যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন নতুন ফিচার আনছে মার্ক জাকারবার্গের মেটা। এর মধ্যে অন্যতম হোয়াটসঅ্যাপে চ্যানেল ফিচার ৷ যেখানে তারকা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ফলো করার সুবিধা রয়েছে। তবে যে কেউ এই প্ল্যাটফর্মে চ্যানেল খুলতে পারবে।
মেটা জানিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল সকলের জন্য উন্মুক্ত। এখানে ব্যবহারকারীরা নিজের চ্যানেল বানিয়ে কমিউনিটি তৈরির সুযোগ পাবে। সামাজিক পরিচিতির পাশাপাশি বেশ কিছু উপায় রয়েছে যার মাধ্যমে অর্থ উপার্জনও করতে পারবেন। হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে যেসব উপায়ে আয় করা যাবে চলুন জানা যাক সেই তথ্য।
ই-কমার্স সেলিং
আপনার যদি ছোট ব্যবসা থাকে অথবা সদ্য ব্যবসা খুলে থাকেন তাহলে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে সহজে পৌঁছাতে পারবেন। চ্যাটের মাধ্যমে পণ্যের ছবি দেখাতে পারবেন অন্যকে। অর্ডার নেওয়া এবং পেমেন্ট সুবিধাও দিতে পারবেন।
হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলের মাধ্যমে বিভিন্ন মার্চেন্ডাইস এবং অ্যাক্সেসরিজও বিক্রি করার সুবিধা রয়েছে। এ ছাড়া কারও যদি ব্যবসা নাও থাকে বিভিন্ন গ্রাফিক্স টেম্পলেট, ই-বুক, অনলাইন কোর্স, ডিজিটাল প্রোডাক্টস ইত্যাদি প্রমোট করতে পারেন হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলের মাধ্যমে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো এমন একটি উপায় যার মাধ্যমে আপনি কোনো বিপণন সংস্থার পণ্য বিক্রি করলে তার থেকে রেভেনিউয়ে নির্দিষ্ট অংশের লাভ পাওয়া যায়। হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলেও সেই সুযোগ রয়েছে। সাবস্ক্রাইবার ও ফলোয়ারদের সেই সকল পণ্যের লিঙ্ক পাঠাতে পারেন যা থেকে আয় হতে পারে আপনারও।
অনলাইন ক্লাস ও কোচিং
অনেকের নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে ভালো দক্ষতা রয়েছে। যেমন: ভাষা শেখানো, রান্না, আঁকা, ফটোগ্রাফি, সিনেমাটোগ্রাফি ইত্যাদি। এই সকল বিষয়ের ওপর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে ওয়ার্কসপ তৈরি করতে পারেন এবং এজন্য একটি চার্জ নিতে পারেন। পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপে যেহেতু ভিডিও, অডিও কলের সুবিধা রয়েছে তাই কোচিং করানোও সম্ভব।
ফ্রিল্যান্সিং
ডিজিটাল যুগে বাড়ি বসে আয়ের একটি অন্যতম মাধ্যম ফ্রিল্যান্সিং। যার জন্য বর্তমানে একাধিক প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। তবে হোয়াটসঅ্যাপ যেহেতু পার্সোনাইলজড অ্যাপ তাই এখানে ক্লায়েন্টদের সঙ্গে সহজে নিজের দক্ষতা তুলে ধরতে পারবেন। আপনি যদি লিখতে ভালবাসেন কিংবা ভালো গ্রাফিক্স ডিজাইনিং ও প্রোগ্রামিং জানেন তাহলে নিজের চ্যানেল বানিয়ে ফলোয়ারদের সে সম্পর্কে জানাতে ও সেবা দিতে পারেন।