ঢাকা ০৬:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ইরানের বন্দর আব্বাসের গ্যাস স্থাপনা, ইস্পাহানের পারমাণবিক স্থাপনা এবং তেহরানের অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুতে বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে: ইসরায়েলি মিডিয়া :::: ইরানের রাজধানী তেহরান, হরমোজগান, কেরমানশাহ, পশ্চিম আজারবাইজান, লোরেস্তান ও খুজেস্তানসহ ইরানের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে নতুন করে তীব্র হামলা চালিয়েছে ইসরাইল :::: ইরানের ওপর ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়ে চীনের শীর্ষ কূটনীতিক বলেছেন, কূটনৈতিক উপায় 'এখনো শেষ হয়ে যায়নি' :::: ইসরায়েল-ইরান সংঘাত নিয়ে আলোচনা করলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান ও সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট শারা :::: ইসরাইলি হামলায় ইরানের এসফাহান পরমাণু স্থাপনার চারটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে: আইএইএ :::: ইরানে ইসরায়েলি হামলাকে 'অসহনীয়' বলল জাপান :::: ইরানের প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের সঙ্গে কথা বললেন ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ :::: ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনালাপে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়েছেন কাতারের শেখ তামিম :::: ইরানের সামরিক বাহিনী বলছে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলের ১০টি বিমান ভূপাতিত করা হয়েছে :::: ইরানের গ্যাসক্ষেত্রে বেসামরিক অবকাঠামোতে ইসরাইলি হামলা ::: তেহরানে অ্যাপার্টমেন্ট ব্লক হামলায় নিহত ৪০

বিশ্বে দিনে বাস্তুচ্যুত হচ্ছে ২০ হাজার শিশু: ইউনিসেফ

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:১০:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৫১৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চরম প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে বিশ্বে প্রতিদিন বাস্তুচ্যুত হচ্ছে গড়ে ২০ হাজার শিশু। ৬ বছরে বাস্তুচ্যুত শিশুর সংখ্যা ৪ কোটি ৩০ লাখ। গতকাল শুক্রবার উদ্বেগজনক এ তথ্য দিয়েছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। এ অবস্থা চলতে থাকলে, ৩০ বছরের মধ্যে ১০ কোটির বেশি শিশু ঘরবাড়ি হারাবে বলে আশঙ্কা সংস্থাটির।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কয়েক দশক ধরেই খামখেয়ালি আচরণ করছে প্রকৃতি। বিভিন্ন অঞ্চলে চরম রূপ নিচ্ছে তাপপ্রবাহ। এর ফলে হুমকির মুখে পড়েছে কোটি মানুষের জীবন। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে শিশুরা।

জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ বলছে, চরম আবহাওয়ার কারণে ২০১৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বাস্তুচ্যুত হয়েছে অন্তত ৪ কোটি ৩০ লাখ শিশু। দিনে গড়ে ঘরবাড়ি হারাচ্ছে ২০ হাজার শিশু।
ইউনিসেফের অভিবাসন বিশেষজ্ঞ লরা হ্যালি বলেন, ‘স্বল্পমেয়াদি হোক বা দীর্ঘমেয়াদি, বাস্তুচ্যুত হওয়া সবসময়ই শিশুদের জন্য ঝুঁকির কারণ। কোন দুর্যোগে ঘরবাড়ি ধ্বংস হলে তাদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। শিক্ষা, চিকিৎসার মতো মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয় তারা। বাড়ে পাচার, যৌন সহিংসতার ঝুঁকিও।’

বন্যা, ঝড়, খরা এবং দাবানলের মতো দুর্যোগের কারণে ৪৪টি দেশে বাস্তুচ্যুত শিশুর তথ্য নিয়ে শুক্রবার প্রতিবেদন প্রকাশ করে ইউনিসেফ। এর মধ্যে ৯৫ শতাংশ বাস্তুচ্যুতির কারণ বন্যা ও ঝড়। তালিকার শীর্ষে চীন ও ফিলিপাইন।

