১০:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হামাসকে সহযোগিতা করেছে কিছু ইসরায়েলি সেনা: রিপোর্ট

ইসরায়েলে ফিলিস্তানের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস রকেট হামলা চালানোর পর বিভিন্ন মহল থেকে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। ইসরায়েলের নিরাপত্তা বলয় ভেঙে কীভাবে দেশটিতে হামাস এত বড় অভিযান পরিচালনা করেছে তা নিয়ে চলছে ব্যাপক বিশ্লেষণ।

হামাসের এই হামলা নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন ইরানের তাসনিম বার্তা সংস্থা। ‘আল-আকসা তুফান’ নামে হামাস যে অভিযান পরিচালনা করেছে তাতে ইসরায়েলের সেনা সদস্যরা গোয়েন্দা তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছে বলে তাসনিম নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

ইরানের তাসনিম নিউজ এজেন্সিকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে এমনটাই দাবি করেছেন ফিলিস্তিনি এক কর্মকর্তা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফিলিস্তিনি ওই কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা তাসনিমকে বলেন, সুনির্দিষ্ট কিছু ইসরাইলি সেনা সদস্যের সঙ্গে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠনগুলোর বহুদিন ধরে সম্পর্ক রয়েছে। ওই সম্পর্কের জের ধরে ইসরাইলের বহু গোপন ও স্পর্শকাতর তথ্য পাচ্ছিলেন ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা।

তিনি বলেন, ইসরায়েলের এলাকাগুলোতে অনুপ্রবেশ করতে ওই সব তথ্য অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এছাড়া গোয়েন্দা সংস্থার সত্য সংগ্রহের পাশাপাশি ফিলিস্তিনিরা দীর্ঘদিন ধরে ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর কাছ থেকে তাদের অস্ত্রসস্ত্রের একটি বড় অংশ সংগ্রহ করে আসছিল।

ইসরাইলের হিব্রু ভাষার বিভিন্ন গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে তাসনিম নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ইসরায়েলে যেসব রিজার্ভ সৈন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে, তাদের মধ্যে মাদকাসক্তির পরিমাণ বেড়ে গেছে। এ কারণে তারা মাদক কেনার টাকা সংগ্রহ করতে এবং সরাসরি মাদকের বিনিময়ে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের কাছে তাদের অস্ত্রসস্ত্র বিক্রি করে দেয়। বিষয়টি ইসরাইলি সেনা কমান্ডারদের জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ইসরাইলের ১৩ টিভি চ্যানেলের খবরে বলা হয়েছিল, ইসরায়েলের আলেক্সান্দ্রনি ব্রিগেডের একটি ঘাঁটি থেকে এম১৬ রাইফেলের এক লাখ চুরি হয়ে গেছে। পরে দেশটির পুলিশ জানায় চুরি যাওয়া গুলির সংখ্যা ছিল দেড় লাখ।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠনগুলো সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এমন কিছু সমরাস্ত্র ব্যবহার করেছে যা ইসরায়েল সেনাবাহিনী ব্যবহার করে।

শনিবার ফিলিস্তিনি যোদ্ধারে ইসরায়েলের ২০ জেলার ৮০ স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। এছাড়া তারা ওই দিন ইসরায়েলের ১১ সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালায়।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশ অনুমোদন

হামাসকে সহযোগিতা করেছে কিছু ইসরায়েলি সেনা: রিপোর্ট

আপডেট : ১০:৪২:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০২৩

ইসরায়েলে ফিলিস্তানের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস রকেট হামলা চালানোর পর বিভিন্ন মহল থেকে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। ইসরায়েলের নিরাপত্তা বলয় ভেঙে কীভাবে দেশটিতে হামাস এত বড় অভিযান পরিচালনা করেছে তা নিয়ে চলছে ব্যাপক বিশ্লেষণ।

হামাসের এই হামলা নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন ইরানের তাসনিম বার্তা সংস্থা। ‘আল-আকসা তুফান’ নামে হামাস যে অভিযান পরিচালনা করেছে তাতে ইসরায়েলের সেনা সদস্যরা গোয়েন্দা তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছে বলে তাসনিম নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

ইরানের তাসনিম নিউজ এজেন্সিকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে এমনটাই দাবি করেছেন ফিলিস্তিনি এক কর্মকর্তা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফিলিস্তিনি ওই কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা তাসনিমকে বলেন, সুনির্দিষ্ট কিছু ইসরাইলি সেনা সদস্যের সঙ্গে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠনগুলোর বহুদিন ধরে সম্পর্ক রয়েছে। ওই সম্পর্কের জের ধরে ইসরাইলের বহু গোপন ও স্পর্শকাতর তথ্য পাচ্ছিলেন ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা।

তিনি বলেন, ইসরায়েলের এলাকাগুলোতে অনুপ্রবেশ করতে ওই সব তথ্য অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এছাড়া গোয়েন্দা সংস্থার সত্য সংগ্রহের পাশাপাশি ফিলিস্তিনিরা দীর্ঘদিন ধরে ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর কাছ থেকে তাদের অস্ত্রসস্ত্রের একটি বড় অংশ সংগ্রহ করে আসছিল।

ইসরাইলের হিব্রু ভাষার বিভিন্ন গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে তাসনিম নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ইসরায়েলে যেসব রিজার্ভ সৈন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে, তাদের মধ্যে মাদকাসক্তির পরিমাণ বেড়ে গেছে। এ কারণে তারা মাদক কেনার টাকা সংগ্রহ করতে এবং সরাসরি মাদকের বিনিময়ে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের কাছে তাদের অস্ত্রসস্ত্র বিক্রি করে দেয়। বিষয়টি ইসরাইলি সেনা কমান্ডারদের জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ইসরাইলের ১৩ টিভি চ্যানেলের খবরে বলা হয়েছিল, ইসরায়েলের আলেক্সান্দ্রনি ব্রিগেডের একটি ঘাঁটি থেকে এম১৬ রাইফেলের এক লাখ চুরি হয়ে গেছে। পরে দেশটির পুলিশ জানায় চুরি যাওয়া গুলির সংখ্যা ছিল দেড় লাখ।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠনগুলো সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এমন কিছু সমরাস্ত্র ব্যবহার করেছে যা ইসরায়েল সেনাবাহিনী ব্যবহার করে।

শনিবার ফিলিস্তিনি যোদ্ধারে ইসরায়েলের ২০ জেলার ৮০ স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। এছাড়া তারা ওই দিন ইসরায়েলের ১১ সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালায়।