ঢাকা ০৮:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বিশ্বকাপের সব রেকর্ড ভেঙে জিতল পাকিস্তান

ক্রীড়া ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৬:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৩৪০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দিনের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩৬৪ রান তুলেছিল ইংল্যান্ড। তাড়া করতে নেমে রান পাহাড়ে চাপা পড়ে বাংলাদেশ হেরেছে ১৩৭ রানে। দিনের দ্বিতীয় খেলায় শ্রীলঙ্কা ৩৪৪ রান তোলার পর মনে হয়েছিল, এ ম্যাচটাও একপেশে হতে যাচ্ছে। কিন্তু হায়দরাবাদের ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে পাকিস্তান গড়ল বিশ্বকাপের রেকর্ড। ১০ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের জয় পাকিস্তানের।

বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারানোর স্বাদটা তাই ২০২৩ সালে এসেও অধরা থাকল শ্রীলঙ্কার।

বিশ্বকাপে রান তাড়া করার রেকর্ডটি ছিল আয়ারল্যান্ডের। ২০১১ সালে কেভিন ও’ব্রায়ানের বিশ্বকাপের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডে ইংল্যান্ডের ৩২৭ তাড়া করে জিতেছিল আইরিশরা। কেভিনের সে রেকর্ড এই বিশ্বকাপেই ভেঙে দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার এইডেন মার্করাম। তাড়া করার রেকর্ডটাও ভাঙল এই বিশ্বকাপে।

শুরুটা পাকিস্তানের জন্য মোটেও ভালো বার্তা দেয়নি। দিলশান মাদুশঙ্কার বলে ইমাম উল হক ও বাবর আজম ফিরে যান দ্রুত। ৩৭ রানে ২ উইকেট হারানো পাকিস্তানকে অবশ্য চাপে পড়তে দেননি আব্দুল্লাহ শফিক ও মোহাম্মদ রিজয়ান। কখনোই শ্রীলঙ্কান বোলারদের থিতু হতে দেননি। নিয়মিত বিরতিতে বাউন্ডারি মেরেছেন, আর সারাক্ষণ প্রান্ত বদল করেছেন দুজন।

জুটিতে আগ্রাসী ছিলেন শফিকই। ৯৭ বলে সেঞ্চুরি ছোঁয়া শফিক ১১৩ রানে বিদায় নিলে ভাঙে ১৫৬ বলে ১৭৬ রানের জুটি। ততক্ষোনে পাকিস্তান জয়ের গন্ধ পেয়ে গেছে। জয়ের জন্য বাকি ১০১ বলে ১৩২ রান দরকার ছিল পাকিস্তানের।

রিজওয়ান ছিলেন, সউদ শাকিলও দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন তাঁকে। লঙ্কান বোলারদের নিয়ন্ত্রণহীন বোলিং, বাজে কিপিং, ফিল্ডিং ও ক্যাচ মিসও পাকিস্তানকে সাহায্য করেছে বেশ। শুধু মহীশ তিকশানার এক ওভারেই তিনবার ক্যাচ পড়েছে। এর মধ্যে একটি একটু কঠিন হলেও বাকি দুটি শ্রীলঙ্কার ফিল্ডারদের হাতছাড়া হওয়াটা মানা কঠিন।

জয় থেকে ৩৭ রান দূরে থাকা অবস্থায় তিকশানার বলে ক্যাচ দেন শাকিল (৩১)। কিন্তু ওই ওভার শেষ হতেই লক্ষ্য হাতের নাগালে পেয়েযায় পাকিস্তান। ৩০ বলে মাত্র ৩১ রান দরকার তখন রিজওয়ানদের। ইফতিখার আহমেদকে নিয়ে তাই ধীরস্থিরভাবে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে গেছেন পাকিস্তানের উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। ১৩১ রানে অপরাজিত ছিলেন রিজওয়ান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর :
শ্রীলঙ্কা : ৫০ ওভারে ৩৪৪/৯ (নিশানকা ৫১, পেরেরা ০, কুশল ১২২, সামারাবিক্রমা ১০৮, আসালাঙ্কা ১, ধনঞ্জয়া ২৫, শানাকা ১২, দুনিথ ১০, থিকসানা ০, পাথিরানা ১; আফ্রিদি ৯-০-৬৬-১, হাসান ১০-০-৭১-৩, নেওয়াজ ৯-০-৬২-১, হারিস ১০-০-৬৪-২, শাদাব ৮-০-৫৫-১, ইফতেখার ৪-০-২২-০)।

পাকিস্তান : ৪৮.২ ওভারে ৩৪৫/৪ (শফিক ১১৩, ইমাম ১২, বাবর ১০, রিজওয়ান ১৩১*, শাকিল ৩১, ইফতিখার ২২*; থিকসানা ১০-০-৫৯-১, মধুশঙ্কা ৯.২-০-৬০-২, শানাকা ৫-০-২৮-০, পাথিরানা ৯-০-৯০-১, দুনিথ ১০-০-৬২-২, সিলভা ৪-০-৩৬-০, আসালাঙ্কা ১-০-১০-০)

