ঢাকা ০৫:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

এক বিশ্বকাপে স্বাগতিক ছয় দেশ!

ক্রীড়া ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৭:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৪২৯ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

একটা বিশ্বকাপের জন্য প্রতিবেশি দুই দেশকে আয়োজক হতে দেখেছে ফুটবল, প্রতিবেশি তিন দেশ মিলিয়ে আয়োজনও খুব একটা আশ্চর্যজনক মনে হয় না। কিন্তু ২০৩০ ফুটবল বিশ্বকাপকে ঘিরে যে চোখ কপালে তোলা এক সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিফা। তা যেন বিতর্ক আরও উসকে দেয়!

সিদ্ধান্তটা কার্যত এই – ২০৩০ বিশ্বকাপে আয়োজক হবে ছয় দেশ! এবং সেই ছয় দেশও যে কাছাকাছি তা নয়। তিন মহাদেশের ছয় দেশ মিলে আয়োজন করবে বিশ্বকাপ! ইউরোপের পর্তুগাল ও স্পেন, এই দুই দেশের খুব কাছে আফ্রিকা মহাদেশের মরক্কো আর দক্ষিণ আমেরিকার তিন প্রতিবেশি দেশ উরুগুয়ে, আর্জেন্টিনা ও প্যারাগুয়ে। এই ছয় দেশের ছয়টিই সরাসরি বিশ্বকাপে সুযোগ পাবে।

অবশ্য এখানে একটু ‘কিন্তু’ আছে। মূলত আয়োজক হিসেবে থাকবে পর্তুগাল, স্পেন ও মরক্কো। কিন্তু ওদিকে ২০৩০ বিশ্বকাপ যেহেতু ইতিহাসের প্রথম বিশ্বকাপের শতবর্ষপূর্তিতে হচ্ছে, তাই প্রথম সে বিশ্বকাপের আয়োজক উরুগুয়ের পাশাপাশি আর্জেন্টিনা ও প্যারাগুয়েতে টুর্নামেন্টের প্রথম তিনটি ম্যাচ রাখবে ফিফা!

এখনো সিদ্ধান্তটা চূড়ান্ত ঘোষণা হিসেবে আসেনি। আপাতত আজ ফিফা কাউন্সিলে সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে, চূড়ান্ত ঘোষণা আসবে ২০২৪ সালে ফিফা কনফারেন্সের পর। তার আগে স্বাগতিক হতে বিড করে সাফল্য পাওয়া তিন দেশ পর্তুগাল-স্পেন-মরক্কো সব শর্ত পূরণ করছে কি না, সেটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে।

ফিফার সিদ্ধান্তটা যে কারণে পাগলাটে মনে হচ্ছে তা হলো, পর্তুগাল-স্পেন-মরক্কোর পাশাপাশি ২০৩০ বিশ্বকাপের স্বাগতিক হতে যৌথভাবে বিড করেছিল আর্জেন্টিনা-উরুগুয়ে-প্যারাগুয়ে ও চিলিও। লাতিন চার দেশের বিডের যুক্তিই ছিল, ২০৩০ বিশ্বকাপ হবে উরুগুয়েতে আয়োজিত ১৯৩০ বিশ্বকাপের শতবর্ষপূর্তি। তাদের বিশ্বকাপ না দিয়ে পর্তুগাল-স্পেন-মরক্কোকে বিশ্বকাপের আয়োজক বানিয়ে আবার লাতিন তিন দেশে তিনটি ম্যাচ রাখার অর্থ খুঁজে পেতে গলদঘর্ম হচ্ছেন অনেকেই।

ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো জানিয়েছেন, লাতিন তিন দেশে যে তিন ম্যাচ রাখা হয়েছে, তার প্রথমটি হবে উরুগুয়ের রাজধানী মন্তেভিদিওর কিংবদন্তিতূল্য এস্তাদিও সেন্তেনারিও স্টেডিয়ামে। ওই স্টেডিয়ামেই ১৯৩০ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচটি হয়েছিল কিনা!

তা উরুগুয়ে ১৯৩০ বিশ্বকাপের আয়োজক হিসেবে লাতিন তিন দেশের একটি হিসেবে তাদের বেছে নেয়ার কারণ সহজেই বোঝা যায়, বাকি দুই দেশকে কীসের ভিত্তিতে বেছে নেয়া হলো? আর্জেন্টিনা ছিল ১৯৩০ বিশ্বকাপের রানার্সআপ, সে হিসেবে তাদের বেছে নেয়া হচ্ছে। আর প্যারাগুয়েকে বেছে নেয়ার কারণ? ১৯৩০ বিশ্বকাপের সময়ে ফুটবলে একটাই আঞ্চলিক সংগঠন ছিল – দক্ষিণ আমেরিকান কনফেডারেশন (কনমেবল), আর কনমেবলের সদর দপ্তর প্যারাগুয়েতে!

এখন পর্যন্ত যা সিদ্ধান্ত, তাতে উরুগুয়ে, আর্জেন্টিনা ও প্যারাগুয়ে ২০৩০ বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচটি খেলবে নিজ নিজ দেশে। এরপর ওই তিন দেশ এবং ওই তিন ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ – এই ছয় দেশ উড়াল দেবে পর্তুগাল-স্পেন-মরক্কোর উদ্দেশে!

ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর বক্তব্য অনুযায়ী, ‘বিভক্ত এই বিশ্বকাপই ফুটবলকে এক করছে!’ বটে!

