ঢাকা ০৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

গরিবের নাগালে নেই সবজির বাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৭:০২:১২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৩৪৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে প্রতিদিনই বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। সবজির বাজার গরিবের হাতের নাগালে আর নেই। দেশজুড়ে টানা বৃষ্টির অজুহাত দেখিয়ে আবারও চড়া রাজধানীর কাঁচাবাজারে। সবজি থেকে মুদি পণ্য প্রায় সবকিছুর দাম উর্ধ্বমুখি। বিশেষ করে সবজির দাম বেড়েছে বেশি। এতে বাজারে গিয়ে স্বস্তি পাচ্ছে না নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষেরা। পেঁয়াজ, আলু ও ডিমে সরকারের বেধে দেয়া দামও মানছেন না ব্যবসায়ীরা। ক্রেতাদের অভিযোগ, বেশি লাভের আশায় অযৌক্তিকভাবে বৈরী আবহাওয়াকে কারণ দেখিয়ে ব্যবসায়ীরা সব পণ্যের অতিরিক্ত দাম নিচ্ছে।

বাজারে প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। কাঁচা পেপে ছাড়া কোনো সবজির দাম এখন আর ৫০ টাকার নিচে নেই। আগাম শীতকালীন সবজিগুলোর দাম তো চড়া রয়েছেই। সিম বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজিতে, ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা প্রতি পিস।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আলুর দাম ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা নির্ধারণ করে দেয় সরকার। তবে বাজার ঘুরে দেখা যাচ্ছে ৪৫ টাকা কেজি দরেও বিক্রি হচ্ছে আলু। সরকারের বেঁধে দেওয়া দাম কেউেই মানছে না, আগের সেই চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে এই তিন পণ্য। বেঁধে দেওয়া দাম অনুযায়ী আলুর কেজি ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা, পেঁয়াজের দাম ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা ও প্রতি পিস ডিম বিক্রি হওয়ার কথা ছিল ১২ টাকা। কিন্তু সেই জায়গায় প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৯০ টাকা ও আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা কেজি করে। এছাড়া প্রতি পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩.৭৫ টাকা করে।

রাজধানীর রায়ের বাজার সিটি করপোরেশন মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, এই বাজারে ফুলকপি-বাধাঁকপি ৬০ টাকা, শালগম ৮০ টাকা কেজি, গাজর ১২০ টাকা, সিম ২০০, বেগুন ৯০ টাকা ও শসা ৭০ টাকা এবং পেঁপে কেজি প্রতি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। আকার ভেদে লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। লম্বা ও গোল বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা, যা আগে ছিল ৮০ টাকা।

ভারতীয় টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়, আগে এর কেজি ছিল ১২০ টাকা। করলার কেজি ৮০-৯০ টাকা। চাল কুমড়া প্রতিটি ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০, পটল ৬০, ঢেঁড়স ৬০, কচুর লতি ৮০ মুলা ৫০ টাকা, বরবটি ১০০ ও ধুন্দুল ৭০-৮০ টাকা কেজি।

বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা, আগে কেজি ছিল ২০০ থেকে ২২০ টাকা। এছাড়া বাজারে কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা।

এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। গত সপ্তাহে ১৮০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া সেই ব্রয়লার এখন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা। অন্যদিকে মাছ, গরু ও খাসির মাংসের দাম আগের মতোই অপরিবর্তত আছে। খাসির মাংস আগের মতোই ১১০০ টাকা ও গরুর মাংস ৭৫০-৭৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, লেয়ার মুরগি ৩১৫ টাকা, পাকিস্তানি ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এবং দেশি মুরগি আগের মতোই ৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রূপচাঁদা কেজি ১০৫০ টাকা, পাঙাশ ২৫০ টাকা, রুই মাছ ৩৫০-৩৮০ টাকা, কাতল কেজি ৪৫০ টাকা, কই মাছ ৩০০ টাকা, তেলাপিয়া ২৮০ টাকা, পাবদা মাছ ৪৫০ টাকা, শিং মাছ ৫০০-৫৫০ টাকা এবং চিংড়ি প্রতি কেজি ৭০০-৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে খোলা চিনি প্রতি কেজি ১৩৫-১৪০ টাকা। বাজারে খোলা আটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। প্যাকেট আটার কেজি ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ২ কেজির প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। এসব বাজারে দেশি মসুরের ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা। ইন্ডিয়ান মসুরের ডালের কেজি ৯৫-১০০ টাকা।

সয়াবিন তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৭৮ টাকা। এসব বাজারে লবণের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

