আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী গত বছর খুলে দেওয়া হয় দেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো পদ্মা সেতুর দুয়ার। গত সেপ্টেম্বরে খুলেছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একাংশ। এগুলো ছাড়াও এ মাসে আরও একগুচ্ছ মেগা প্রকল্প উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ইউরেনিয়াম হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে যা শুরু হলো।
আজ শনিবার খুলছে দেশের আরেকটি বড় প্রকল্প শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল। এ মাসেই চালু হচ্ছে মেট্রোরেলের আগারগাঁও–মতিঝিল অংশ। খুলছে চট্টগ্রামের কর্ণফুলি নদীতের নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেলও। এ মাসে এমন ছোটবড় অন্তত দেড়শ প্রকল্প চালু হচ্ছে।
আর এ উপলক্ষে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ফরিদপুরে ৭টি বড় সুধী সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। এ সব সমাবেশে তুলে ধরা হবে সরকারের ১৫ বছরের অর্জন ও উন্নয়নযাত্রা।
আগামী মঙ্গলবার পদ্মাসেতুতে শুরু হবে ট্রেন চলাচল। চালু হবে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেলপথ। আগামী জুনে যশোর পর্যন্ত রেলপথ করার লক্ষ্য সরকারের। ১০ অক্টোবর মাওয়া স্টেশনে হবে সুধী সমাবেশ। এরপর ট্রেনে চড়ে প্রধানমন্ত্রী যাবেন ভাঙ্গা পর্যন্ত। সেখানেও চলছে জনসভার প্রস্তুতি।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার নতুন রেলপথও চালুর পথে। প্রধানমন্ত্রীর সূচি পেলেই উদ্বোধনের তারিখ ঘোষণা করা হবে।
মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চলবে ২৩ অক্টোবর থেকে। এর মাধ্যমে উত্তরা থেকে মতিঝিল- মেট্রোরেলের পুরো সুবিধা পাবে নগরবাসী। এদিন মতিঝিলে হবে সুধী সমাবেশ। ঢাকা বিভাগের সব জেলা থেকে আসবেন আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা।
আগামী ২৮ অক্টোবর চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলে যান চলাচল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। ওই দিন বিপুল গণজমায়েত করবে আওয়ামী লীগ।
এর বাইরে ২২ অক্টোবর তেজগাঁওয়ে সড়ক ভবনে ১৪০টি সেতু, ১২টি ওভারপাস ও যানবাহনের ফিটনেস পরীক্ষার স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র উদ্বোধন করা হবে। ওই দিন সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতদের ক্ষতিপূরণের চেক দেবেন সরকার প্রধান।
একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষের দিকে। এখন চলছে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি। নির্বাচন সামনে রেখে অক্টোবরে বিএনপি যখন সরকার পতনের এক দফা দাবিতে আন্দোলন করছে তখন মেগাপ্রকল্প চালুর মধ্য দিয়ে জনগণকে আকৃষ্ট করতে চায় আওয়ামী লীগ।