ইসরাইলে কয়েক হাজার রকেট হামলার দাবি করছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। এতে অন্তত ২২জন ইসরাইলি নিহত হয়েছে। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলের দিকে একের পর এক রকেট হামলা চালিয়েছে তারা। শনিবার সকালে শুরু হওয়া এসব হামলার প্রথম ২০ মিনিটেই ৫ হাজার রকেট ছোড়ার কথা জানিয়েছে হামাস। ফিলিস্তিনিদের এমন মুহুর্মুহু হামলার পরিপ্রেক্ষেতে দেশে যুদ্ধ পরিস্থিতি ঘোষণা করেছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এরমধ্যে গাজায় হামলা চালিয়েছে তেল আবিব।
আজ শনিবার (৭ই অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি।
সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়া জানিয়েছে, শনিবার সকালে ইসরাইলকে লক্ষ্য করে রকেট হামলা শুরু করে হামাস। এর কিছুক্ষণ পর হামাসের যোদ্ধারা দক্ষিণ সীমান্ত দিয়ে ইসরাইলে প্রবেশ করতে শুরু করে। এমন ঘটনা এর আগে কখনো দেখা যায়নি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা ইসরাইলি সামরিক যান জব্দ করে তা গাজার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া প্রায় ৪০ জনের মতো ইসরাইলি সেনাকে গ্রেপ্তার করেছে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা। এই অভিযানে হামাসের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে ফিলিস্তিনের আরেক স্বাধীনতাকামী সংগঠন ইসলামিক জিহাদ।
হামাসের মুখপাত্র খালেদ কাদোমি আল-জাজিরাকে বলেছেন, দশকের পর দশক ইসরাইলি দখলদাররা ফিলিস্তিনিদের ওপর নৃশংসতা চালাচ্ছে। এসব নৃশংসতার পাল্টা জবাব হিসেবে তারা এ সামরিক অভিযান শুরু করেছে।
এদিকে ইসরাইলি গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, হামাসের অব্যাহত হামলায় ছয়জন নিহত হয়েছে। প্রায় ২০০ জন আহত হয়েছে। আহদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হামাসের অব্যাহত হামলার পরপর ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, এখন যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ হামলার জন্য হামাসকে নজিরবিহীন মূল্য দিতে হবে।
এ ছাড়া হামাসকে পাল্টা জবাব দিতে গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা শুরু করেছে ইসরাইলি বাহিনী।