নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে যা করতে চায় ইরান–সিরিয়া
- আপডেট সময় : ১০:০৭:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৩
- / ৫১৯ বার পড়া হয়েছে
ফিলিস্তিনের ইসলামপন্থী দল হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধ নিয়ে ফোনালাপ করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। ইরানের সংবাদমাধ্যম নুর নিউজের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
ফোনালাপে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইসলামি দেশগুলোকে এক হওয়ার আহ্বান জানান রাইসি ও আসাদ। রাইসি বলেন, নির্যাতিত ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী শাসকদের অপরাধ বন্ধ করতে ইসলামী ও আরব দেশগুলোকে এক হতে হবে। তাঁর মতে, একমাত্র বিশ্বব্যাপী ইসলামি ঐক্য স্থাপনের মধ্য দিয়েই ফিলিস্তিনের জনগণের পাশে দাঁড়ানো সম্ভব।
এর আগে যুদ্ধ নিয়ে গতকাল বুধবার ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। চীনের মধ্যস্থতায় সৌদি ও ইরানের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার পর এটি ছিল দুই দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নেতাদের প্রথম ফোনালাপ।
ইরানের সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, রাইসি ও সৌদি ক্রাউন প্রিন্স ফিলিস্তিনিদের ওপর যুদ্ধাপরাধ বন্ধে আলোচনা করেছেন। আলোচনায় সৌদি ক্রাউন প্রিন্স বলেন, চলমান সংঘাত নিরসনে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক নেয়াদের সঙ্গে আলোচনার জন্য সম্ভাব্য সব চেষ্টা করছে সৌদি।
৭ বছরের বৈরিতার পর চলতি বছরের মার্চ মাসে চীনের মধ্যস্থতায় সৌদি আরব এবং ইরান কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে রাজি হয়। দুই দেশের মধ্যে আবার বাণিজ্য এবং নিরাপত্তা সহযোগিতাও শুরু হয়। সেই সঙ্গে দুই দেশ পরস্পরের রাজধানীতে তাদের দূতাবাস খোলে।
গত শনিবার সকালে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা শুরু করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। পরে ইসরায়েল সংগঠনটির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ১১শর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অন্তত ৫ হাজার ৬০০ জন। হতাহতদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। এদিকে হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা ১২শ ছাড়িয়েছে।