অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে প্রোটিয়াদের দুইয়ে দুই
- আপডেট সময় : ০৪:৫৩:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৩
- / ৪২০ বার পড়া হয়েছে
পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া ফেভারিট হিসেবে ভারত বিশ্বকাপে অংশ নিলেও পর পর দুই ম্যাচ হেরেছে তারা। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারের পর আজ দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরেছে ১৩৪ রানে।
কুইন্টন ডি ককের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে ভর করে অস্ট্রেলিয়ার সামনে নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেটে ৩১১ রানের পুঁজি দাঁড় করায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩১২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামলে অজি ব্যাটারদের রীতিমতো নাভিঃশ্বাস তুলে কাগিসো রাবাদা, মার্কো জেনসেনরা। শেষ পর্যন্ত ৪০.৫ ওভারে ১৭৭ রানে থামে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) লখনৌর অটল বিহারী বাজপেয়ী স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রোটিয়াদের ব্যাটিংয়ে পাঠা অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করে দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনাররা।
৩১২ রানের লক্ষ্যে অজিদের হয়ে আজ ওপেনিংয়ে আসেন ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ। শুরু থেকেই ভুগতে থাকা ওপেনিং জুটি ভাঙে মিচেল মার্শের (৭) বিদায়ে। ২৭ রানে প্রথম উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। মার্শের পথ ধরে আরেক ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারও দ্রুতই ফিরে যান সাজঘরে। ২৭ বলে ১৩ রান করেন তিনি।
দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে লাবুশানের সঙ্গে জুটি গড়েন স্টিভেন স্মিথ। কিন্তু স্মিথ ১৬ বলে ১৯ রানে রাবাদার শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলে ভাঙে এই জুটি। স্মিথের বিদায়ের পর জশ ইংলিশও বেশি সময় থাকতে পারেননি ক্রিজে। রাবাদার দ্বিতীয় শিকার হয়ে ৪ বলে ৫ রান করে তিনিও ফিরে যান। দলীয় ৬৫ রানে কেশব মহারাজের ঘূর্ণিতে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের বিদায়ে বেশ বিপদে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। স্কোরকার্ডে ৫ রান যোগ হতেই রাবাদায় ফেরেন স্টয়নিস।
৭০ রান তুলতেই একে একে সাজঘরে অস্ট্রেলিয়ার ৬ ব্যাটার। তবে এরপর মিচেল স্টার্ককে সঙ্গে নিয়ে বিপর্যয় সামাল দেন ল্যাবুশেন। তবে ২৭ রান করে স্টার্ক ফিরলে আর কেউই ল্যাবশেনকে সঙ্গ দিতে পারেননি। বাকি ব্যাটারদের আসা যাওয়ার মধ্যেও এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন ল্যাবুশেন। ৪৬ রান করা এই ব্যাটার সাজঘরে ফিরলে আর বেশিক্ষণ টিকেনি অজিদের ইনিংস। প্রোটিয়াদের হয়ে ৩ উইকেট পেয়েছেন রাবাদা।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা দারুণ করেছিলেন ডি কক। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন বাভুমা। দুজনে মিলে গড়েন ১০৮ রানের জুটি। ৫৫ বলে ২ বাউন্ডারিতে বাভুমা ৩৫ রান করে ফিরলেও টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা পান ডি কক।
৫১ বলে ফিফটি পূর্ণ করা উইকেট কিপার এ ব্যাটার তিন অঙ্কে পৌঁছাতে সময় নিয়েছেন মাত্র ৩৯ বল। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৪৭ ম্যাচে এটি তার ১৯তম সেঞ্চুরি। সেঞ্চুরি তুলে নিলেও নিজের ইনিংস বেশিদূর নিয়ে যেতে পারলেন না ডি কক (১০৯)। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের শিকার হয়ে ফিরে গেলেন সাজঘরে।
ডি ককের বিদায়ের পর ক্লাসেনের সঙ্গে জুটি বাঁধেন মার্করাম। এর মাঝেই মার্করান তুলে নেন ব্যক্তিগত অর্ধশতক। ৪১ বলে ৫০ রান করেন তিনি। যার মধ্যে রয়েছে ৬টি চারের মার ও ১টি ছয়ের মার। অর্ধশতকের পর প্যাট কামিন্সের শিকার হয়ে ৪৪ বলে ৫৬ করে ফিরেন মার্করাম। তার বিদায়ের পর রানের গতি কিছুটা হলেও মন্থর হয়ে যায়।
একটা সময় মনে হচ্ছিল তিনশ’ রান করতে পারবে না প্রোটিয়ারা। ক্লাসেন ২৭ বলে ২৯ রান করে সাজঘরে ফেরার পর শেষ দিকে মার্কো জানসেনের ২২ বলে ২৬ রান ও ডেভিড মিলারের ১৭ রানে ভর করে ৭ উইকেটে ৩১১ রান তুলে ইনিংস শেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকা।
অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ২ উইকেট নেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ২টি উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক, ১টি করে উইকেট নেন জশ হ্যাজেলউড, প্যাট কামিন্স ও অ্যাডাম জাম্পা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দক্ষিণ আফ্রিকা : ৫০ ওভারে ৩১১/৭ (ডি কক ১০৯, বাভুমা ৩৫, ডুসেন ২৬, মার্করাম ৫৬, ক্লাসেন ২৯, মিলার ১৭, জেনসেন ২৬, রাবাদা ০, মহারাজ ০ ; স্টার্ক ৯-১-৫৩-২, হ্যাজেলউড ৯-০-৬০-১, ম্যাক্সওয়েল ১০-১-৩৪-২, কামিন্স ৯-০-৭১-০, জাম্পা ১০-০-৭০-১, মার্শ ১-০-৬-০, স্টোয়নিস ২-০-১১-০)
অস্ট্রেলিয়া : ৪০.৫ ওভারে ১৭৭ (মার্শ ৭, ওয়ার্নার ১৩, স্মিথ ১৯, লাবুশেন ৪৬, ইঙ্গলিশ ৫, ম্যাক্সওয়েল ৩, স্টোয়নিস ৫, স্টার্ক ২৭, কামিন্স ২২, জাম্পা ১১, হ্যাজেলউড ২; এনগিদি ৮-২-১৮-১, জেনসেন ৭-০-৫৪-২, রাবাদা ৮-১-৩৩-৩, মহারাজ ১০-০-৩০-২, শামসি ৭.৫-০-৩৮-২)