ঢাকা ০৫:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ইরানের বন্দর আব্বাসের গ্যাস স্থাপনা, ইস্পাহানের পারমাণবিক স্থাপনা এবং তেহরানের অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুতে বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে: ইসরায়েলি মিডিয়া :::: ইরানের রাজধানী তেহরান, হরমোজগান, কেরমানশাহ, পশ্চিম আজারবাইজান, লোরেস্তান ও খুজেস্তানসহ ইরানের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে নতুন করে তীব্র হামলা চালিয়েছে ইসরাইল :::: ইরানের ওপর ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়ে চীনের শীর্ষ কূটনীতিক বলেছেন, কূটনৈতিক উপায় 'এখনো শেষ হয়ে যায়নি' :::: ইসরায়েল-ইরান সংঘাত নিয়ে আলোচনা করলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান ও সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট শারা :::: ইসরাইলি হামলায় ইরানের এসফাহান পরমাণু স্থাপনার চারটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে: আইএইএ :::: ইরানে ইসরায়েলি হামলাকে 'অসহনীয়' বলল জাপান :::: ইরানের প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের সঙ্গে কথা বললেন ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ :::: ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনালাপে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়েছেন কাতারের শেখ তামিম :::: ইরানের সামরিক বাহিনী বলছে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলের ১০টি বিমান ভূপাতিত করা হয়েছে :::: ইরানের গ্যাসক্ষেত্রে বেসামরিক অবকাঠামোতে ইসরাইলি হামলা ::: তেহরানে অ্যাপার্টমেন্ট ব্লক হামলায় নিহত ৪০

বিপদসীমার উপরে তিস্তার পানি

সিকিমে আকস্মিক বন্যা, বাংলাদেশে ক্ষতিগ্রস্তের আশঙ্কা

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:০৩:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৫০৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য সিকিমের চুংথাম এলাকায় প্রবল বৃষ্টিতে প্রাকৃতিক জলাধার ফেটে পানি গিয়ে ঢুকছে তিস্তায়। ফলে বিপদসীমার উপরে তিস্তার পানি। আকস্মিক বন্যায় উত্তর সিকিমের লোনাক হ্রদে ২৩ সেনা সদস্য নিখোঁজ হয়েছেন।

আজ সোমবার ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।

আকস্মিক বন্যার পানিতে কালিম্পংয়ে ভেসে গেছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। চুংথামে ভেঙে গেছে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ড্যাম। নর্থ সিকিমের সিংতামের কাছে তিস্তায় প্রবল জলোচ্ছ্বাস।

এদিকে তিস্তার প্রবল জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্ত সেনা ছাউনি। সূত্রের খবর, সেনা ছাউনি থেকে নিখোঁজ ২৩ সেনা জওয়ান। তলিয়ে গেছে একাধিক সেনার গাড়ি।

জানা যায়, প্রবল বৃষ্টির জেরে উত্তর সিকিমের লোনক লেকে ফাটল ধরে। সেই লেকের বিপুল পরিমাণ জলে চুংথাম বাঁধ ভেঙে তা নামছে তিস্তা নদীতে। তাতেই তিস্তার জলস্তর প্রায় ১৫-২০ ফুট বেড়ে যায়। রাতে বন্যার পানি ঢুকে পড়ে পাহাড়ি গ্রাম গুলোতে। স্থানীয় বাসিন্দা জানাচ্ছেন যে, আচমকাই জলস্তর দোতলা বাড়ির সমান বেড়ে যায়।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর সূত্রে জানা যায়, আজ সিংতামে যে সেনার ছাউনি ছিল সেই ছাউনিতে বন্যার পানি প্রবেশ করে। তিস্তা নদীর পানিতে তলিয়ে যায় সেনাবাহিনীর ৪১টি গাড়ি। খোঁজ মিলছে না ২৩ জওয়ানের। তারা ভেসে গিয়েছে নাকি পাহাড়ের খাদে পড়ে গিয়েছে তা জানতে পারা যায়নি। শুরু হয়েছে তল্লাশি। এর মধ্যে আবার ধস নামতে শুরু হয়েছে। এত বড় ঘটনা সিকিমের বুকে এই প্রথম জানাচ্ছেন সেনাবাহিনী।

এদিকে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ড্যাম ভেঙে যাওয়ায় জলপাইগুড়ির তিস্তায় দু-কূল ছাপিয়ে বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের সমতলে। বিপদ এড়াতে নদীর পারের বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরানো হয়েছে।

এদিকে সিকিম সরকার প্রদেশটিতে উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে এবং জনগণকে তিস্তা নদী থেকে দূরে থাকতে বলেছে। পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি প্রশাসন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে নদীর নিম্ন জলাধার এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া শুরু করেছে।

মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং একটি ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় কেউ আহত হয়নি তবে সরকারি সম্পত্তির অনেক ক্ষতি হয়েছে। সিংটামে কিছু লোক নিখোঁজ হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে। ত্রাণ তৎপরতা চলছে।

বুধবার (৪ অক্টোবর) সকাল সাত’টা নাগাদ গজলডোবা তিস্তা ব্যারেজ থেকে সকাল ৯টায় ২ লক্ষ ৫১ হাজার ৫৩৫ কিউসেক পানি ছাড়া হয়েছে। যা এখনও পর্যন্ত এ বছরের পরিমাণের সর্বোচ্চ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সমস্ত রকমের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।

এদিকে তিস্তা নদী সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশে করেছে। ফলে গাজলডোবা, দোমোহনি, মেখলিগঞ্জ, ঘিস, বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিপদসীমার উপরে তিস্তার পানি

সিকিমে আকস্মিক বন্যা, বাংলাদেশে ক্ষতিগ্রস্তের আশঙ্কা

আপডেট সময় : ০৬:০৩:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ অক্টোবর ২০২৩

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য সিকিমের চুংথাম এলাকায় প্রবল বৃষ্টিতে প্রাকৃতিক জলাধার ফেটে পানি গিয়ে ঢুকছে তিস্তায়। ফলে বিপদসীমার উপরে তিস্তার পানি। আকস্মিক বন্যায় উত্তর সিকিমের লোনাক হ্রদে ২৩ সেনা সদস্য নিখোঁজ হয়েছেন।

আজ সোমবার ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।

আকস্মিক বন্যার পানিতে কালিম্পংয়ে ভেসে গেছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। চুংথামে ভেঙে গেছে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ড্যাম। নর্থ সিকিমের সিংতামের কাছে তিস্তায় প্রবল জলোচ্ছ্বাস।

এদিকে তিস্তার প্রবল জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্ত সেনা ছাউনি। সূত্রের খবর, সেনা ছাউনি থেকে নিখোঁজ ২৩ সেনা জওয়ান। তলিয়ে গেছে একাধিক সেনার গাড়ি।

জানা যায়, প্রবল বৃষ্টির জেরে উত্তর সিকিমের লোনক লেকে ফাটল ধরে। সেই লেকের বিপুল পরিমাণ জলে চুংথাম বাঁধ ভেঙে তা নামছে তিস্তা নদীতে। তাতেই তিস্তার জলস্তর প্রায় ১৫-২০ ফুট বেড়ে যায়। রাতে বন্যার পানি ঢুকে পড়ে পাহাড়ি গ্রাম গুলোতে। স্থানীয় বাসিন্দা জানাচ্ছেন যে, আচমকাই জলস্তর দোতলা বাড়ির সমান বেড়ে যায়।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর সূত্রে জানা যায়, আজ সিংতামে যে সেনার ছাউনি ছিল সেই ছাউনিতে বন্যার পানি প্রবেশ করে। তিস্তা নদীর পানিতে তলিয়ে যায় সেনাবাহিনীর ৪১টি গাড়ি। খোঁজ মিলছে না ২৩ জওয়ানের। তারা ভেসে গিয়েছে নাকি পাহাড়ের খাদে পড়ে গিয়েছে তা জানতে পারা যায়নি। শুরু হয়েছে তল্লাশি। এর মধ্যে আবার ধস নামতে শুরু হয়েছে। এত বড় ঘটনা সিকিমের বুকে এই প্রথম জানাচ্ছেন সেনাবাহিনী।

এদিকে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ড্যাম ভেঙে যাওয়ায় জলপাইগুড়ির তিস্তায় দু-কূল ছাপিয়ে বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের সমতলে। বিপদ এড়াতে নদীর পারের বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরানো হয়েছে।

এদিকে সিকিম সরকার প্রদেশটিতে উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে এবং জনগণকে তিস্তা নদী থেকে দূরে থাকতে বলেছে। পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি প্রশাসন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে নদীর নিম্ন জলাধার এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া শুরু করেছে।

মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং একটি ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় কেউ আহত হয়নি তবে সরকারি সম্পত্তির অনেক ক্ষতি হয়েছে। সিংটামে কিছু লোক নিখোঁজ হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে। ত্রাণ তৎপরতা চলছে।

বুধবার (৪ অক্টোবর) সকাল সাত’টা নাগাদ গজলডোবা তিস্তা ব্যারেজ থেকে সকাল ৯টায় ২ লক্ষ ৫১ হাজার ৫৩৫ কিউসেক পানি ছাড়া হয়েছে। যা এখনও পর্যন্ত এ বছরের পরিমাণের সর্বোচ্চ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সমস্ত রকমের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।

এদিকে তিস্তা নদী সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশে করেছে। ফলে গাজলডোবা, দোমোহনি, মেখলিগঞ্জ, ঘিস, বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।