বিএনপিকে জনগণকে বিভ্রান্ত না করার আহ্বান
- আপডেট সময় : ০২:৫৪:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ অক্টোবর ২০২৩
- / ৪২৬ বার পড়া হয়েছে
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতৃবৃন্দকে কা-জ্ঞানহীন মিথ্যাচারের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত না করার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার (১১ ই অক্টোবর) এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের মানুষের কল্যাণে সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা একের পর এক মেগাপ্রকল্প উদ্বোধন করে যাচ্ছেন, যা বিএনপি নেতাদের গাত্রদাহের সৃষ্টি করছে। এ কারণেই রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে বিএনপি নেতৃবৃন্দ।
রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপি কোনো উন্নয়ন করেনি বরং দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত থেকে বাংলাদেশের ললাটে টানা পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ^ চ্যাম্পিয়নের কালিমা লেপন করেছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু ট্যানেল, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মতো মেগা প্রকল্প নিয়ে ধারাবাহিকভাবে অবান্তর ও মিথ্যা বক্তব্য প্রদান করছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমেরিকা-ইউরোপসহ পৃথিবীর উন্নত দেশে পারমাণবিক শক্তি আজ মানবিক কল্যাণে ব্যবহৃত হচ্ছে। বাংলাদেশ ছাড়াও বিশে^র ৩২টি দেশে ৪৩৮টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে। সমস্ত পৃথিবীতে উৎপাদিত বিদ্যুতের শতকরা ১০ ভাগ আসে পারমাণবিক শক্তি থেকে। ফ্রান্সে শতকরা ৭৫ ভাগ ও যুক্তরাষ্ট্রে শতকরা ২০ ভাগ বিদ্যুৎ পারমাণবিক শক্তি থেকে উৎপাদিত হচ্ছে। শূন্য কার্বন নিঃসরণের কারণে এটি সর্বোচ্চ পরিবেশবান্ধব। এ ধরনের পরিবেশবান্ধব ও সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন বিএনপির পছন্দ নয়, তাই তারা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে আজ বিষোদগার করছে। কতটা সংকীর্ণ মানসিকতার হলে, বিএনপির মহাসচিবসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এ ধরনের মেগাপ্রকল্প বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিতে পারে!
তিনি বলেন, ‘দেশবাসী জানে, তাদের রাজনীতির হাতিয়ার হচ্ছে গুজব-মিথ্যাচার আর অপপ্রচার। যে দলের শীর্ষ নেতা ‘জোড়া তালির পদ্মা সেতুতে কেউ উঠবে না’ বলে হুমকি দিয়েছিল, সে দলের মহাসচিবের পক্ষেই এ ধরনের অবান্তর ও কা-জ্ঞানহীন বক্তব্য প্রদান করা সম্ভব। পলিটিক্যাল হিউমারের বিষয়বস্তুকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার মতলব পরিহার করুন। রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত মিথ্যাচারের জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন।’
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এমপি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কখনো হত্যার রাজনীতি করে না। হত্যাকারীর দল হলো বিএনপি। বিএনপি নেতারা বিশ^জনীন স্বীকৃত সত্যকে বিকৃত করে দেশে আজ সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের জাতীয় নেতৃবৃন্দকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট নারকীয় গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল বিএনপি।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা মানবিক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর হত্যা প্রচেষ্টার ষড়যন্ত্রকারী, ফৌজদারী অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। উদার মানবিকতার এমন নজির আর কোথায় আছে?