ঢাকা ০৫:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

যুক্তরাষ্ট্রে একটি বাড়ি থেকে মিলল ১১৫ গলিত মরদেহ

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:২৪:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৪৪১ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের একটি বাড়ি থেকে ১১৫ জনের গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই বাড়িটি একটি শেষকৃত্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের। পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণে ওই মরদেহগুলোর এমন অবস্থা হয়ে কি না তা জানতে তদন্ত করা হচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের ফ্রেমন্ট কান্ট্রি শেরিফ অ্যালেন কুপার বলেন, পেনরোজ শহরের দ্য রিটার্ন টু ন্যাচার নামের প্রতিষ্ঠানটি কোনো অনিয়ম করেছে কি না তা তদন্ত করা হচ্ছে।

পুলিশ জানায়, প্রতিষ্ঠানটি পরিবেশবান্ধব কবর দেওয়ার সেবা দিত। স্থানীয়দের কাছ থেকে দুর্গন্ধের অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু হয়। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মরদেহগুলো পাওয়া যায়।

এ নিয়ে গতকাল শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, সেখানকার জনগণের স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই।

কলোরাডোর আইন অনুযায়ী, পরিবেশ বান্ধব কবর দেওয়া বৈধ হলেও মরদেহগুলো ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।

যে ভবনটি থেকে শতাধিক মরদেহ পাওয়া গেছে সেটির পাশের বাড়িটিতেই থাকেন ৭৩ বছর বয়সী জয়েস পাভেটির। তিনি বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম যে হয়তো কোনো প্রাণী পচে যাওয়ার গন্ধ বের হচ্ছে। পরে পুলিশের তৎপরতা দেখে তিনি বিষয়টি বুঝতে পারেন।’

রন আলেকজেন্ডার নামের আরেক ব্যক্তি জানান, তাঁর ধারণা ছিল হয়তো সেপটিক ট্যাংক থেকে এমন গন্ধ বের হচ্ছে।

দ্য রিটার্ন টু ন্যাচারের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, পরিবেশবান্ধব কবর দিতে একটি মরদেহের জন্য এক হাজার ৮৯৫ ডলার নিত প্রতিষ্ঠানটি।

নিউজটি শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্রে একটি বাড়ি থেকে মিলল ১১৫ গলিত মরদেহ

আপডেট সময় : ০৬:২৪:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ অক্টোবর ২০২৩

যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের একটি বাড়ি থেকে ১১৫ জনের গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই বাড়িটি একটি শেষকৃত্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের। পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণে ওই মরদেহগুলোর এমন অবস্থা হয়ে কি না তা জানতে তদন্ত করা হচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের ফ্রেমন্ট কান্ট্রি শেরিফ অ্যালেন কুপার বলেন, পেনরোজ শহরের দ্য রিটার্ন টু ন্যাচার নামের প্রতিষ্ঠানটি কোনো অনিয়ম করেছে কি না তা তদন্ত করা হচ্ছে।

পুলিশ জানায়, প্রতিষ্ঠানটি পরিবেশবান্ধব কবর দেওয়ার সেবা দিত। স্থানীয়দের কাছ থেকে দুর্গন্ধের অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু হয়। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মরদেহগুলো পাওয়া যায়।

এ নিয়ে গতকাল শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, সেখানকার জনগণের স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই।

কলোরাডোর আইন অনুযায়ী, পরিবেশ বান্ধব কবর দেওয়া বৈধ হলেও মরদেহগুলো ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।

যে ভবনটি থেকে শতাধিক মরদেহ পাওয়া গেছে সেটির পাশের বাড়িটিতেই থাকেন ৭৩ বছর বয়সী জয়েস পাভেটির। তিনি বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম যে হয়তো কোনো প্রাণী পচে যাওয়ার গন্ধ বের হচ্ছে। পরে পুলিশের তৎপরতা দেখে তিনি বিষয়টি বুঝতে পারেন।’

রন আলেকজেন্ডার নামের আরেক ব্যক্তি জানান, তাঁর ধারণা ছিল হয়তো সেপটিক ট্যাংক থেকে এমন গন্ধ বের হচ্ছে।

দ্য রিটার্ন টু ন্যাচারের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, পরিবেশবান্ধব কবর দিতে একটি মরদেহের জন্য এক হাজার ৮৯৫ ডলার নিত প্রতিষ্ঠানটি।