বিদেশে যেতে বাধা দিয়ে বিনা চিকিৎসায় খালেদা জিয়াকে সরকার হত্যা করতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়াকে ‘অবৈধ সরকার’ হত্যা করতে চায়। তাই তাকে বিদেশ যেতে দিচ্ছে না।
আজ বুধবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে পেশাজীবী কনভেনশনে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো এবং সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে এই কনভেনশনের আয়োজন করে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ ও গণতান্ত্রিক পেশাজীবী ঐক্য পরিষদ।
এতে সারাদেশ থেকে আসা ২২টি পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মীরা যোগ দেয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, অতীতের মতো সরকার আবারও একতরফা নির্বাচনের জন্য একটা বাগান সাজিয়েছে। কিন্তু এবার জনগণ ও বিশ্বসম্প্রদায় এতে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই পদত্যাগ ছাড়া সরকারের আগামী নির্বাচন নিয়ে কোনো পরিকল্পনাই বাস্তবায়ন হবে না।
দেশ রক্ষার আন্দোলন চলছে উল্লেখ করে হাসপাতালে গুরুতর অসুস্থ হলেও বেগম খালেদা জিয়া কোনো কিছুর সাথে আপোস করবেন না বলেও সাফ জানান মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘‘খালেদা জিয়া স্পস্ট বলেছেন, গণতন্ত্রের প্রশ্নে কোন আপোন নেই।’ কোন শর্ত মেনে বিদেশে যাবেন না খালেদা জিয়া।’’
বিএনপি মহাসচিব জানান, শান্তিপূর্ণ আন্দোলইে সরকারের পতন ঘটাতে চান তারা। তবে তাদের গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে এবার বাধা দিলে কোনো ছাড় দেয়া হবে না বলেও জানান তিনি।
কনভেনশনে আ স ম আব্দুর রব বলেন, সরকার বেআইনিভাবে ক্ষমতায় আছে, খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। কোনো আইনের দোহায় দিয়ে নয়, মানবিক দিক বিবেচনায় তাঁকে বিদেশে পাঠাতে হবে। খালেদা জিয়া এভাবে মারা গেলে সরকারের পরিণতি ভয়াবহ হবে।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, জনগণ চায় খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে রাজনীতি করুক। সরকার এবার আগে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে এরপর নির্বাচনের কথা আসবে।
এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, পেশাজীবীরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে পেতে চায়, এক দফার প্রতি পেশাজীবী কনভেনশন একাত্মতা ঘোষণা করছে। খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও তাঁর পছন্দমতো জায়গায় চিকিৎসার সুযোগ দিতে হবে।