০২:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আগামীকাল পদ্মা রেল সেতুর উদ্বোধন

আগামীকাল উদ্বোধন হচ্ছে পদ্মা রেল সেতু। এদিন ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙা পর্যন্ত রেলপথে ট্রেন চলাচলও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতোমধ্যে এই রেলপথে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলেছে। এখন পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচলের জন্য প্রস্তুত ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা রেলপথ। একাধিকবার ট্রায়ালে ধরা পড়েনি কোনো ত্রুটি। উদ্বোধনের সপ্তাহখানেক পর পদ্মা রেল সেতুর ওপর দিয়ে বাণিজ্যিক ট্রেন চলবে।

স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালুর পর এবার পদ্মার বুক চিরে দক্ষিণাঞ্চলে ছুটবে ট্রেন। সড়কপথে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যোগাযোগের উন্নয়ন যাত্রার সাথেই এবার যোগ হচ্ছে নতুন মাত্রা।

পদ্মা সেতু হয়ে রেলপথে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধনকে ঘিরে ফরিদপুর ও মাদারীপুরে মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে উচ্ছ্বাস। সেখানে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। উদ্বোধনের আয়োজনকে ঘিরে ব্যস্ত প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী জানালেন, মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করতে অপেক্ষায় রয়েছে পদ্মা পাড়ের মানুষ।

পদ্মা সেতু রেল প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহমেদ জানান ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙা পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটার রেলপথচালু হবে প্রথম পর্যায়ে। মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্বোধন করবেন। এরপর তিনি মাওয়া থেকে ট্রেনে চড়ে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে যাবেন ভাঙা পর্যন্ত।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ১০টি স্টেশনের মধ্যে তিনটির নির্মাণ শেষ। এ পথের সিগনাল বসানোর কাজ শেষ হয়েছে ৯৫ শতাংশ। এ রুটের ঢাকা-মাওয়া অংশের অগ্রগতি ৮৩ ভাগ আর মাওয়া-ভাঙ্গা অংশের কাজ শেষ হয়েছে সাড়ে ৯৭ শতাংশ। এ পথে রেল স্লিপার পাল্টাতে হবে ৫০ বছর পর।

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন জানান, পদ্মা সেতুর স্ট্রাকচারাল ডিজাইন লাইফ একশ বছরের মত। তবে মেইন্টেন্যান্সটা জরুরি। প্রথম চার বছর মেইন্টেন্যান্স না লাগলেও পরে মেইন্টেন্যান্স প্রয়োজন হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রেল যোগাযোগে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে এ রেলপথ। ভোগান্তি এড়িয়ে দ্রুত গন্তব্যে যেতে পারবেন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যাত্রী।

পদ্মা সেতুতে রেল চলাচলের সুবিধা নিয়ে বুয়েটের যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, পদ্মাসেতু দিয়ে রেলপথে যাতায়াত শুরু হলে ঢাকায় জনসংখ্যা এবং যানজটও অনেকাংশেই কমে যাবে। কারণ এ পথে ভাঙ্গা দিয়ে কমলাপুর আসতে সময় লাগবে দেড় ঘণ্টা। অনেকেই তাদের বাসস্থান ঢাকার বাইরে রেখে কাজ করতে আসতে পারবেন ঢাকায়।

রেল মন্ত্রণালয় জানায়, ২০২৪ সালের মধ্যে শেষ হবে পুরো প্রকল্পের কাজ। টেকসই যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সব জেলাকে আনা হচ্ছে রেল সংযোগের আওতায়।

রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘আধুনিক ও যুগোপযোগী যোগাযোগ স্থাপনে মানুষের চাহিদা অনুযায়ী আমরা বাংলাদেশের রেল ব্যবস্থাকে পুনরায় গড়ে তুলছি।’

এ প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণ করা হয়েছে ২ হাজার ৪২৬ একর জমি।