গরিবের নাগালে নেই সবজির বাজার

আপডেট সময় : ০৭:০২:১২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ অক্টোবর ২০২৩

সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে প্রতিদিনই বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। সবজির বাজার গরিবের হাতের নাগালে আর নেই। দেশজুড়ে টানা বৃষ্টির অজুহাত দেখিয়ে আবারও চড়া রাজধানীর কাঁচাবাজারে। সবজি থেকে মুদি পণ্য প্রায় সবকিছুর দাম উর্ধ্বমুখি। বিশেষ করে সবজির দাম বেড়েছে বেশি। এতে বাজারে গিয়ে স্বস্তি পাচ্ছে না নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষেরা। পেঁয়াজ, আলু ও ডিমে সরকারের বেধে দেয়া দামও মানছেন না ব্যবসায়ীরা। ক্রেতাদের অভিযোগ, বেশি লাভের আশায় অযৌক্তিকভাবে বৈরী আবহাওয়াকে কারণ দেখিয়ে ব্যবসায়ীরা সব পণ্যের অতিরিক্ত দাম নিচ্ছে।

বাজারে প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। কাঁচা পেপে ছাড়া কোনো সবজির দাম এখন আর ৫০ টাকার নিচে নেই। আগাম শীতকালীন সবজিগুলোর দাম তো চড়া রয়েছেই। সিম বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজিতে, ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা প্রতি পিস।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আলুর দাম ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা নির্ধারণ করে দেয় সরকার। তবে বাজার ঘুরে দেখা যাচ্ছে ৪৫ টাকা কেজি দরেও বিক্রি হচ্ছে আলু। সরকারের বেঁধে দেওয়া দাম কেউেই মানছে না, আগের সেই চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে এই তিন পণ্য। বেঁধে দেওয়া দাম অনুযায়ী আলুর কেজি ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা, পেঁয়াজের দাম ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা ও প্রতি পিস ডিম বিক্রি হওয়ার কথা ছিল ১২ টাকা। কিন্তু সেই জায়গায় প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৯০ টাকা ও আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা কেজি করে। এছাড়া প্রতি পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩.৭৫ টাকা করে।

রাজধানীর রায়ের বাজার সিটি করপোরেশন মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, এই বাজারে ফুলকপি-বাধাঁকপি ৬০ টাকা, শালগম ৮০ টাকা কেজি, গাজর ১২০ টাকা, সিম ২০০, বেগুন ৯০ টাকা ও শসা ৭০ টাকা এবং পেঁপে কেজি প্রতি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। আকার ভেদে লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। লম্বা ও গোল বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা, যা আগে ছিল ৮০ টাকা।

ভারতীয় টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়, আগে এর কেজি ছিল ১২০ টাকা। করলার কেজি ৮০-৯০ টাকা। চাল কুমড়া প্রতিটি ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০, পটল ৬০, ঢেঁড়স ৬০, কচুর লতি ৮০ মুলা ৫০ টাকা, বরবটি ১০০ ও ধুন্দুল ৭০-৮০ টাকা কেজি।

বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা, আগে কেজি ছিল ২০০ থেকে ২২০ টাকা। এছাড়া বাজারে কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা।

এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। গত সপ্তাহে ১৮০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া সেই ব্রয়লার এখন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা। অন্যদিকে মাছ, গরু ও খাসির মাংসের দাম আগের মতোই অপরিবর্তত আছে। খাসির মাংস আগের মতোই ১১০০ টাকা ও গরুর মাংস ৭৫০-৭৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, লেয়ার মুরগি ৩১৫ টাকা, পাকিস্তানি ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এবং দেশি মুরগি আগের মতোই ৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রূপচাঁদা কেজি ১০৫০ টাকা, পাঙাশ ২৫০ টাকা, রুই মাছ ৩৫০-৩৮০ টাকা, কাতল কেজি ৪৫০ টাকা, কই মাছ ৩০০ টাকা, তেলাপিয়া ২৮০ টাকা, পাবদা মাছ ৪৫০ টাকা, শিং মাছ ৫০০-৫৫০ টাকা এবং চিংড়ি প্রতি কেজি ৭০০-৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে খোলা চিনি প্রতি কেজি ১৩৫-১৪০ টাকা। বাজারে খোলা আটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। প্যাকেট আটার কেজি ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ২ কেজির প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। এসব বাজারে দেশি মসুরের ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা। ইন্ডিয়ান মসুরের ডালের কেজি ৯৫-১০০ টাকা।

সয়াবিন তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৭৮ টাকা। এসব বাজারে লবণের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকা।