ইসরায়েলের সহায়তা মার্কিন রণতরী পাঠানোর সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বলেছেন, আমেরিকার এই পদক্ষেপ গাজায় বড় বিপর্যয় ডেকে আনবে।
আঙ্কারায় সফররত অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর কার্ল নেহাম্মারের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এরদোগান একথা বলেন।
এসময় এরদোয়ান সতর্ক করে বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততা গাজা উপত্যকায় মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করবে। তুর্কি প্রেসিডেন্টকে উদ্বৃতি করে এ তথ্য জানিয়েছ সংবাদ মাধ্যম ব্লুমবার্গ।
তুরস্ক প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমাকে কেউ বলবে, যুক্তরাষ্ট্রের রণতরী ঠিক কী করতে পাঠানো হচ্ছে। ইসরায়েলে এর কাজ কী? সুসজ্জিত করে এই রণতরী পাঠানো হচ্ছে, যা গাজা, এবং এর আশেপাশের অঞ্চলকে মাটির সাথে মিশিয়ে দেবে। যা ভয়বাহ বিপর্যয় ডেকে আনবে।’
এরদোয়ান ইসরায়েলি হামলার সমালোচনা করে বলেন, ইসরায়েলি সেনারা লজ্জাজনক পদ্ধতিতে ঘনবসতিপূর্ণ গাজা উপত্যকায় আক্রমণ করে।
‘বেসামরিক স্থানগুলিতে বোমা হামলা, বেসামরিক লোকদের হত্যা, মানবিক সহায়তা অবরুদ্ধ করা এবং এইগুলিকে অর্জন হিসাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করা একটি সংস্থার কাজ, রাষ্ট্রের নয়’।
শনিবার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অপারেশন আল আকসা ফ্লাড শুরু করে হামাস। প্রথম দিন থেকেই ইসরায়েলের পাশে রয়েছে দীর্ঘদিনের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। হামাসের সমালোচনার পাশাপাশি ইসরায়েলকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে আসছে বাইডেন প্রশাসন।
মঙ্গলবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনালাপে পূর্ণ সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হামাসের হামলকে জঙ্গি সংগঠন আইএসের সাথে তুলনা করেছেন বাইডেন।
জো বাইডেন বলেছেন, আমেরিকা ইসরায়েলের পাশে রয়েছে। এনিয়ে কোন সন্দেহ নেই। ইহুদি ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ইসরায়েল সবসময়ের মত নিজেকে রক্ষা করতে পারে, তা নিশ্চিত করবো আমরা।একই ভাবে সন্ত্রাসবাদের কোন যৌক্তিকতা নেই। হামাস ফিলিস্তিনি জনগণের মর্যাদা ও অধিকারের জন্য কখনো দাঁড়ায়নি। বরং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে হামাস।
এদিকে বাইডেনের এই বক্তব্যকে ইসরায়েলি দমন-পীড়ন আড়াল করার কৌশল বলে সমালোচনা করেছে হামাস। তাদের অভিযোগ, গোটা বিশ্বের সামনে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরায়েল যে গণহত্যা চালাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র কখনোই সে বিষয়ে কথা বলে না।