আগামীকাল পদ্মা রেল সেতুর উদ্বোধন

আপডেট : ০৬:৩৪:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ অক্টোবর ২০২৩

আগামীকাল উদ্বোধন হচ্ছে পদ্মা রেল সেতু। এদিন ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙা পর্যন্ত রেলপথে ট্রেন চলাচলও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতোমধ্যে এই রেলপথে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলেছে। এখন পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচলের জন্য প্রস্তুত ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা রেলপথ। একাধিকবার ট্রায়ালে ধরা পড়েনি কোনো ত্রুটি। উদ্বোধনের সপ্তাহখানেক পর পদ্মা রেল সেতুর ওপর দিয়ে বাণিজ্যিক ট্রেন চলবে।

স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালুর পর এবার পদ্মার বুক চিরে দক্ষিণাঞ্চলে ছুটবে ট্রেন। সড়কপথে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যোগাযোগের উন্নয়ন যাত্রার সাথেই এবার যোগ হচ্ছে নতুন মাত্রা।

পদ্মা সেতু হয়ে রেলপথে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধনকে ঘিরে ফরিদপুর ও মাদারীপুরে মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে উচ্ছ্বাস। সেখানে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। উদ্বোধনের আয়োজনকে ঘিরে ব্যস্ত প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী জানালেন, মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করতে অপেক্ষায় রয়েছে পদ্মা পাড়ের মানুষ।

পদ্মা সেতু রেল প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহমেদ জানান ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙা পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটার রেলপথচালু হবে প্রথম পর্যায়ে। মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্বোধন করবেন। এরপর তিনি মাওয়া থেকে ট্রেনে চড়ে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে যাবেন ভাঙা পর্যন্ত।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ১০টি স্টেশনের মধ্যে তিনটির নির্মাণ শেষ। এ পথের সিগনাল বসানোর কাজ শেষ হয়েছে ৯৫ শতাংশ। এ রুটের ঢাকা-মাওয়া অংশের অগ্রগতি ৮৩ ভাগ আর মাওয়া-ভাঙ্গা অংশের কাজ শেষ হয়েছে সাড়ে ৯৭ শতাংশ। এ পথে রেল স্লিপার পাল্টাতে হবে ৫০ বছর পর।

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন জানান, পদ্মা সেতুর স্ট্রাকচারাল ডিজাইন লাইফ একশ বছরের মত। তবে মেইন্টেন্যান্সটা জরুরি। প্রথম চার বছর মেইন্টেন্যান্স না লাগলেও পরে মেইন্টেন্যান্স প্রয়োজন হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রেল যোগাযোগে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে এ রেলপথ। ভোগান্তি এড়িয়ে দ্রুত গন্তব্যে যেতে পারবেন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যাত্রী।

পদ্মা সেতুতে রেল চলাচলের সুবিধা নিয়ে বুয়েটের যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, পদ্মাসেতু দিয়ে রেলপথে যাতায়াত শুরু হলে ঢাকায় জনসংখ্যা এবং যানজটও অনেকাংশেই কমে যাবে। কারণ এ পথে ভাঙ্গা দিয়ে কমলাপুর আসতে সময় লাগবে দেড় ঘণ্টা। অনেকেই তাদের বাসস্থান ঢাকার বাইরে রেখে কাজ করতে আসতে পারবেন ঢাকায়।

রেল মন্ত্রণালয় জানায়, ২০২৪ সালের মধ্যে শেষ হবে পুরো প্রকল্পের কাজ। টেকসই যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সব জেলাকে আনা হচ্ছে রেল সংযোগের আওতায়।

রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘আধুনিক ও যুগোপযোগী যোগাযোগ স্থাপনে মানুষের চাহিদা অনুযায়ী আমরা বাংলাদেশের রেল ব্যবস্থাকে পুনরায় গড়ে তুলছি।’

এ প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণ করা হয়েছে ২ হাজার ৪২৬ একর জমি।