নাটক এবং গদ্যের মাধ্যমে না বলা অভিব্যক্তিকে ভাষায় রূপ দেওয়ায় সাহিত্যে নোবেল পেলেন নরওয়ের সাহিত্যিক ইয়ন ফসে। সাহিত্যে নোবেল জয় একইসাথে অভিভূত ও ভীত হওয়ার মতোই অনুভূতি বলে মনে করেন এই সাহিত্যিক। নোবেল কমিটি তাঁর নাম ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার এক প্রতিক্রিয়ায় এমনটাই জানান ইয়ন ফসে।
সাহিত্যে নোবেল পাওয়া নরওয়ের সাহিত্যিক ইয়ন ফসে বলেন, ‘আমি খুব অভিভূত। আবার আমার ভয়ও করছে। আমি এই পুরস্কারকে সাহিত্যের জন্য এমন একটি পুরস্কার হিসেবে দেখি, যা অন্য বিবেচনা ছাড়াই প্রথম এবং সবার আগে সাহিত্যের হওয়ারই লক্ষ্য রাখে।’
এনডিটিভি বলছে, ইয়ন ফসে নরওয়ের সবচেয়ে কম ব্যবহৃত ভাষায় লেখালেখি করেন। এই পুরস্কারকে তাঁর দেশের সেই ভাষার প্রতি স্বীকৃতি বলেই মনে করেন তিনি। ‘নতুন নরওয়েজিয়ান’ হিসেবে এই ভাষা পরিচিত। দেশটির মাত্র ১০ শতাংশ মানুষ এই ভাষায় কথা বলে।
এই ভাষা উনিশ শতকে গ্রামীণ উপভাষাগুলোর সাথে বিকশিত হয়েছিল। এটি ডেনমার্কের ভাষার প্রভাব থেকে বের হতে ও সেই ভাষা ব্যবহারের বিকল্প হিসেবে তৈরি হয়।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় বিকাল পাঁচটায় স্টকহোমে অবস্থিত সুইডিশ একাডেমির সংবাদ সম্মেলন কক্ষে ইয়ন ফসের নাম ঘোষণা করা হয়। পুরস্কার পর্ষদের প্রধান তুলে ধরেন তাদের সিদ্ধান্তের পক্ষে নানা যুক্তি।
ইয়ন ফসে একাধারে লেখক ও নাট্যকার। নোবেল কমিটি জানিয়েছে, নিপীড়িত মানুষের কণ্ঠের প্রতিনিধিত্বকারী নাটক এবং কথাসাহিত্যের জন্যই তিনি জগৎ বিখ্যাত নাট্যকার হয়ে ওঠেন। তিনি তাঁর গদ্যের জন্যও ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। সাহিত্য তাঁর এ অসামান্য অবদানের জন্য তাঁকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। ১৯৫৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর নরওয়ের হাউজসুন্ডে জন্ম এই লেখক ও নাট্যকারের।