১১:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জনজীবন

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্নস্থানে বৃষ্টি হচ্ছে। টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। আবহাওয়া অফিস বলছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে দেশের সব বিভাগে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। সেইসাথে কিছু কিছু এলাকায় ভারী বর্ষণ হতে পারে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা বৃষ্টিপাতের এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। এরপর ধীরে ধীরে কমে আসবে বৃষ্টি। দেশের চার সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এছাড়া দেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রবন্দরসমুহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ কারণে সমুদ্রবন্দরসমুহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এদিকে, ভারতে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তার পানি অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় এখনো প্লাবিত রয়েছে দেশের উত্তরাঞ্চলের বহু এলাকার নিম্নাঞ্চল। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার পরিবার। তবে আজ সকাল থেকে রংপুর, নীলফামারী ও লালমনিরহাটে তিস্তার পানি কমে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, আজ ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবার সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল রয়েছে। এছাড়া ১৯ জেলায় ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এসব জেলার নৌবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আজ শুক্রবার (৬ অক্টোবর) নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়া পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম জানান, রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, ঢাকা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এছাড়া আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

এদিকে সামুদ্রিক সতর্কবার্তায় আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশ অনুমোদন

বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জনজীবন

আপডেট : ০৫:৪৪:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ অক্টোবর ২০২৩

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্নস্থানে বৃষ্টি হচ্ছে। টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। আবহাওয়া অফিস বলছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে দেশের সব বিভাগে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। সেইসাথে কিছু কিছু এলাকায় ভারী বর্ষণ হতে পারে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা বৃষ্টিপাতের এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। এরপর ধীরে ধীরে কমে আসবে বৃষ্টি। দেশের চার সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এছাড়া দেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রবন্দরসমুহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ কারণে সমুদ্রবন্দরসমুহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এদিকে, ভারতে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তার পানি অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় এখনো প্লাবিত রয়েছে দেশের উত্তরাঞ্চলের বহু এলাকার নিম্নাঞ্চল। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার পরিবার। তবে আজ সকাল থেকে রংপুর, নীলফামারী ও লালমনিরহাটে তিস্তার পানি কমে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, আজ ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবার সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল রয়েছে। এছাড়া ১৯ জেলায় ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এসব জেলার নৌবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আজ শুক্রবার (৬ অক্টোবর) নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়া পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম জানান, রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, ঢাকা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এছাড়া আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

এদিকে সামুদ্রিক সতর্কবার্তায় আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।