ইউক্রেনে আমেরিকার সহায়তা অনিশ্চিয়তার মুখে পড়েছে। নতুন অর্থবছরে কিয়েভের জন্য তহবিল বরাদ্দে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকারের ওপর নির্ভরশীল ছিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে স্পিকার পদচ্যুত হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে এখনই তহবিল বরাদ্দ করা সম্ভব হবে না।
এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে প্রয়োজনীয় অস্ত্রের অভাবে সম্ভাব্য অগ্রগতি লাভ সম্ভব হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে জব্দ করা ইরানী গোলাবারুদ ইউক্রেনে পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
চলমান যুদ্ধে আমেরিকা ও পশ্চিমা মিত্রদের সহায়তায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়ছে ইউক্রেন। ২০২১ সালে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ইউক্রেনকে ১১ হাজার তিনশ’ কোটি ডলারের সামরিক, মানবিক ও আর্থিক সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। চলতি অর্থবছরেও দুই হাজার চারশ’ কোটি ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ওয়াশিংটন। তবে সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসে যে ব্যয় নির্বাহ বিল পাস হয়েছে তাতে ইউক্রেনের জন্য কোনো বরাদ্দ নেই। ইউক্রেনের জন্য একটি পৃথক সহায়তা বিলের পরিকল্পনা করেছিল বাইডেন প্রশাসন।
কিন্তু মার্কিন কংগ্রেসের হাউস স্পিকার পদচ্যুত হওয়ায় নতুন বরাদ্দ অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। তবে, ইউক্রেনে সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। প্রয়োজনে নতুন পরিকল্পনা করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে, অপর্যাপ্ত অস্ত্র ও গোলাবারুদ যুদ্ধক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। রাশিয়ার বিরুদ্ধেসাফল্য অর্জন করতে এই মুহুর্তে আরও অস্ত্রের প্রয়োজনীয়তার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
এই পরিস্থিতিতে জব্দ করা ইরানের অস্ত্র ও গোলারুদ ইউক্রেনে পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। গত সোমবার ১০ লাখ ইরানী গোলাবারুদ ইউক্রেনে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে আমেরিকার সেনাবাহিনী। এমন সময় জব্দ করা ইরানি অস্ত্র ইউক্রেনে পাঠানো হলো যখন পশ্চিমা দেশগুলো নিজেদের মজুত ফুরিয়ে যাওয়া নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছে এবং কিয়েভকে অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রাখা নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে।