দুর্গাপূজার ছুটিতে সিদ্ধান্ত নিয়ে, সরকারকে বিদায় নেয়ার আহ্বান ফখরুলের
- আপডেট সময় : ০৪:৪৭:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৩
- / ৫১৫ বার পড়া হয়েছে
দুর্গাপূজার ছুটির মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়ে, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করে বিদায় নিতে ক্ষমতাসীনদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র ঐক্যের ছাত্র কনভেনশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। দুপুরে পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে ওই কনভেনশন শুরু হয়। সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে চলমান যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে এই কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মাথার সামনে আজরাইল চলে এসেছে। আওয়ামী লীগ চর্তুদিকে ঘোরাঘুরি করতেছে, যদি আবারও কোনোভাবে ক্ষমতায় আসা যায়। আজকে ব্রাসেলস যাবেন (শেখ হাসিনা), কিছুদিন আগে ১৮ দিন আমেরিকায় ঘোরাঘুরি করেছেন। কোন লাভ নেই ঘোরাঘুরি করে। আপনাদের চলে যাওয়ার সময় চলে এসেছে।”
এই সরকারের সময় শেষ হয়ে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলের নেতারা।
বিএনপি মহাসচিব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে বলেন, “দুর্গাপূজার ছুটির মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নিন। পূজার পরে দেশের মানুষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে আনন্দে ভোট দিতে যাবে। আপনি তো বলেন; পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল কত কি উন্নয়ন করেছেন, তাহলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে ভয় কিসের? আপনি না উন্নয়ন করেছেন, জনগণতো আপনাকে ভোট দেওয়ার কথা? আসলে আপনারা জানেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আপনার অস্তিত্ব থাকবে না।”
ছাত্র ঐক্যের সমন্বয়কারী ও ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খানের সভাপতিত্বে ও ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের সঞ্চালনায় কনভেনশনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ডাকসুর সাবেক ভিপি ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণতন্ত্র মঞ্চ ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের জেনায়েদ সাকি, ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর প্রমুখ।
এছাড়াও ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র ঐক্যের জোটে থাকা ১৪টি ছাত্র সংগঠন- ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্র অধিকার পরিষদ (নুর), ছাত্রলীগ (জেএসডি), গণতান্ত্রিক ছাত্রদল (এলডিপি), নাগরিক ছাত্রঐক্য, জাগপা ছাত্রলীগ (জাগপা-তাসমিয়া), ছাত্রফোরাম (গণফোরাম-মন্টু), ভাসানী ছাত্রপরিষদ, জাতীয় ছাত্রসমাজ (কাজী জাফর), জাতীয় ছাত্রসমাজ (বিজেপি-পার্থ), জাগপা ছাত্রলীগ (জাগপা-লুৎফর), ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ, বিপ্লবী ছাত্র সংহতি এবং রাষ্ট্র সংস্কার ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় নেতারা এতে বক্তব্য দেন।
কনভেনশনে ছাত্রদলের জেলা ও জেলার পদমর্যাদার ১১৭টি সাংগঠনিক ইউনিটের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকেরা এই ছাত্র কনভেনশনে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও বাকি ১৪টি ছাত্র সংগঠনের জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ তাদের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরাও অংশ নেন।