০২:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নির্বাচন নিয়ে এত কথায় প্রধানমন্ত্রীর সন্দেহ

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেশ–বিদেশে নানা আলোচনাকে সন্দেহের চোখে দেখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার বিকেলে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যোগদান ও যুক্তরাজ্য সফর নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, তখন এত মাতামাতি কেন? সন্দেহ হয় রে… এখন তো এটাই বলতে হয়।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমাদের পররাষ্ট্রনীতি খুবই স্পষ্ট। আমরা সবার সাথে বন্ধুত্ব রেখে চলি। আমাদের দেশের কিছু লোক নির্বাচন নিয়ে বেশি কথা বলে। যারা নির্বাচন বয়কট করেছে, ভোট চুরি করেছে, আজ তাদের কাছে শুনতে হয় সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা। যখন তারা ভোট চুরি করেছে তখন তো এত উদ্বেগ দেখি নি।’

গত কয়েকটি নির্বাচনের ফল তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি পায় ২৯ সিট। ২০ দলীয় জোট মিলিয়ে ৩০টা। ২০১৪ সালের নির্বাচন ঠেকাতে গিয়ে তারা অগ্নিসন্ত্রাস করল। তাদের অবরোধ ও মানুষ হত্যা আমরা দেখলাম। ২০১৮ তে ৩০০ আসনে ৭০০ নমিনেশন দিয়ে নিজেরাই মারামারি করে সরে গেল। এখন তাদের মুখেই নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা শুনি। আমার প্রশ্ন, যখন মিলিটারি ডিক্টেটর ক্ষমতায় ছিল, আমরা সংগ্রাম করেছি ভোট ও অধিকারের জন্য। নির্বাচনের সংস্কারগুলো, ভোটের অধিকার বিষয়ে সচেতনা তৈরি, এগুলো তো আওয়ামী লীগই করেছে। এর জন্য, বহু মানুষকে রক্ত দিতে হয়েছে। আমাকে নির্বাচন শেখাতে হবে না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভোটের জন্য সংগ্রাম আমরাই করেছি। আমরা একটানা ক্ষমতায় আছি বলেই অর্থনৈতিক উন্নতি হয়েছে। ২৯ বছর যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা কি করেছে? তখন একবেলা খাবার জুটতো না। বিদেশ থেকে পুরাতন কাপড় এনে পরাতো। যতটুকু মানুষ পাচ্ছে, এটা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পাচ্ছে। এখন এত প্রশ্ন আসে কেন? একটা দেশ যে এত দ্রুত উন্নতি করছে, এটা কি সকলের মাথাব্যথা কিনা। এই সন্দেহ আমারও আছে। অবাধ নির্বাচনের জন্য তো আমিই তাদের বলেছি। গণতন্ত্র তো আমরাই প্রতিষ্ঠিত করেছি।’

নির্বাচন নিয়ে এত কথায় প্রধানমন্ত্রীর সন্দেহ

আপডেট : ১১:৪১:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ অক্টোবর ২০২৩

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেশ–বিদেশে নানা আলোচনাকে সন্দেহের চোখে দেখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার বিকেলে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যোগদান ও যুক্তরাজ্য সফর নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, তখন এত মাতামাতি কেন? সন্দেহ হয় রে… এখন তো এটাই বলতে হয়।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমাদের পররাষ্ট্রনীতি খুবই স্পষ্ট। আমরা সবার সাথে বন্ধুত্ব রেখে চলি। আমাদের দেশের কিছু লোক নির্বাচন নিয়ে বেশি কথা বলে। যারা নির্বাচন বয়কট করেছে, ভোট চুরি করেছে, আজ তাদের কাছে শুনতে হয় সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা। যখন তারা ভোট চুরি করেছে তখন তো এত উদ্বেগ দেখি নি।’

গত কয়েকটি নির্বাচনের ফল তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি পায় ২৯ সিট। ২০ দলীয় জোট মিলিয়ে ৩০টা। ২০১৪ সালের নির্বাচন ঠেকাতে গিয়ে তারা অগ্নিসন্ত্রাস করল। তাদের অবরোধ ও মানুষ হত্যা আমরা দেখলাম। ২০১৮ তে ৩০০ আসনে ৭০০ নমিনেশন দিয়ে নিজেরাই মারামারি করে সরে গেল। এখন তাদের মুখেই নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা শুনি। আমার প্রশ্ন, যখন মিলিটারি ডিক্টেটর ক্ষমতায় ছিল, আমরা সংগ্রাম করেছি ভোট ও অধিকারের জন্য। নির্বাচনের সংস্কারগুলো, ভোটের অধিকার বিষয়ে সচেতনা তৈরি, এগুলো তো আওয়ামী লীগই করেছে। এর জন্য, বহু মানুষকে রক্ত দিতে হয়েছে। আমাকে নির্বাচন শেখাতে হবে না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভোটের জন্য সংগ্রাম আমরাই করেছি। আমরা একটানা ক্ষমতায় আছি বলেই অর্থনৈতিক উন্নতি হয়েছে। ২৯ বছর যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা কি করেছে? তখন একবেলা খাবার জুটতো না। বিদেশ থেকে পুরাতন কাপড় এনে পরাতো। যতটুকু মানুষ পাচ্ছে, এটা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পাচ্ছে। এখন এত প্রশ্ন আসে কেন? একটা দেশ যে এত দ্রুত উন্নতি করছে, এটা কি সকলের মাথাব্যথা কিনা। এই সন্দেহ আমারও আছে। অবাধ নির্বাচনের জন্য তো আমিই তাদের বলেছি। গণতন্ত্র তো আমরাই প্রতিষ্ঠিত করেছি।’