছে না সরকার।'
প্রকল্প পরিচালক আরও জানান, 'বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ থেকে পরিচালনার যে ধাপগুলো রয়েছে এ পর্যন্ত সেগুলো সফলতার সাথে আমরা পার করে এসেছি।'
আর্থিক ও কারিগরি দিক দিয়ে দেশের বৃহত্তম প্রকল্পের অর্জন সবার বলে জানালেন বিজ্ঞানমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান।
আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে উৎপাদনে যাবে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট। এগিয়ে চলেছে দ্বিতীয় ইউনিটের কাজও।