নিউজটি শেয়ার করুন

এক বিশ্বকাপে স্বাগতিক ছয় দেশ!

আপডেট সময় : ০৪:৪৭:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ অক্টোবর ২০২৩

একটা বিশ্বকাপের জন্য প্রতিবেশি দুই দেশকে আয়োজক হতে দেখেছে ফুটবল, প্রতিবেশি তিন দেশ মিলিয়ে আয়োজনও খুব একটা আশ্চর্যজনক মনে হয় না। কিন্তু ২০৩০ ফুটবল বিশ্বকাপকে ঘিরে যে চোখ কপালে তোলা এক সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিফা। তা যেন বিতর্ক আরও উসকে দেয়!

সিদ্ধান্তটা কার্যত এই – ২০৩০ বিশ্বকাপে আয়োজক হবে ছয় দেশ! এবং সেই ছয় দেশও যে কাছাকাছি তা নয়। তিন মহাদেশের ছয় দেশ মিলে আয়োজন করবে বিশ্বকাপ! ইউরোপের পর্তুগাল ও স্পেন, এই দুই দেশের খুব কাছে আফ্রিকা মহাদেশের মরক্কো আর দক্ষিণ আমেরিকার তিন প্রতিবেশি দেশ উরুগুয়ে, আর্জেন্টিনা ও প্যারাগুয়ে। এই ছয় দেশের ছয়টিই সরাসরি বিশ্বকাপে সুযোগ পাবে।

অবশ্য এখানে একটু ‘কিন্তু’ আছে। মূলত আয়োজক হিসেবে থাকবে পর্তুগাল, স্পেন ও মরক্কো। কিন্তু ওদিকে ২০৩০ বিশ্বকাপ যেহেতু ইতিহাসের প্রথম বিশ্বকাপের শতবর্ষপূর্তিতে হচ্ছে, তাই প্রথম সে বিশ্বকাপের আয়োজক উরুগুয়ের পাশাপাশি আর্জেন্টিনা ও প্যারাগুয়েতে টুর্নামেন্টের প্রথম তিনটি ম্যাচ রাখবে ফিফা!

এখনো সিদ্ধান্তটা চূড়ান্ত ঘোষণা হিসেবে আসেনি। আপাতত আজ ফিফা কাউন্সিলে সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে, চূড়ান্ত ঘোষণা আসবে ২০২৪ সালে ফিফা কনফারেন্সের পর। তার আগে স্বাগতিক হতে বিড করে সাফল্য পাওয়া তিন দেশ পর্তুগাল-স্পেন-মরক্কো সব শর্ত পূরণ করছে কি না, সেটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে।

ফিফার সিদ্ধান্তটা যে কারণে পাগলাটে মনে হচ্ছে তা হলো, পর্তুগাল-স্পেন-মরক্কোর পাশাপাশি ২০৩০ বিশ্বকাপের স্বাগতিক হতে যৌথভাবে বিড করেছিল আর্জেন্টিনা-উরুগুয়ে-প্যারাগুয়ে ও চিলিও। লাতিন চার দেশের বিডের যুক্তিই ছিল, ২০৩০ বিশ্বকাপ হবে উরুগুয়েতে আয়োজিত ১৯৩০ বিশ্বকাপের শতবর্ষপূর্তি। তাদের বিশ্বকাপ না দিয়ে পর্তুগাল-স্পেন-মরক্কোকে বিশ্বকাপের আয়োজক বানিয়ে আবার লাতিন তিন দেশে তিনটি ম্যাচ রাখার অর্থ খুঁজে পেতে গলদঘর্ম হচ্ছেন অনেকেই।

ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো জানিয়েছেন, লাতিন তিন দেশে যে তিন ম্যাচ রাখা হয়েছে, তার প্রথমটি হবে উরুগুয়ের রাজধানী মন্তেভিদিওর কিংবদন্তিতূল্য এস্তাদিও সেন্তেনারিও স্টেডিয়ামে। ওই স্টেডিয়ামেই ১৯৩০ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচটি হয়েছিল কিনা!

তা উরুগুয়ে ১৯৩০ বিশ্বকাপের আয়োজক হিসেবে লাতিন তিন দেশের একটি হিসেবে তাদের বেছে নেয়ার কারণ সহজেই বোঝা যায়, বাকি দুই দেশকে কীসের ভিত্তিতে বেছে নেয়া হলো? আর্জেন্টিনা ছিল ১৯৩০ বিশ্বকাপের রানার্সআপ, সে হিসেবে তাদের বেছে নেয়া হচ্ছে। আর প্যারাগুয়েকে বেছে নেয়ার কারণ? ১৯৩০ বিশ্বকাপের সময়ে ফুটবলে একটাই আঞ্চলিক সংগঠন ছিল – দক্ষিণ আমেরিকান কনফেডারেশন (কনমেবল), আর কনমেবলের সদর দপ্তর প্যারাগুয়েতে!

এখন পর্যন্ত যা সিদ্ধান্ত, তাতে উরুগুয়ে, আর্জেন্টিনা ও প্যারাগুয়ে ২০৩০ বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচটি খেলবে নিজ নিজ দেশে। এরপর ওই তিন দেশ এবং ওই তিন ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ – এই ছয় দেশ উড়াল দেবে পর্তুগাল-স্পেন-মরক্কোর উদ্দেশে!

ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর বক্তব্য অনুযায়ী, ‘বিভক্ত এই বিশ্বকাপই ফুটবলকে এক করছে!’ বটে!