ঢাকা ১২:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ক্ষণে ক্ষণে বিস্ফোরণ ঘটছে এসএ পরিবহনের ভবনে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০১:৪৪:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৪৩০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও ক্ষণে ক্ষণে বিস্ফোরণ ঘটছে রাজধানীর কাকরাইলে এসএ পরিবহন পার্সেল অ্যান্ড কুরিয়ার সার্ভিস কার্যালয় ভবন। সাধারণ পণ্যের সঙ্গেই পটকা, সিলিন্ডারসহ বিস্ফোরক জাতীয় পণ্য একই সঙ্গে রাখা ছিল বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

আজ সোমবার সকাল ১০টা ৫৮ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিসের মোট ১২টি ইউনিটের চেষ্টায় প্রায় ৪০ মিনিটেরও বেশি সময় পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কুরিয়ার সার্ভিসে সাধারণত বিস্ফোরক জাতীয় জিনিসপত্র আনলে সেগুলো আলাদা করে রাখার নিয়ম। এ ছাড়া যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানানোর নিয়ম। কিন্তু এসএ পরিবহনের অফিসে সেই নিয়ম মানা হয়নি। সাধারণ পণ্যের সঙ্গেই পটকা, সিলিন্ডারসহ বিস্ফোরক জাতীয় পণ্য একই সঙ্গে রাখা হয়েছে যা বড় ধরণের ব্যত্যয়। পোড়া শাড়ি, কাপড়, নকশি কাঁথা, হোমিওপ্যাথি ওষুধের কাঁচের কৌটা, সিগারেট, বিড়ি, হারবাল ওষুধ পাওয়া গেছে। আতসবাজি ছিল বস্তায়, সেগুলো ফুটে উঠছে কিছুক্ষণ পরপর।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের পরিচালক (প্রশিক্ষণ পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু আপনারা নিজেরাই দেখতে পাচ্ছেন যে, এখানে ক্ষণে ক্ষণে ছোট বড় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে। আমরা শুধু পানি ব্যবহার করছি না, এখানে ফোম স্প্রে করা হচ্ছে, যাতে করে ভেতরে পরিবেশটা একটু ঠান্ডা হয়। ফোম স্প্রে সঙ্গে আমরা ভেতরে বালিও ছিটিয়ে দিচ্ছি।’

ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে যেটা বুঝতে পারছি এখানে ফায়ার সেফটি ব্যবস্থা দুর্বল ছিল। সাধারণত যেটা নিয়ম কঠোরভাবে পরিপালন করতে হয়, সেটা হচ্ছে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে সারা দেশ থেকে আসা সাধারণ পণ্যগুলো আলাদা করে রাখা। বিস্ফোরক জাতীয় বা অন্য রাসায়নিক দ্রব্য জাতীয় পণ্য সঠিকভাবে আলাদা করে রক্ষণাবেক্ষণ করার নিয়ম। কিন্তু আমরা এখানে সেটি দেখছি না। সাধারণ পণ্যের সঙ্গে বিস্ফোরক ও রাসায়নিক দ্রব্যজাতীয় পণ্য একই সঙ্গে রাখা হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও যে কারণে ক্ষণে ক্ষণে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে।’

লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘আগুন পুরোপুরি নির্বাপনের পর আমরা বুঝতে পারব যে ভেতরে আসলে কী কী ধরনের জিনিস রাখা হয়েছিল। তাদের ফায়ার সেফটি সিকিউরিটির কাগজপত্র সব ঠিক আছে কিনা সেটি পর্যালোচনা করা হবে।’

এ বিষয়ে এসএ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের অগ্নি নির্বাপক ব্যাবস্থা আছে। ৪০ বছরে এমন ঘটনা প্রথম। এখানে কোনো বিস্ফোরক ছিল না, মধুর বোতল ব্লাস্ট হওয়ায় ঘটনাটি ঘটেছে। কেউ যদি শত্রুতার কারণে এমনটি ঘটিয়ে থাকে তা বিভাগীয় তদন্তে বেরিয়ে আসবে। আমাদের খুব বেশি ক্ষতি হয়নি, এগুলো মানুষের মালামাল। যাদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আলোচনার মাধ্যমে সবাইকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। আমাদের স্টাফরা যথেষ্ট আন্তরিক, এটা বড় কিছু না।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ক্ষণে ক্ষণে বিস্ফোরণ ঘটছে এসএ পরিবহনের ভবনে

আপডেট সময় : ০১:৪৪:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ অক্টোবর ২০২৩

আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও ক্ষণে ক্ষণে বিস্ফোরণ ঘটছে রাজধানীর কাকরাইলে এসএ পরিবহন পার্সেল অ্যান্ড কুরিয়ার সার্ভিস কার্যালয় ভবন। সাধারণ পণ্যের সঙ্গেই পটকা, সিলিন্ডারসহ বিস্ফোরক জাতীয় পণ্য একই সঙ্গে রাখা ছিল বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

আজ সোমবার সকাল ১০টা ৫৮ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিসের মোট ১২টি ইউনিটের চেষ্টায় প্রায় ৪০ মিনিটেরও বেশি সময় পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কুরিয়ার সার্ভিসে সাধারণত বিস্ফোরক জাতীয় জিনিসপত্র আনলে সেগুলো আলাদা করে রাখার নিয়ম। এ ছাড়া যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানানোর নিয়ম। কিন্তু এসএ পরিবহনের অফিসে সেই নিয়ম মানা হয়নি। সাধারণ পণ্যের সঙ্গেই পটকা, সিলিন্ডারসহ বিস্ফোরক জাতীয় পণ্য একই সঙ্গে রাখা হয়েছে যা বড় ধরণের ব্যত্যয়। পোড়া শাড়ি, কাপড়, নকশি কাঁথা, হোমিওপ্যাথি ওষুধের কাঁচের কৌটা, সিগারেট, বিড়ি, হারবাল ওষুধ পাওয়া গেছে। আতসবাজি ছিল বস্তায়, সেগুলো ফুটে উঠছে কিছুক্ষণ পরপর।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের পরিচালক (প্রশিক্ষণ পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু আপনারা নিজেরাই দেখতে পাচ্ছেন যে, এখানে ক্ষণে ক্ষণে ছোট বড় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে। আমরা শুধু পানি ব্যবহার করছি না, এখানে ফোম স্প্রে করা হচ্ছে, যাতে করে ভেতরে পরিবেশটা একটু ঠান্ডা হয়। ফোম স্প্রে সঙ্গে আমরা ভেতরে বালিও ছিটিয়ে দিচ্ছি।’

ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে যেটা বুঝতে পারছি এখানে ফায়ার সেফটি ব্যবস্থা দুর্বল ছিল। সাধারণত যেটা নিয়ম কঠোরভাবে পরিপালন করতে হয়, সেটা হচ্ছে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে সারা দেশ থেকে আসা সাধারণ পণ্যগুলো আলাদা করে রাখা। বিস্ফোরক জাতীয় বা অন্য রাসায়নিক দ্রব্য জাতীয় পণ্য সঠিকভাবে আলাদা করে রক্ষণাবেক্ষণ করার নিয়ম। কিন্তু আমরা এখানে সেটি দেখছি না। সাধারণ পণ্যের সঙ্গে বিস্ফোরক ও রাসায়নিক দ্রব্যজাতীয় পণ্য একই সঙ্গে রাখা হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও যে কারণে ক্ষণে ক্ষণে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে।’

লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘আগুন পুরোপুরি নির্বাপনের পর আমরা বুঝতে পারব যে ভেতরে আসলে কী কী ধরনের জিনিস রাখা হয়েছিল। তাদের ফায়ার সেফটি সিকিউরিটির কাগজপত্র সব ঠিক আছে কিনা সেটি পর্যালোচনা করা হবে।’

এ বিষয়ে এসএ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের অগ্নি নির্বাপক ব্যাবস্থা আছে। ৪০ বছরে এমন ঘটনা প্রথম। এখানে কোনো বিস্ফোরক ছিল না, মধুর বোতল ব্লাস্ট হওয়ায় ঘটনাটি ঘটেছে। কেউ যদি শত্রুতার কারণে এমনটি ঘটিয়ে থাকে তা বিভাগীয় তদন্তে বেরিয়ে আসবে। আমাদের খুব বেশি ক্ষতি হয়নি, এগুলো মানুষের মালামাল। যাদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আলোচনার মাধ্যমে সবাইকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। আমাদের স্টাফরা যথেষ্ট আন্তরিক, এটা বড় কিছু না।’