ঢাকা ০২:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

গাজায় যুদ্ধ থামার লক্ষণ নেই, বাড়ছে হতাহত

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:০২:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৫২৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ফিলিস্তিনের ইসলামপন্থী দল হামাস-ইসরায়েল সংঘাতে এ পর্যন্ত ইসরায়েলে ১২শ এবং গাজায় ২৬০ শিশুসহ ১১শর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত ছাড়িয়েছে ৯ হাজার। বিকল হয়ে পড়েছে গাজার একমাত্র বিদ্যুৎকেন্দ্র।

এদিকে, জরুরি সরকার গঠনে সম্মত হয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও বিরোধীদলীয় নেতা বেনি গ্যান্তজ। পঞ্চম দিনে গড়িয়েছে হামাস-ইসরায়েলের সংঘাত। এখনও এই যুদ্ধ থামার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। বরং প্রতিদিন বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা।

বুধবার রাতে গাজায় ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে ৫১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলের হামলায় ধসে পড়ছে গাজার একের পর এক স্থাপনা। উপত্যকাটিতে পানি-বিদ্যুৎ আর খাবারের সংকটে মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে বুধবার গাজার কাছে একটি গ্যাস ফিল্ড বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনিদের দখলে থাকা ভূখণ্ডটিতে হামলার তীব্রতা আরও বাড়বে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

এদিকে ইসরায়েল ও হামাস দুই পক্ষের বিরুদ্ধেই যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘ। গাজায় যুদ্ধাপরাধ তদন্ত করার কথা জানিয়েছে সংস্থাটি। আন্তর্জাতিক আইন লঙঘনকারীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছে তারা।সেইসঙ্গে ইসরায়েল এবং হামাস দুই পক্ষের প্রতি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।

হামাসের হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় ইসরায়েলের পাল্টা হামলা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করতে পারে বলে জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল। তিনি বলেন, নিজেদের রক্ষা করা ইসরায়েলের অধিকার তবে এমন কিছু করা উচিৎ নয় যা আন্তর্জাতিক আইন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন করে।

গাজার বেসামরিক নাগরিকদের জন্য নিরাপদ পথ তৈরির চেষ্টা করার বিষয়ে ইসরাইল ও মিশরের সাথে আলোচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় যুদ্ধ থামার লক্ষণ নেই, বাড়ছে হতাহত

আপডেট সময় : ০৭:০২:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৩

ফিলিস্তিনের ইসলামপন্থী দল হামাস-ইসরায়েল সংঘাতে এ পর্যন্ত ইসরায়েলে ১২শ এবং গাজায় ২৬০ শিশুসহ ১১শর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত ছাড়িয়েছে ৯ হাজার। বিকল হয়ে পড়েছে গাজার একমাত্র বিদ্যুৎকেন্দ্র।

এদিকে, জরুরি সরকার গঠনে সম্মত হয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও বিরোধীদলীয় নেতা বেনি গ্যান্তজ। পঞ্চম দিনে গড়িয়েছে হামাস-ইসরায়েলের সংঘাত। এখনও এই যুদ্ধ থামার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। বরং প্রতিদিন বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা।

বুধবার রাতে গাজায় ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে ৫১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলের হামলায় ধসে পড়ছে গাজার একের পর এক স্থাপনা। উপত্যকাটিতে পানি-বিদ্যুৎ আর খাবারের সংকটে মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে বুধবার গাজার কাছে একটি গ্যাস ফিল্ড বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনিদের দখলে থাকা ভূখণ্ডটিতে হামলার তীব্রতা আরও বাড়বে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

এদিকে ইসরায়েল ও হামাস দুই পক্ষের বিরুদ্ধেই যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘ। গাজায় যুদ্ধাপরাধ তদন্ত করার কথা জানিয়েছে সংস্থাটি। আন্তর্জাতিক আইন লঙঘনকারীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছে তারা।সেইসঙ্গে ইসরায়েল এবং হামাস দুই পক্ষের প্রতি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।

হামাসের হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় ইসরায়েলের পাল্টা হামলা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করতে পারে বলে জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল। তিনি বলেন, নিজেদের রক্ষা করা ইসরায়েলের অধিকার তবে এমন কিছু করা উচিৎ নয় যা আন্তর্জাতিক আইন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন করে।

গাজার বেসামরিক নাগরিকদের জন্য নিরাপদ পথ তৈরির চেষ্টা করার বিষয়ে ইসরাইল ও মিশরের সাথে আলোচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র।