লাতিন আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ফার্নান্দো ভিলাভিসেনসিও হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন ছয় ব্যক্তি কারাগারে মারা গেছেন। কারা কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলেছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, নিহত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী দুর্নীতিবিরোধী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। গত ৯ আগস্ট প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাত্র দু সপ্তাহ আগে ইকুয়েডরের উত্তরাঞ্চলীয় শহর কুইটোতে একটি নির্বাচনী সমাবেশে অংশ নেওয়ার পর তিনি হামলার শিকার হন এবং মারা যান।

এ ঘটনায় ছয় জন কলম্বিয়ানকে গ্রেপ্তার করেছিল ইকুয়েডরের পুলিশ। সেই ছয়জন গতকাল কারাগারে মারা গেছেন। অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় জানিয়েছে, ইকুয়েডরের গুয়াকিল শহরের লিটোরাল পেনিটেনশিয়ারিতে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। লিটোরাল পেনিটেনশিয়ারি হচ্ছে ইকুয়েডরের সবচেয়ে বড় কারাগার। এটি অপরাধী পুনর্বাসন কেন্দ্র হিসেবেও পরিচিত।

প্রেসিডেন্ট গুইলারমো ল্যাসো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, কোনোভাবেই সত্য ধামাচাপা দেওয়া যাবে না। সত্য উদঘাটিত হবেই। ইকুয়েডরেরে কারা সংস্থা এসএনএআই এক বিবৃতিতে বলেছে, কারাগারে মারা যাওয়া ছয় ব্যক্তির সবাই কলম্বিয়ার নাগরিক।

এ ছাড়া তাদের মত্যুর ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। এদিকে ইকুয়েডর সরকার বলেছে, ভিলাভিসেনসিওর হত্যার পিছনে যারা জড়িত, তাদের অবশ্যই খুঁজে বের করা হবে। ৫৯ বছর বয়সী ফার্নান্দো ভিলাভিসেনসি খ্যাতিমান সাংদিক ছিলেন। তিনি সাংবাদিকতা ছেড়ে রাজনীতিতে নামেন এবং ইকুয়েডরের মুভিমিয়েন্তো কনস্ট্রুয়ে দলের নেতা হন। গত ২০ আগস্ট ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি এক প্রার্থী ছিলেন।