ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতে নিহত দেড় হাজার ছাড়িয়েছে

- আপডেট সময় : ০৫:৩৩:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০২৩
- / ৩৪৩ বার পড়া হয়েছে

গাজা উপত্যকা পুরোপুরি অবরোধ করার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল। বন্ধ করা হয়েছে পশ্চিম তীরের প্রবেশপথও। এরই মধ্যে ৩ লাখ রিজার্ভ সেনা সদস্যকে তলব করেছে দেশটি। অন্যদিকে পাল্টা অবস্থানে রয়েছে হামাস। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলায় এখন পর্যন্ত দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এ ছাড়া দুই পক্ষে আহতের সংখ্যা ৬ হাজারের বেশি।
ইসরায়েলের দাবি, হামাসের হামলায় তিন দিনে অন্তত ৯০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দাবি, ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় গাজায় মারা গেছে কমপক্ষে ৭০৪ ফিলিস্তিনি। জাতিসংঘ বলছে, বাস্তুচ্যুত হয়েছে গাজার লক্ষাধিক বাসিন্দা।
আজ মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও আল জাজিরার প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
এদিকে হামাসের হঠাৎ হামলার পর গাজা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে ইসরায়েল। সাঁজোয়া যান, ট্যাংকসহ ভারী যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে সীমান্তে অবস্থান নিয়েছে অন্তত এক লাখ ইসরায়েলি সেনা। হামাসকে পাল্টা জবাব দিতে তলব করা হয়েছে তিন লাখ রিজার্ভ সেনাকে। বিদেশে অবস্থানরত সেনাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করেছে ইসরায়েল।
গাজার সীমান্তবর্তী এলাকা ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও দু–পক্ষের মধ্যে এখনও বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ ঘটছে। এরই মধ্যে গাজা উপত্যকাকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত।
ইসরায়েল প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত বলেন, ‘আমরা গাজায় সম্পূর্ণ অবরোধ আরোপ করছি। সেখানে বিদ্যুৎ থেকে শুরু করে খাবার, পানি, জ্বালানি কোনোকিছু থাকবে না। আমরা মানুষরূপী পশুর বিরুদ্ধে লড়ছি, তাই সেভাবেই পদক্ষেপ নিচ্ছি।’
এদিকে রাশিয়া মনে করে, আলাদা ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনই হচ্ছে শান্তি প্রতিষ্ঠার নির্ভরযোগ্য সমাধান। মস্কো সফররত আরব লীগের প্রধান আহমেদ আবুল গীতের সঙ্গে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেন, ‘শুধু সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে লড়াই করা নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে না।’
রাশিয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেন, ‘ফিলিস্তিনের সমস্যা আর বিলম্বিত করা উচিত নয়। জাতিসংঘের সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। আলাদা ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা, যা ইসরায়েলের পাশাপাশি টিকে থাকবে- এটাই সংকট সমাধানের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সমাধান। আমার বিশ্বাস, এক্ষেত্রে আরব লীগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
গাজায় প্রায় ২৩ লাখ ফিলিস্তিনি বাস করে। ২০০৭ সাল থেকেই গাজার আকাশ, স্থল ও সমুদ্র অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরায়েল। তাই, মূলত আন্তর্জাতিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল সেখানকার বাসিন্দারা।