স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আমি মনে করি নির্বাচনের সময় তাদের (বিএনপি) প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। নির্বাচন ছাড়া সরকার পরিবর্তনের সুযোগ নেই। আমাদের কমিটমেন্ট হচ্ছে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়া।
বুধবার (১১ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ঢাকায় আসা যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পর এ মন্তব্য করেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্বে একটা ভায়োলেন্স ও টেরোরিস্ট ফ্রি (নির্বাচনী) পরিবেশের সুবাতাস এখন বইছে আমাদের দেশে। প্রধানমন্ত্রী আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন।’
এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে অতীতে সহিংসতামুক্ত নির্বাচন হওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সবাই নির্বাচনী কাজে থাকবে। তবে আনসার একটি বড় ভূমিকা রাখবে। কারণ তাদের সংখ্যাটি বিশাল।
‘নির্বাচন একটি উৎসবের মতো। স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স এই সরকারেরই অবদান। এখানে গণমাধ্যম মুক্ত। কারচুপি করে কেউ পার পাবে না ‘মন্তব্য করেন আসাদুজ্জামান কামাল।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোও মনে করে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে।’ এ কারণেই কেউ কারচুপি করার মানসিকতা রাখে না বলে দাবি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর।
মার্কিন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের প্রসঙ্গ তুলে কামাল বলেন, প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রতিনিধিদলের জানার ছিল। বিরোধীদলের প্রার্থীরা স্বাধীনভাবে প্রচার চালাতে পারবেন কিনা সে বিষয়েও জানতে চেয়েছেন।
‘তাদের মূল ভাবনা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিয়ে। কোনো প্রার্থী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগলে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী কী ব্যবস্থা রেখেছে, তাও জানতে চেয়েছেন প্রতিনিধিদলের সদস্যরা।’
তবে এই ধরনের সহিংস পরিস্থিতি এখন আর বাংলাদেশের নির্বাচনে তৈরি হয় না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ছাড়া সরকার পরিবর্তনের কোন সুযোগ নেই। কাউকে সরকারে আসতে হলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। সংবিধানে বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে পরিচালিত ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউটের (এনডিআই) প্রতিনিধিরা প্রাক নির্বাচনী সফরে দেশের বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করছেন।
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন, আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও নির্বাচন কমিশনের সঙ্গেও বৈঠক করেছে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা।