কৈলাস থেকে মর্ত্যে আসবেন দেবী দুর্গা। দেশজুড়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে তাই চলছে দেবী বন্দনার প্রস্তুতি। শারদীয় দুর্গোৎসবকে ঘিরে এখন প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিল্পীরা। পাশাপাশি চলছে মণ্ডপ তৈরি, পূজার প্রস্তুতিসহ আনুসাঙ্গিক কাজ।
নীলাকাশ, সাদা মেঘের ভেলা আর কাশফুল জানান দিচ্ছে দেবী দুর্গার আগমনের। ২০শে অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে শারদীয় দুর্গোৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় উৎসব সামনে রেখে সারাদেশে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
এবছর রংপর জেলায় ৯৫৭টি মন্ডপে অনুষ্ঠিত হবে দুর্গাপূজা। মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে প্রতিমা গড়ার কাজ। প্রতিমার পূর্ণ অবয়ব দিতে ব্যস্ত কারিগররা। রং তুলির ছোঁয়ায় দেবীকে রাঙিয়ে তুলছেন শিল্পীরা। এ বছরও রংপুরে জাকজমকপূর্ণ দুর্গোৎসব উদযাপনের আশা করছেন আয়োজকরা ।
এদিকে, দেবী দুর্গাকে বরণ করে নিতে ঠাকুরগাঁওয়ের ৪৫৯টি মণ্ডপে চলছে পূজার প্রস্তুতি। অনেক মণ্ডপে প্রতিমার অবয়ব সম্পূর্ণ হয়েছে। এখন চলছে রংতুলির কাজ। তবে প্রতিমা তৈরির উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে কারিগররা।
সবাইকে নিয়ে আনন্দমুখর পরিবেশে উৎসব উদযাপনের কথা জানালেন ঠাকুরগাঁও পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অরুনাংশু দত্ত টিটো।
দুর্গোৎসব শান্তিপূর্ণ করতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানালেন ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক।
দিনাজপুরের মণ্ডপগুলোতেও এখন চলছে দেবী দুর্গাকে রাঙিয়ে তোলার কাজ। আয়োজকরা ব্যস্ত পূজা আয়োজনে। ঢাক বাজিয়ে মা দুর্গাকে বরণ করার অপেক্ষায় রয়েছেন ভক্তরা।
নীলফামারী জেলায় এ বছর ৯০১টি মন্ডপে হবে শারদীয় দুর্গোৎসব। মণ্ডপগুলোতে চলছে প্রতিমা তৈরি ও সাজ-সজ্জার কাজ।
শারদীয় উৎসব ঘিরে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক। শারদীয় দুর্গোৎসবের মধ্য দিয়ে সব ধর্মের মানুষের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন আরো দৃঢ় হবে, এমনটাই প্রত্যাশা সবার।