ঢাকা ০৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

যেসব দেশ ফিলিস্তিনিদের মানবিক সহায়তা বন্ধ করল

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:৫০:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৪৩১ বার পড়া হয়েছে

ইসরায়েলি হামলার পর ফিলিস্তিনি শরণার্থী ক্যাম্পে মানবিক সহায়তা বন্ধ করেছে কয়েকটি দেশ

৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সর্বাত্মকভাবে গাজা উপত্যকা অবরোধে ইসরায়েলি ঘোষণার মধ্যেই এবার গাজাবাসীদের জন্যে মানবিক সহায়তা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রিয়া ও জার্মানি। সোমবার (৯ অক্টোবর) অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেক্সজেন্ডার শেলেনবার্গ জানিয়েছেন, দুই কোটি ডলারের সহায়তা সাময়িক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ইসরায়েলের মূলভূখণ্ডে সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলার জেরে এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এদিকে, জার্মানি রোববার থেকে সহায়তা বন্ধের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সোমবার দেশটির উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী সভেঞ্জা সালজে জানিয়েছেন, এই মুহূর্ত থেকে সহায়তার অর্থ ছাড় দেয়া হবে না। আমি সহায়তার অর্থ বন্ধের কথা বলছি না । আমরা গাজার পরিস্থিতি সবসময় পর্যবেক্ষণ করছি। প্রয়োজনে আমরা আরও কঠোর ব্যবস্থা নেব গাজায় অবস্থানরত জঙ্গিগোষ্ঠীদের বিরুদ্ধে।

ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার একদিন পর সোমবার (৯ অক্টোবর) গাজা উপত্যকায় সর্বাত্মক অবরোধ ঘোষণা করেছে ইসরায়েল। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইওয়াভ গ্যালান্ট আজ সোমবার এই ঘোষণা দেন।তেলআবিবের প্রতিরক্ষা বাহিনীর দক্ষিণাঞ্চলীয় কমান্ডের সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এর মধ্যে তিনি বলেছেন, ‘আমি গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণরূপে অবরোধের নির্দেশ দিয়েছি। বিদ্যুৎ, খাবার, গ্যাস–সেখানে সব কিছুর সরবরাহ বন্ধ থাকবে। আমরা ভয়ঙ্কর পশুদের সঙ্গে লড়াই করছি এবং আমাদের সেভাবেই পদক্ষেপ নিতে হবে।’ খবর বিবিসি।

গাজা উপত্যকার দৈর্ঘ্য ৪১ কিলোমিটার এবং এটি ১০ কিলোমিটার প্রশস্ত। সীমান্তের বড় অংশ রয়েছে ইসরায়েলের সঙ্গে, বাকিটা মিশরের সঙ্গে। প্রায় ২২ লাখ মানুষের বসবাস রয়েছে এখানে, যাতে এটা হয়ে উঠেছে বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার একটি।

পাল্টাপাল্টি সংর্ঘষের দ্বিতীয় দিনে রোববার সন্ধ্যায় ইসরায়েলের নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণের অনুমোদন দেয়, যাতে দেশটি সর্বাত্মক যুদ্ধে যেতে পারবে।

যুদ্ধের অনুমোদনের পরপরই গাজায় সামরিক হামলা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। এর আগে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজা উপত্যাকা গুড়িয়ে দেয়ার হুঁশিয়ারি দেন। তখন থেকে ধারণা করা হচ্ছে ইসরায়েল যেকোন সময় পদাতিক বাহিনী দিয়েও যুদ্ধে অংশ নেবেন।

শনিবার (৭ অক্টোবর) হামাস যোদ্ধারা ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের গানের অনুষ্ঠানকে লক্ষ্য করে সশস্ত্র হামলা চালায়। উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, তারা ইসরায়েলের সুপারনোভা সংগীত উৎসব স্থলে আড়াই শতাধিক মানুষের মৃতদেহ পেয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

যেসব দেশ ফিলিস্তিনিদের মানবিক সহায়তা বন্ধ করল

আপডেট সময় : ০২:৫০:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ অক্টোবর ২০২৩

সর্বাত্মকভাবে গাজা উপত্যকা অবরোধে ইসরায়েলি ঘোষণার মধ্যেই এবার গাজাবাসীদের জন্যে মানবিক সহায়তা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রিয়া ও জার্মানি। সোমবার (৯ অক্টোবর) অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেক্সজেন্ডার শেলেনবার্গ জানিয়েছেন, দুই কোটি ডলারের সহায়তা সাময়িক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ইসরায়েলের মূলভূখণ্ডে সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলার জেরে এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এদিকে, জার্মানি রোববার থেকে সহায়তা বন্ধের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সোমবার দেশটির উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী সভেঞ্জা সালজে জানিয়েছেন, এই মুহূর্ত থেকে সহায়তার অর্থ ছাড় দেয়া হবে না। আমি সহায়তার অর্থ বন্ধের কথা বলছি না । আমরা গাজার পরিস্থিতি সবসময় পর্যবেক্ষণ করছি। প্রয়োজনে আমরা আরও কঠোর ব্যবস্থা নেব গাজায় অবস্থানরত জঙ্গিগোষ্ঠীদের বিরুদ্ধে।

ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার একদিন পর সোমবার (৯ অক্টোবর) গাজা উপত্যকায় সর্বাত্মক অবরোধ ঘোষণা করেছে ইসরায়েল। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইওয়াভ গ্যালান্ট আজ সোমবার এই ঘোষণা দেন।তেলআবিবের প্রতিরক্ষা বাহিনীর দক্ষিণাঞ্চলীয় কমান্ডের সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এর মধ্যে তিনি বলেছেন, ‘আমি গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণরূপে অবরোধের নির্দেশ দিয়েছি। বিদ্যুৎ, খাবার, গ্যাস–সেখানে সব কিছুর সরবরাহ বন্ধ থাকবে। আমরা ভয়ঙ্কর পশুদের সঙ্গে লড়াই করছি এবং আমাদের সেভাবেই পদক্ষেপ নিতে হবে।’ খবর বিবিসি।

গাজা উপত্যকার দৈর্ঘ্য ৪১ কিলোমিটার এবং এটি ১০ কিলোমিটার প্রশস্ত। সীমান্তের বড় অংশ রয়েছে ইসরায়েলের সঙ্গে, বাকিটা মিশরের সঙ্গে। প্রায় ২২ লাখ মানুষের বসবাস রয়েছে এখানে, যাতে এটা হয়ে উঠেছে বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার একটি।

পাল্টাপাল্টি সংর্ঘষের দ্বিতীয় দিনে রোববার সন্ধ্যায় ইসরায়েলের নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণের অনুমোদন দেয়, যাতে দেশটি সর্বাত্মক যুদ্ধে যেতে পারবে।

যুদ্ধের অনুমোদনের পরপরই গাজায় সামরিক হামলা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। এর আগে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজা উপত্যাকা গুড়িয়ে দেয়ার হুঁশিয়ারি দেন। তখন থেকে ধারণা করা হচ্ছে ইসরায়েল যেকোন সময় পদাতিক বাহিনী দিয়েও যুদ্ধে অংশ নেবেন।

শনিবার (৭ অক্টোবর) হামাস যোদ্ধারা ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের গানের অনুষ্ঠানকে লক্ষ্য করে সশস্ত্র হামলা চালায়। উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, তারা ইসরায়েলের সুপারনোভা সংগীত উৎসব স্থলে আড়াই শতাধিক মানুষের মৃতদেহ পেয়েছেন।