ঢাকা ১১:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

জনগণ ভোট দিলেই আবার ক্ষমতায় আসতে পারব : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৬:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৪২৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমার বয়স হয়ে গেছে। জনগণ ভোট দিলেই আবার ক্ষমতায় আসতে পারব। আমি চাই দেশটা বিশ্বে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হোক।

রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আজ রোববার (৮ অক্টোবর) বিসিএস কর্মকর্তাদের ৭৫তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদ প্রদান অনুষ্ঠান ও লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণকেন্দ্রের ১৫তলা বিশিষ্ট ডরমিটরি ভবনসহ পাঁচটি প্রকল্পের উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের রিজার্ভ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। আমাদের জমি আছে। ফসল ফলাব আর নিজেরা স্বাবলম্বী হব। কারও কাছে হাত পাতব না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত সরকার আমাকে গ্রেপ্তার করে বিশেষ কারাগারে নেওয়ার পর আমি দেশটার ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করি। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে আমি সে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করি। ফলে দেশ এখন ভিক্ষুকের জাতি নয়। আমরা বিশ্বে মর্যাদাপূর্ণ জাতিতে পরিণত হয়েছে।

দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমানে দেশের অর্থনীতি একটু খারাপ। এ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে হলে সবাইকে কাজ করতে হবে। প্রতি ইঞ্চি জমি আবাদের আওতায় আনতে হবে। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী ও কর্মকর্তারা দেশের সেবক হবেন। জনগণের কল্যাণে কাজ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৫ আগস্টে জাতির পিতাকে হত্যার পর সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছিল জিয়াউর রহমান। আমার ছোট বোনের পাসপোর্টটাও রিনিউ করতে দেয়নি সে। আমরা ১৯৮০ সালে লন্ডনে জাতির পিতার হত্যার বিচার চেয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলাম। সেই কমিটি ঢাকা আসতে চেয়েছিল, জিয়াউর রহমান ভিসাও দেয়নি।

তিনি বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের আপনজন হারিয়েছি। কিন্তু বাংলাদেশ হারিয়েছিল তাদের ভবিষ্যৎ, ক্ষুধা, দারিদ্র্য থেকে মুক্তির পাওয়ার পথ। সবই হারিয়েছে। তখন ক্ষমতা দখল শুরু হয় হত্যা এবং ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে, সংবিধান লঙ্ঘন করে, সেনা আইন লঙ্ঘন করে। একের পর এক, সরাসরি বা প্রত্যক্ষভাবে এই ধরনের শাসন চলতে থাকে।

শেখ হাসিনা বলেন, ছয় বছর পর আমার অবর্তমানে আমাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করে। সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর আমি ছোট বোনের সঙ্গে আলোচনা করে দেশে ফিরে আসা সিদ্ধান্ত নেই। আমার মেয়ে তখন বয়স ৮ বছর, ছেলের বয়স ১০ বছর। আমি এমন একটা দেশে আসছি যেখানে আমার মা-বাবার হত্যার বিচার হয়নি। ইনডেমনিটি অর্ডিনেস জারি করে তাদের বিচার হাত থেকে রক্ষা করে, তাদের পুরস্কৃত করা হয়েছিল।

নিউজটি শেয়ার করুন

জনগণ ভোট দিলেই আবার ক্ষমতায় আসতে পারব : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৬:৫৬:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ অক্টোবর ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমার বয়স হয়ে গেছে। জনগণ ভোট দিলেই আবার ক্ষমতায় আসতে পারব। আমি চাই দেশটা বিশ্বে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হোক।

রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আজ রোববার (৮ অক্টোবর) বিসিএস কর্মকর্তাদের ৭৫তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদ প্রদান অনুষ্ঠান ও লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণকেন্দ্রের ১৫তলা বিশিষ্ট ডরমিটরি ভবনসহ পাঁচটি প্রকল্পের উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের রিজার্ভ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। আমাদের জমি আছে। ফসল ফলাব আর নিজেরা স্বাবলম্বী হব। কারও কাছে হাত পাতব না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত সরকার আমাকে গ্রেপ্তার করে বিশেষ কারাগারে নেওয়ার পর আমি দেশটার ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করি। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে আমি সে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করি। ফলে দেশ এখন ভিক্ষুকের জাতি নয়। আমরা বিশ্বে মর্যাদাপূর্ণ জাতিতে পরিণত হয়েছে।

দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমানে দেশের অর্থনীতি একটু খারাপ। এ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে হলে সবাইকে কাজ করতে হবে। প্রতি ইঞ্চি জমি আবাদের আওতায় আনতে হবে। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী ও কর্মকর্তারা দেশের সেবক হবেন। জনগণের কল্যাণে কাজ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৫ আগস্টে জাতির পিতাকে হত্যার পর সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছিল জিয়াউর রহমান। আমার ছোট বোনের পাসপোর্টটাও রিনিউ করতে দেয়নি সে। আমরা ১৯৮০ সালে লন্ডনে জাতির পিতার হত্যার বিচার চেয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলাম। সেই কমিটি ঢাকা আসতে চেয়েছিল, জিয়াউর রহমান ভিসাও দেয়নি।

তিনি বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের আপনজন হারিয়েছি। কিন্তু বাংলাদেশ হারিয়েছিল তাদের ভবিষ্যৎ, ক্ষুধা, দারিদ্র্য থেকে মুক্তির পাওয়ার পথ। সবই হারিয়েছে। তখন ক্ষমতা দখল শুরু হয় হত্যা এবং ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে, সংবিধান লঙ্ঘন করে, সেনা আইন লঙ্ঘন করে। একের পর এক, সরাসরি বা প্রত্যক্ষভাবে এই ধরনের শাসন চলতে থাকে।

শেখ হাসিনা বলেন, ছয় বছর পর আমার অবর্তমানে আমাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করে। সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর আমি ছোট বোনের সঙ্গে আলোচনা করে দেশে ফিরে আসা সিদ্ধান্ত নেই। আমার মেয়ে তখন বয়স ৮ বছর, ছেলের বয়স ১০ বছর। আমি এমন একটা দেশে আসছি যেখানে আমার মা-বাবার হত্যার বিচার হয়নি। ইনডেমনিটি অর্ডিনেস জারি করে তাদের বিচার হাত থেকে রক্ষা করে, তাদের পুরস্কৃত করা হয়েছিল।