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

বিশ্বকাপের সব রেকর্ড ভেঙে জিতল পাকিস্তান

আপডেট সময় : ০৫:৩৬:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০২৩

দিনের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩৬৪ রান তুলেছিল ইংল্যান্ড। তাড়া করতে নেমে রান পাহাড়ে চাপা পড়ে বাংলাদেশ হেরেছে ১৩৭ রানে। দিনের দ্বিতীয় খেলায় শ্রীলঙ্কা ৩৪৪ রান তোলার পর মনে হয়েছিল, এ ম্যাচটাও একপেশে হতে যাচ্ছে। কিন্তু হায়দরাবাদের ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে পাকিস্তান গড়ল বিশ্বকাপের রেকর্ড। ১০ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের জয় পাকিস্তানের।

বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারানোর স্বাদটা তাই ২০২৩ সালে এসেও অধরা থাকল শ্রীলঙ্কার।

বিশ্বকাপে রান তাড়া করার রেকর্ডটি ছিল আয়ারল্যান্ডের। ২০১১ সালে কেভিন ও’ব্রায়ানের বিশ্বকাপের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডে ইংল্যান্ডের ৩২৭ তাড়া করে জিতেছিল আইরিশরা। কেভিনের সে রেকর্ড এই বিশ্বকাপেই ভেঙে দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার এইডেন মার্করাম। তাড়া করার রেকর্ডটাও ভাঙল এই বিশ্বকাপে।

শুরুটা পাকিস্তানের জন্য মোটেও ভালো বার্তা দেয়নি। দিলশান মাদুশঙ্কার বলে ইমাম উল হক ও বাবর আজম ফিরে যান দ্রুত। ৩৭ রানে ২ উইকেট হারানো পাকিস্তানকে অবশ্য চাপে পড়তে দেননি আব্দুল্লাহ শফিক ও মোহাম্মদ রিজয়ান। কখনোই শ্রীলঙ্কান বোলারদের থিতু হতে দেননি। নিয়মিত বিরতিতে বাউন্ডারি মেরেছেন, আর সারাক্ষণ প্রান্ত বদল করেছেন দুজন।

জুটিতে আগ্রাসী ছিলেন শফিকই। ৯৭ বলে সেঞ্চুরি ছোঁয়া শফিক ১১৩ রানে বিদায় নিলে ভাঙে ১৫৬ বলে ১৭৬ রানের জুটি। ততক্ষোনে পাকিস্তান জয়ের গন্ধ পেয়ে গেছে। জয়ের জন্য বাকি ১০১ বলে ১৩২ রান দরকার ছিল পাকিস্তানের।

রিজওয়ান ছিলেন, সউদ শাকিলও দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন তাঁকে। লঙ্কান বোলারদের নিয়ন্ত্রণহীন বোলিং, বাজে কিপিং, ফিল্ডিং ও ক্যাচ মিসও পাকিস্তানকে সাহায্য করেছে বেশ। শুধু মহীশ তিকশানার এক ওভারেই তিনবার ক্যাচ পড়েছে। এর মধ্যে একটি একটু কঠিন হলেও বাকি দুটি শ্রীলঙ্কার ফিল্ডারদের হাতছাড়া হওয়াটা মানা কঠিন।

জয় থেকে ৩৭ রান দূরে থাকা অবস্থায় তিকশানার বলে ক্যাচ দেন শাকিল (৩১)। কিন্তু ওই ওভার শেষ হতেই লক্ষ্য হাতের নাগালে পেয়েযায় পাকিস্তান। ৩০ বলে মাত্র ৩১ রান দরকার তখন রিজওয়ানদের। ইফতিখার আহমেদকে নিয়ে তাই ধীরস্থিরভাবে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে গেছেন পাকিস্তানের উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। ১৩১ রানে অপরাজিত ছিলেন রিজওয়ান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর :
শ্রীলঙ্কা : ৫০ ওভারে ৩৪৪/৯ (নিশানকা ৫১, পেরেরা ০, কুশল ১২২, সামারাবিক্রমা ১০৮, আসালাঙ্কা ১, ধনঞ্জয়া ২৫, শানাকা ১২, দুনিথ ১০, থিকসানা ০, পাথিরানা ১; আফ্রিদি ৯-০-৬৬-১, হাসান ১০-০-৭১-৩, নেওয়াজ ৯-০-৬২-১, হারিস ১০-০-৬৪-২, শাদাব ৮-০-৫৫-১, ইফতেখার ৪-০-২২-০)।

পাকিস্তান : ৪৮.২ ওভারে ৩৪৫/৪ (শফিক ১১৩, ইমাম ১২, বাবর ১০, রিজওয়ান ১৩১*, শাকিল ৩১, ইফতিখার ২২*; থিকসানা ১০-০-৫৯-১, মধুশঙ্কা ৯.২-০-৬০-২, শানাকা ৫-০-২৮-০, পাথিরানা ৯-০-৯০-১, দুনিথ ১০-০-৬২-২, সিলভা ৪-০-৩৬-০, আসালাঙ্কা ১-০-১০-০)