বৈরী আবহাওয়ার কারণে শিশুদের বাস্তুচ্যুতি নিয়ে বিশ্লেষণ এই প্রথম। ইউনিসেফ বলছে, এ অবস্থা চলতে থাকলে, ৩০ বছরের মধ্যে সর্বস্ব হারানো শিশুর সংখ্যা ছাড়াতে পারে ১০ কোটি।

এর আগে, আগস্টে আরেক প্রতিবেদনে ইউনিসেফ জানায়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকিতে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার তিন-চতুর্থাংশ শিশু। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তানের শিশুরা।

২০২০ সালের তথ্যমতে, দক্ষিণ এশিয়ায় বছরের ৮৩ বা এর বেশি দিন তাপমাত্রা ছাড়ায় ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর সাথে মানিয়ে নিতে পারে না ১৮ বছরের কম বয়সীরা। চিন্তা বাড়ছে অপুষ্টিতে ভোগা শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের নিয়ে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিশ্বে দিনে বাস্তুচ্যুত হচ্ছে ২০ হাজার শিশু: ইউনিসেফ

আপডেট সময় : ০৬:১০:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ অক্টোবর ২০২৩

চরম প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে বিশ্বে প্রতিদিন বাস্তুচ্যুত হচ্ছে গড়ে ২০ হাজার শিশু। ৬ বছরে বাস্তুচ্যুত শিশুর সংখ্যা ৪ কোটি ৩০ লাখ। গতকাল শুক্রবার উদ্বেগজনক এ তথ্য দিয়েছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। এ অবস্থা চলতে থাকলে, ৩০ বছরের মধ্যে ১০ কোটির বেশি শিশু ঘরবাড়ি হারাবে বলে আশঙ্কা সংস্থাটির।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কয়েক দশক ধরেই খামখেয়ালি আচরণ করছে প্রকৃতি। বিভিন্ন অঞ্চলে চরম রূপ নিচ্ছে তাপপ্রবাহ। এর ফলে হুমকির মুখে পড়েছে কোটি মানুষের জীবন। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে শিশুরা।

জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ বলছে, চরম আবহাওয়ার কারণে ২০১৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বাস্তুচ্যুত হয়েছে অন্তত ৪ কোটি ৩০ লাখ শিশু। দিনে গড়ে ঘরবাড়ি হারাচ্ছে ২০ হাজার শিশু।
ইউনিসেফের অভিবাসন বিশেষজ্ঞ লরা হ্যালি বলেন, ‘স্বল্পমেয়াদি হোক বা দীর্ঘমেয়াদি, বাস্তুচ্যুত হওয়া সবসময়ই শিশুদের জন্য ঝুঁকির কারণ। কোন দুর্যোগে ঘরবাড়ি ধ্বংস হলে তাদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। শিক্ষা, চিকিৎসার মতো মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয় তারা। বাড়ে পাচার, যৌন সহিংসতার ঝুঁকিও।’

বন্যা, ঝড়, খরা এবং দাবানলের মতো দুর্যোগের কারণে ৪৪টি দেশে বাস্তুচ্যুত শিশুর তথ্য নিয়ে শুক্রবার প্রতিবেদন প্রকাশ করে ইউনিসেফ। এর মধ্যে ৯৫ শতাংশ বাস্তুচ্যুতির কারণ বন্যা ও ঝড়। তালিকার শীর্ষে চীন ও ফিলিপাইন।

বৈরী আবহাওয়ার কারণে শিশুদের বাস্তুচ্যুতি নিয়ে বিশ্লেষণ এই প্রথম। ইউনিসেফ বলছে, এ অবস্থা চলতে থাকলে, ৩০ বছরের মধ্যে সর্বস্ব হারানো শিশুর সংখ্যা ছাড়াতে পারে ১০ কোটি।

এর আগে, আগস্টে আরেক প্রতিবেদনে ইউনিসেফ জানায়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকিতে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার তিন-চতুর্থাংশ শিশু। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তানের শিশুরা।

২০২০ সালের তথ্যমতে, দক্ষিণ এশিয়ায় বছরের ৮৩ বা এর বেশি দিন তাপমাত্রা ছাড়ায় ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর সাথে মানিয়ে নিতে পারে না ১৮ বছরের কম বয়সীরা। চিন্তা বাড়ছে অপুষ্টিতে ভোগা শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের নিয়ে।