Dhaka ০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলা যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য নয় : পিটার হাস

বিশ্বের যেকোনো দেশে গণতন্ত্র, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে কথা বলা যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য বিস্তার নয়। এটা যুক্তরাষ্ট্রের স্বাভাবিক পররাষ্ট্রনীতি। কারণ মানবাধিকার নিশ্চিতের জন্য সবার অঙ্গীকার রয়েছে। দেশে গণতন্ত্র নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপের ব্যাখ্যা দিয়ে এ মন্তব্য করেন বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।

সোমবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলনে ‘ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে প্রতিযোগিতা’ শীর্ষক এক অধিবেশনে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন পিটার হাস।

তিনি বলেন, কেউ কেউ মনে করেন যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আধিপত্য বিস্তার করে। এটা মূলত বিশ্বজুড়ে মানবাধিকারের জন্য একটা সাধারণ অধিকার। এ ব্যাপারে বিশ্বের প্রতিটি রাষ্ট্রই সম্মত হয়েছে। আর এটা কখনো আধিপত্য বিস্তার নয়।

এ সময় পিটার হাস ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের নিয়ন্ত্রণহীন প্রভাব অস্থিতিশীলতা বাড়াতে পারে বলে আশঙ্কার কথা জানান। তিনি বলেন, চীনের এই নিয়ন্ত্রণহীন প্রভাব কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন ও সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে। এছাড়া আমরা সম্মিলিতভাবে যে সমৃদ্ধি চাই, সেটাও বাধাগ্রস্ত হতে পারে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত এ মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে স্বাধীনতা ও উন্মুক্ততার ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক নিয়মের ব্যবস্থায় বিশ্বাস করে যুক্তরাষ্ট্র। এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও সমৃদ্ধির প্রচারেও বিশ্বাসী। কিন্তু এ অঞ্চলে চীনের নিয়ন্ত্রণহীন প্রভাব অস্থিতিশীলতা বৃদ্ধি করতে পারে। এমনকি আমরা সম্মিলিতভাবে যে সমৃদ্ধি চাই, সেটাও বাধাগ্রস্ত করে তুলতে পারে।

পিটার হাস বলেন, আমরা ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যে সময় এগিয়ে যাচ্ছি, গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের প্রভাবে এই দৃষ্টিভঙ্গি আমরা যেন হারিয়ে না ফেলি।

তিনি আরও বলেন, এ অঞ্চলে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ একটি নতুন যুগের ইঙ্গিত দিয়েছে। আমাদের ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিয়ে যে দৃষ্টিভঙ্গি, সেটিকে স্ট্র্যাটেজিকভাবে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছে। আন্তর্জাতিক বিষয়ে কর্তৃত্ববাদী শক্তি মৌলিক নিয়ম পরিবর্তনের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। এ জন্য সতর্ক থাকতে হবে আমাদের।

সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমানের উপস্থাপনায় অধিবেশনে আরও বক্তব্য রাখেন কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলস, অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয়ার এবং যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক।

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলা যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য নয় : পিটার হাস

আপডেট : ০২:৩৭:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ অক্টোবর ২০২৩

বিশ্বের যেকোনো দেশে গণতন্ত্র, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে কথা বলা যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য বিস্তার নয়। এটা যুক্তরাষ্ট্রের স্বাভাবিক পররাষ্ট্রনীতি। কারণ মানবাধিকার নিশ্চিতের জন্য সবার অঙ্গীকার রয়েছে। দেশে গণতন্ত্র নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপের ব্যাখ্যা দিয়ে এ মন্তব্য করেন বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।

সোমবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলনে ‘ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে প্রতিযোগিতা’ শীর্ষক এক অধিবেশনে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন পিটার হাস।

তিনি বলেন, কেউ কেউ মনে করেন যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আধিপত্য বিস্তার করে। এটা মূলত বিশ্বজুড়ে মানবাধিকারের জন্য একটা সাধারণ অধিকার। এ ব্যাপারে বিশ্বের প্রতিটি রাষ্ট্রই সম্মত হয়েছে। আর এটা কখনো আধিপত্য বিস্তার নয়।

এ সময় পিটার হাস ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের নিয়ন্ত্রণহীন প্রভাব অস্থিতিশীলতা বাড়াতে পারে বলে আশঙ্কার কথা জানান। তিনি বলেন, চীনের এই নিয়ন্ত্রণহীন প্রভাব কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন ও সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে। এছাড়া আমরা সম্মিলিতভাবে যে সমৃদ্ধি চাই, সেটাও বাধাগ্রস্ত হতে পারে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত এ মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে স্বাধীনতা ও উন্মুক্ততার ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক নিয়মের ব্যবস্থায় বিশ্বাস করে যুক্তরাষ্ট্র। এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও সমৃদ্ধির প্রচারেও বিশ্বাসী। কিন্তু এ অঞ্চলে চীনের নিয়ন্ত্রণহীন প্রভাব অস্থিতিশীলতা বৃদ্ধি করতে পারে। এমনকি আমরা সম্মিলিতভাবে যে সমৃদ্ধি চাই, সেটাও বাধাগ্রস্ত করে তুলতে পারে।

পিটার হাস বলেন, আমরা ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যে সময় এগিয়ে যাচ্ছি, গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের প্রভাবে এই দৃষ্টিভঙ্গি আমরা যেন হারিয়ে না ফেলি।

তিনি আরও বলেন, এ অঞ্চলে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ একটি নতুন যুগের ইঙ্গিত দিয়েছে। আমাদের ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিয়ে যে দৃষ্টিভঙ্গি, সেটিকে স্ট্র্যাটেজিকভাবে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছে। আন্তর্জাতিক বিষয়ে কর্তৃত্ববাদী শক্তি মৌলিক নিয়ম পরিবর্তনের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। এ জন্য সতর্ক থাকতে হবে আমাদের।

সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমানের উপস্থাপনায় অধিবেশনে আরও বক্তব্য রাখেন কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলস, অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয়ার এবং যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক।