শরতের কাশ বনে লেগেছে দোলা, আর সেই আবেশে প্রস্তুতি চলছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার। দেশের বিভিন্নস্থানে তাই সাড়ম্বরে প্রস্তুতি চলছে। প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। মণ্ডপের সাজসজ্জার কাজও এগিয়ে চলেছে। খুলনা বিভাগে সার্বিক প্রস্তুতি দ্রুত এগিয়ে নিচ্ছেন আয়োজকরা। শারদীয় উৎসবে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নিরাপত্তা নিশ্চিতের কাজও এগিয়ে নিচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন।
আর কিছুদিন পরই শারদীয় দুর্গোৎসব। সনাতন ধর্মাবলম্বী বাঙালীদের সবচেয়ে বড় এ উৎসবকে ঘিরে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা। অভিজ্ঞ হাতের নিপুণ ছোঁয়ায় কাদামাটি দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে দেবী দুর্গাকে। জেলায় জেলায় চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
এবার খুলনা মহানগরে ১৩৫টি ও জেলায় ৯১০টি মণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত শিল্পী ও কারিগররা। মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে পূজার প্রস্তুতি। তবে বাঁশ, সূতা, কাপড় ও রং সহ অন্যান্য উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় এবার প্রতিমা তৈরিতে খরচ বেড়েছে।
শারদীয় দুর্গোৎসবে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়নের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোজাম্মেল হক।
এদিকে, সাতক্ষীরা জেলায় এবার ৬০৫টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা হবে। প্রতিমার খড় মাটির কাজ শেষ হয়েছে, গায়ে লাগছে রঙ। পুরাতন সাতক্ষীরা মায়ের বাড়ি, শ্যামনগরের আটুলিয়া, আশাশুনির মহেশ^রকাটিসহ কয়েকটি মণ্ডপে তৈরি হচ্ছে বড় প্রতিমা।
সাতক্ষীরার মণ্ডপগুলোতে তিন স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অন্যদিকে, মাগুরাতেও চলছে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি। জেলায় ৭০৫টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিমা তৈরীর কাজ অনেকদূর এগিয়েছে। মৃৎশিল্পীরা জানান, নির্মাণসামগ্রীর দাম বাড়ায় প্রতিমা তৈরীর ব্যয় নিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
আবহাওয়া ভাল থাকলে এবার দুর্গাপূজা আনন্দমুখর হবে বলে জানালেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।