০৪:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু পাকিস্তানের

  • ক্রীড়া ডেস্ক
  • আপডেট : ০৪:৪৬:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ অক্টোবর ২০২৩
  • ৭৬ দেখেছেন

পাকিস্তানের দেয়া ২৮৭ রানের জবাবে নেদারল্যান্ডস ২০৫ রানেই গুটিয়ে গেছে। ফলে বিশ্বকাপ মিশনের প্রথম ম্যাচ বড় জয় দিয়েই শুরু করেছে পাকিস্তান। ডাচদের বিপক্ষে বাবর আজমরা জয় পেয়েছে ৮১ রানের।

২৮৬ রান করে পাকিস্তান চাপেই পড়েছিল। তৃতীয় উইকেটে নেদারল্যান্ডস পাল্টা জবাব দিলে বাবর আজমদের ঘাম ছুটেছিল। শেষ পর্যন্ত ডাচদের সেই লড়াই থামিয়ে পাকিস্তান তাদের বিশ্বকাপ শুরু করলো জয় দিয়ে।

এই বিশ্বকাপে তাঁর খেলারই কথা ছিল না! নাসিম শাহ চোটে পড়াতেই বিশ্বকাপের দলে জায়গা মিলেছে। হায়দরাবাদে আজ সেই হাসান আলী নিয়েছেন দুই উইকেট।

আর হারিস রউফ তো এই মুহুর্তে বিশ্বের সেরা পেসারদেরই একজন। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষেও আজ গতির প্রদর্শনী রেখেছেন তিনি, নিয়েছেন তিন উইকেট।

হাসান আর হারিস – ‘হা-হা’র সৌজন্যেই হায়দরাবাদে আজ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সহজে জিতে গেছে পাকিস্তান। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের মাটিতে চলমান বিশ্বকাপে পাকিস্তানের পথচলা শুরু হলো ৮১ রানের বিশাল জয়ে।

ব্যাটিংয়ে শুরুটা ভালো না হলেও মাঝে রিজওয়ান ও সউদ শাকিলের দুটি ৬৮ রানের ইনিংস এবং শেষদিকে নওয়াজ-শাদাব-শাহিন-হারিস…এই চার ব্যাটসম্যানের সৌজন্যে পাওয়া ১০০ রানে ভর করে ২৮৬ রান করে পাকিস্তান। প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস বলে, আর পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণ অসাধারণ বলেই বাবরদের জয়ের সম্ভাবনাই বেশি ছিল। রেকর্ডও বলছিল পাকিস্তানের জয়ের সম্ভাবনার কথা – বিশ্বকাপে পাকিস্তান ২৭৫ রানের বেশি করে যে কখনো হারেনি!

তবু বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ধসিয়ে দেয়া নেদারল্যান্ডসের অঘটনের সম্ভাবনাও তো ছিল। হারিস আর হাসানের পাশাপাশি পাকিস্তানের সব বোলার মিলেমিশে উইকেট নিয়ে অঘটন-টঘটনের সম্ভাবনা মিলিয়ে দিলেন বাতাসে।

পাকিস্তানের ছয় বোলার বোলিং করেছেন, উইকেট পেয়েছেন সবাই-ই। হারিস আর হাসানের উইকেট তো শুরুতেই জানলেন, একটি করে উইকেট নিয়েছেন শাহিন, ইফতিখার, নওয়াজ ও শাদাব। বাকি উইকেটটি রানআউট।

নেদারল্যান্ডের হয়ে বল হাতে ৪ উইকেট নেয়া বাস ডে লেইডে ব্যাট হাতেও আলো ছড়িয়েছেন, ৬৮ বলে ৬৭ রানের ইনিংসে অনেকটা সময় পর্যন্ত ডাচদের পথে রেখেছিলেন। ফিফটি করেছেন ওপেনার বিক্রমজিত সিংও (৬৭ বলে ৫২)। কিন্তু এর বাইরে শেষদিকে লোগান ফন ডি বিকের (২৮*) বাইরে আর কেউ বিশের ঘরেও যেতে পারেননি। ৪১ ওভারেই গুটিয়ে গেছে ২০৫ রানে।

পাকিস্তানের ইনিংসের উল্টো পথেই হেঁটেছে নেদারল্যান্ডসের ইনিংস। পাকিস্তানের শুরুটা ভালো হয়নি, নেদারল্যান্ডসের ভালো হয়নি শেষটা। শেষ ৮ উইকেট ডাচরা হারিয়েছে ৮৫ রানে। তৃতীয় উইকেটে বিক্রমজিত ও ডে লেইডের ৭০ রানের জুটিতে ২৪তম ওভারের মধ্যেই ১২০ রান হয়ে গিয়েছিল নেদারল্যান্ডসের। কিন্তু সে ওভারের পঞ্চম বলে দলকে ১২০ রানে রেখে বিক্রমজিত ফিরলেন, তারপর ডে লেইডেই যা ছিলেন ভরসা হয়ে। ৩৪তম ওভারে সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে ডে লেইডেও যখন ফেরেন, নেদারল্যান্ডসের রান ১৬৪। মজার ব্যাপার, ডে লেইডেকে ফিরিয়েছেন নওয়াজ, যাঁকে বাবর আজম বলেছিলেন, ‘তুমিই আমার ম্যাচ উইনার!’

আজ ম্যাচ জয় বলতে গেলে নিশ্চিত করে দেয়া উইকেটটা তো নওয়াজই নিলেন!

শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা

জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু পাকিস্তানের

আপডেট : ০৪:৪৬:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ অক্টোবর ২০২৩

পাকিস্তানের দেয়া ২৮৭ রানের জবাবে নেদারল্যান্ডস ২০৫ রানেই গুটিয়ে গেছে। ফলে বিশ্বকাপ মিশনের প্রথম ম্যাচ বড় জয় দিয়েই শুরু করেছে পাকিস্তান। ডাচদের বিপক্ষে বাবর আজমরা জয় পেয়েছে ৮১ রানের।

২৮৬ রান করে পাকিস্তান চাপেই পড়েছিল। তৃতীয় উইকেটে নেদারল্যান্ডস পাল্টা জবাব দিলে বাবর আজমদের ঘাম ছুটেছিল। শেষ পর্যন্ত ডাচদের সেই লড়াই থামিয়ে পাকিস্তান তাদের বিশ্বকাপ শুরু করলো জয় দিয়ে।

এই বিশ্বকাপে তাঁর খেলারই কথা ছিল না! নাসিম শাহ চোটে পড়াতেই বিশ্বকাপের দলে জায়গা মিলেছে। হায়দরাবাদে আজ সেই হাসান আলী নিয়েছেন দুই উইকেট।

আর হারিস রউফ তো এই মুহুর্তে বিশ্বের সেরা পেসারদেরই একজন। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষেও আজ গতির প্রদর্শনী রেখেছেন তিনি, নিয়েছেন তিন উইকেট।

হাসান আর হারিস – ‘হা-হা’র সৌজন্যেই হায়দরাবাদে আজ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সহজে জিতে গেছে পাকিস্তান। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের মাটিতে চলমান বিশ্বকাপে পাকিস্তানের পথচলা শুরু হলো ৮১ রানের বিশাল জয়ে।

ব্যাটিংয়ে শুরুটা ভালো না হলেও মাঝে রিজওয়ান ও সউদ শাকিলের দুটি ৬৮ রানের ইনিংস এবং শেষদিকে নওয়াজ-শাদাব-শাহিন-হারিস…এই চার ব্যাটসম্যানের সৌজন্যে পাওয়া ১০০ রানে ভর করে ২৮৬ রান করে পাকিস্তান। প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস বলে, আর পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণ অসাধারণ বলেই বাবরদের জয়ের সম্ভাবনাই বেশি ছিল। রেকর্ডও বলছিল পাকিস্তানের জয়ের সম্ভাবনার কথা – বিশ্বকাপে পাকিস্তান ২৭৫ রানের বেশি করে যে কখনো হারেনি!

তবু বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ধসিয়ে দেয়া নেদারল্যান্ডসের অঘটনের সম্ভাবনাও তো ছিল। হারিস আর হাসানের পাশাপাশি পাকিস্তানের সব বোলার মিলেমিশে উইকেট নিয়ে অঘটন-টঘটনের সম্ভাবনা মিলিয়ে দিলেন বাতাসে।

পাকিস্তানের ছয় বোলার বোলিং করেছেন, উইকেট পেয়েছেন সবাই-ই। হারিস আর হাসানের উইকেট তো শুরুতেই জানলেন, একটি করে উইকেট নিয়েছেন শাহিন, ইফতিখার, নওয়াজ ও শাদাব। বাকি উইকেটটি রানআউট।

নেদারল্যান্ডের হয়ে বল হাতে ৪ উইকেট নেয়া বাস ডে লেইডে ব্যাট হাতেও আলো ছড়িয়েছেন, ৬৮ বলে ৬৭ রানের ইনিংসে অনেকটা সময় পর্যন্ত ডাচদের পথে রেখেছিলেন। ফিফটি করেছেন ওপেনার বিক্রমজিত সিংও (৬৭ বলে ৫২)। কিন্তু এর বাইরে শেষদিকে লোগান ফন ডি বিকের (২৮*) বাইরে আর কেউ বিশের ঘরেও যেতে পারেননি। ৪১ ওভারেই গুটিয়ে গেছে ২০৫ রানে।

পাকিস্তানের ইনিংসের উল্টো পথেই হেঁটেছে নেদারল্যান্ডসের ইনিংস। পাকিস্তানের শুরুটা ভালো হয়নি, নেদারল্যান্ডসের ভালো হয়নি শেষটা। শেষ ৮ উইকেট ডাচরা হারিয়েছে ৮৫ রানে। তৃতীয় উইকেটে বিক্রমজিত ও ডে লেইডের ৭০ রানের জুটিতে ২৪তম ওভারের মধ্যেই ১২০ রান হয়ে গিয়েছিল নেদারল্যান্ডসের। কিন্তু সে ওভারের পঞ্চম বলে দলকে ১২০ রানে রেখে বিক্রমজিত ফিরলেন, তারপর ডে লেইডেই যা ছিলেন ভরসা হয়ে। ৩৪তম ওভারে সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে ডে লেইডেও যখন ফেরেন, নেদারল্যান্ডসের রান ১৬৪। মজার ব্যাপার, ডে লেইডেকে ফিরিয়েছেন নওয়াজ, যাঁকে বাবর আজম বলেছিলেন, ‘তুমিই আমার ম্যাচ উইনার!’

আজ ম্যাচ জয় বলতে গেলে নিশ্চিত করে দেয়া উইকেটটা তো নওয়াজই নিলেন!