Dhaka ০৭:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশে রিজার্ভ হ্রাস পেয়েছে ২ বিলিয়ন ডলার

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ক্রমাগত কমছে। দেশের ইতিহাসে ১ মাসের ব্যবধানে যা সর্বোচ্চ পতন। শুধু বিদায়ী সেপ্টেম্বরে যার পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে ২ বিলিয়ন ডলার। এর আগে এত বড় ক্ষয় দেখা যায়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকের বরাত দিয়ে এ খবর জানানো হয়েছে।

বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এতে বলা হয়, ২০২১ সালের আগস্টের পর থেকে দেশের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চায়ন কমছেই। প্রতি মাসে গড়ে ১ বিলিয়ন ডলার হারে রিজার্ভ কমেছে। তবে গত সেপ্টেম্বরে প্রথমবারের মতো ২ বিলিয়ন ডলার হ্রাস পেয়েছে।

অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, মাত্র ১ মাসের ব্যবধানে রিজার্ভ থেকে ২ বিলিয়ন ডলার কমেছে। এটা মোটেও ভালো লক্ষণ নয়। ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। ফলে বৈশ্বিক ঋণদাতা গোষ্ঠীর প্রতিশ্রুত ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি স্থগিত করে দেয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেক্ষেত্রে দেশের রিজার্ভ বিপর্যয় আরও তীব্র হবে।

সংবাদে আরো উঠে এসেছে, রিজার্ভের এ পরিস্থিতির মধ্যেই আলোচ্য সেপ্টেম্বরে দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে বড় পতন দেখা গেছে। গত মাসে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ১৩৪ কোটি ৩৬ লাখ ডলার। গত ৪১ মাসের মধ্যে যা সর্বনিম্ন। এরই মধ্যে রপ্তানি আয় নিম্নমুখী হয়েছে। ফলে দেশ ডলার সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। সেই সঙ্গে খেলাপি ঋণ বেড়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক বাণিজ্যের চাপ, অর্থিক খাতের ঝুঁকি, দুর্বল মুদ্রানীতি, আমদানির ওপর শুল্ক আরোপ, নিম্নগামী রাজস্ব আদায় ব্যবস্থাপনার কারণে দেশের অর্থনীতি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এর মধ্যে অন্যতম চ্যালেঞ্জ হলো মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, খেলাপি ঋণ রেকর্ড ১ লাখ ৫৬ হাজার ৩৯ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। মোট ঋণের যা ১০ শতাংশেরও বেশি। পাশাপাশি ডলারের দাম ১১৩ টাকা ৩০ পয়সায় বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে খোলাবাজারে ১২০ টাকা বা এরও বেশি দরে তা কিনতে হচ্ছে মানুষকে।

দেশে রিজার্ভ হ্রাস পেয়েছে ২ বিলিয়ন ডলার

আপডেট : ০৩:৫০:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ অক্টোবর ২০২৩

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ক্রমাগত কমছে। দেশের ইতিহাসে ১ মাসের ব্যবধানে যা সর্বোচ্চ পতন। শুধু বিদায়ী সেপ্টেম্বরে যার পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে ২ বিলিয়ন ডলার। এর আগে এত বড় ক্ষয় দেখা যায়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকের বরাত দিয়ে এ খবর জানানো হয়েছে।

বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এতে বলা হয়, ২০২১ সালের আগস্টের পর থেকে দেশের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চায়ন কমছেই। প্রতি মাসে গড়ে ১ বিলিয়ন ডলার হারে রিজার্ভ কমেছে। তবে গত সেপ্টেম্বরে প্রথমবারের মতো ২ বিলিয়ন ডলার হ্রাস পেয়েছে।

অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, মাত্র ১ মাসের ব্যবধানে রিজার্ভ থেকে ২ বিলিয়ন ডলার কমেছে। এটা মোটেও ভালো লক্ষণ নয়। ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। ফলে বৈশ্বিক ঋণদাতা গোষ্ঠীর প্রতিশ্রুত ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি স্থগিত করে দেয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেক্ষেত্রে দেশের রিজার্ভ বিপর্যয় আরও তীব্র হবে।

সংবাদে আরো উঠে এসেছে, রিজার্ভের এ পরিস্থিতির মধ্যেই আলোচ্য সেপ্টেম্বরে দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে বড় পতন দেখা গেছে। গত মাসে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ১৩৪ কোটি ৩৬ লাখ ডলার। গত ৪১ মাসের মধ্যে যা সর্বনিম্ন। এরই মধ্যে রপ্তানি আয় নিম্নমুখী হয়েছে। ফলে দেশ ডলার সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। সেই সঙ্গে খেলাপি ঋণ বেড়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক বাণিজ্যের চাপ, অর্থিক খাতের ঝুঁকি, দুর্বল মুদ্রানীতি, আমদানির ওপর শুল্ক আরোপ, নিম্নগামী রাজস্ব আদায় ব্যবস্থাপনার কারণে দেশের অর্থনীতি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এর মধ্যে অন্যতম চ্যালেঞ্জ হলো মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, খেলাপি ঋণ রেকর্ড ১ লাখ ৫৬ হাজার ৩৯ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। মোট ঋণের যা ১০ শতাংশেরও বেশি। পাশাপাশি ডলারের দাম ১১৩ টাকা ৩০ পয়সায় বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে খোলাবাজারে ১২০ টাকা বা এরও বেশি দরে তা কিনতে হচ্ছে মানুষকে।