ঢাকা ১২:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

নক্ষত্রের উজ্জ্বলতাকেও ছাড়িয়ে গেল বিশেষ স্যাটেলাইট

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:২২:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৪৪৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অনেক সময় রাতের আকাশে দেখতে পাওয়া অতিউজ্জ্বল বস্তুটি নক্ষত্র কিংবা মহাজাগতিক বস্তু নয়। এটি ব্লুওয়াকার থ্রি নামের একটি বিশালাকার কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ। এটির উজ্জ্বলতা আকাশে দৃশ্যমান ৯৯ শতাংশ নক্ষত্রকে ছাড়িয়ে যায়, নেচার সাময়িকীতে সোমবার (২ অক্টোবর) প্রকাশিত প্রবন্ধে এমনটি উঠে এসেছে।

অন্যান্য কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহের সঙ্গে পৃথিবীর চারদিকে ঘুরছে এই বিশালাকার ব্লুওয়াকার থ্রি। মহাকাশে পর্যটন পাঠাতে ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেস এক্স এককভাবে পাঁচ হাজারের বেশি স্যাটেলাইট পাঠিয়েছে। সারাবিশ্বের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো জানিয়েছে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে পৃথিবীর কক্ষপথে তারা অন্তত পাঁচ লাখ স্যাটেলাইট পাঠাবে। এসব কিছু নিয়ে জ্যেতির্বিজ্ঞানীরা শঙ্কা করছেন যে এতে মহাকাশ পর্যবেক্ষণ প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হতে পারে।

মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাকাশচারী পেট্রিক সইটজার জানিয়েছেন, বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে স্যাটেলাইটের উজ্জ্বলতার কোন সীমা-পরিসীমা নেই। আগামী কয়েক বছরে পৃথিবীর কক্ষপথে আরও অনেক উজ্জ্বল ও বিশালাকার কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ পাঠানো হবে, যেগুলোর অবস্থান রাতের আকাশের মানচিত্র বা রূপকেই পুরোপুরি বদলে দেবে।

টেক্সাসভিত্তিক টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান এএসটি স্পেসমোবাইল ব্লুওয়াকার থ্রি নামের এই স্যাটেলাইটটি গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর উৎক্ষেপণ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক সারাবিশ্বে পৌঁছে দিতে এমন উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। স্যাটেলাইটটির অনেকগুলো অ্যান্টিনা ঢেকে রাখার জন্যে একটি সাদা আবরণ ব্যবহার করা হয়েছে যা সূর্যের রশ্মিকে প্রতিবিম্বিত করবে। এই প্রতিফলন এতোটাই তীব্র যে তা চাঁদের প্রতিফলনের মতোই পৃথিবীকে সন্ধ্যার সময় আলোকিত করবে।

মহাকাশ গবেষকরা এই স্যাটেলাইটটিকে যুক্তরাষ্ট্র, চিলি, মেক্সিকো, নিউজিল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস ও মরক্কো থেকে দেখতে পান। এই স্যাটেলাইটটিকে খালি চোখে উজ্জ্বল ভেনাস এবং নর্থ স্টারের চেয়েও বেশি উজ্জ্বল দেখায়।
মহাকাশ গবেষকরা জানিয়েছেন, পৃথিবীর কক্ষপথে খুব কাছ দিয়ে ঘূর্ণীয়মান স্যাটেলাইটগুলোর উজ্জ্বলতা সবচেয়ে বেশি হতে পারে সাত প্লাস ম্যাগনিচিউটের। ব্লুওয়াকারের উজ্জ্বলতা হচ্ছে তিন প্লাস ম্যাগনিচিউট।

নিউজটি শেয়ার করুন

নক্ষত্রের উজ্জ্বলতাকেও ছাড়িয়ে গেল বিশেষ স্যাটেলাইট

আপডেট সময় : ০৯:২২:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৩

অনেক সময় রাতের আকাশে দেখতে পাওয়া অতিউজ্জ্বল বস্তুটি নক্ষত্র কিংবা মহাজাগতিক বস্তু নয়। এটি ব্লুওয়াকার থ্রি নামের একটি বিশালাকার কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ। এটির উজ্জ্বলতা আকাশে দৃশ্যমান ৯৯ শতাংশ নক্ষত্রকে ছাড়িয়ে যায়, নেচার সাময়িকীতে সোমবার (২ অক্টোবর) প্রকাশিত প্রবন্ধে এমনটি উঠে এসেছে।

অন্যান্য কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহের সঙ্গে পৃথিবীর চারদিকে ঘুরছে এই বিশালাকার ব্লুওয়াকার থ্রি। মহাকাশে পর্যটন পাঠাতে ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেস এক্স এককভাবে পাঁচ হাজারের বেশি স্যাটেলাইট পাঠিয়েছে। সারাবিশ্বের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো জানিয়েছে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে পৃথিবীর কক্ষপথে তারা অন্তত পাঁচ লাখ স্যাটেলাইট পাঠাবে। এসব কিছু নিয়ে জ্যেতির্বিজ্ঞানীরা শঙ্কা করছেন যে এতে মহাকাশ পর্যবেক্ষণ প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হতে পারে।

মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাকাশচারী পেট্রিক সইটজার জানিয়েছেন, বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে স্যাটেলাইটের উজ্জ্বলতার কোন সীমা-পরিসীমা নেই। আগামী কয়েক বছরে পৃথিবীর কক্ষপথে আরও অনেক উজ্জ্বল ও বিশালাকার কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ পাঠানো হবে, যেগুলোর অবস্থান রাতের আকাশের মানচিত্র বা রূপকেই পুরোপুরি বদলে দেবে।

টেক্সাসভিত্তিক টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান এএসটি স্পেসমোবাইল ব্লুওয়াকার থ্রি নামের এই স্যাটেলাইটটি গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর উৎক্ষেপণ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক সারাবিশ্বে পৌঁছে দিতে এমন উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। স্যাটেলাইটটির অনেকগুলো অ্যান্টিনা ঢেকে রাখার জন্যে একটি সাদা আবরণ ব্যবহার করা হয়েছে যা সূর্যের রশ্মিকে প্রতিবিম্বিত করবে। এই প্রতিফলন এতোটাই তীব্র যে তা চাঁদের প্রতিফলনের মতোই পৃথিবীকে সন্ধ্যার সময় আলোকিত করবে।

মহাকাশ গবেষকরা এই স্যাটেলাইটটিকে যুক্তরাষ্ট্র, চিলি, মেক্সিকো, নিউজিল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস ও মরক্কো থেকে দেখতে পান। এই স্যাটেলাইটটিকে খালি চোখে উজ্জ্বল ভেনাস এবং নর্থ স্টারের চেয়েও বেশি উজ্জ্বল দেখায়।
মহাকাশ গবেষকরা জানিয়েছেন, পৃথিবীর কক্ষপথে খুব কাছ দিয়ে ঘূর্ণীয়মান স্যাটেলাইটগুলোর উজ্জ্বলতা সবচেয়ে বেশি হতে পারে সাত প্লাস ম্যাগনিচিউটের। ব্লুওয়াকারের উজ্জ্বলতা হচ্ছে তিন প্লাস ম্যাগনিচিউট।