ঢাকা ০১:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

পেঁয়াজের সেঞ্চুরি, ডিমের বাজার অস্থির

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১০:৫৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৫১৯ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিত্যপণ্যের দামে অস্থির ক্রেতারা। দিশেহারা করেছে পেঁয়াজ, ডিম আর আলু। অস্থির ডিমের বাজার। সেঞ্চুরি করেছে দেশি পেঁয়াজ। আলুর বাজারে মানা হচ্ছে না সরকার নির্ধারিত মূল্য। পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে প্রায় সব রকম সবজির দামও।বরাবরের মতোই সরবরাহ ঘাটতির অজুহাত ব্যবসায়ীদের।

আমদানি অনুমতিতে কিছুটা লাগাম পড়লেও রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে এক ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫৫-১৬০ টাকায়। পাড়া-মহল্লার বাজারে গুনতে হচ্ছে ১৬৫-১৭০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না থাকায় ডিমের দাম বাড়তি।

ক্রেতাদের সঙ্গে খুচরা ব্যবসায়ীরাও অভিযোগ করে বলেন, ‘অস্থির বাজারের জন্য দায়ী ব্যবসায়ীরা না, বরং দায়ী পাইকার ও আড়তদার। তাদের দাবি আমদানি কম থাকায় ক্রয়কৃত দামেই বিক্রি করতে হয় তাদের পণ্য। বিশেষ করে পাবনা পেঁয়াজ বাজারে আমদানি নেই বললেই চলে।’

সরবরাহ সংকটের অজুহাতে বাড়তি সব রকমের সবজির দামও। করলা, ঢেঁড়স, পটলের দাম কেজি প্রতি ৮০ টাকা। টমেটো, গাজর, বেগুন ১০০ টাকার ওপরে। আর কাঁচা মরিচ ঠেকেছে আড়াইশ টাকা পর্যন্ত। দাম বেঁধে দেয়ার এক মাসেও কমেনি পেঁয়াজ ও আলুর দর। উল্টো সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে দেশি পেঁয়াজ।

ক্রেতারা অভিযোগ করে বলেন, সরকার ডিমের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে ১২ টাকা অথচ বিক্রি হচ্ছে ১৪ টাকা। কাঁচা বাজার ও মাছ বাজারে পণ্যের দাম বেশি হওয়ায় ডিমের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। চাহিদা অনুযায়ী কোনো কিছুই কিনতে পারছেন না তারা। সরকার দাম নির্ধারণ করে দিলেও মানছে না ব্যবসায়ীরা। আর এর জন্যই নাকি নাম খারাপ হচ্ছে সরকারের।

ডিম-সবজির পাশাপাশি বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে দেশি ও সোনালি মুরগি। ব্রয়লার মুরগির কেজি ছুঁয়েছে ২০০ টাকার ঘর।

রাজধানীর মাছ বাজারগুলো ঘুরেও দেখা গেছে, মাছ কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। বাজারগুলোতে পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৫০ টাকায়। তেলাপিয়ার কেজি ২৫০ টাকা। চাষের কই, পাবদা বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৪৫০ টাকায়। বড় মাছের কেজি ছুঁয়েছে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। এক কেজির ইলিশ বিক্রি হচ্ছে দেড় হাজার টাকার বেশিতে।

নিউজটি শেয়ার করুন

পেঁয়াজের সেঞ্চুরি, ডিমের বাজার অস্থির

আপডেট সময় : ১০:৫৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৩

নিত্যপণ্যের দামে অস্থির ক্রেতারা। দিশেহারা করেছে পেঁয়াজ, ডিম আর আলু। অস্থির ডিমের বাজার। সেঞ্চুরি করেছে দেশি পেঁয়াজ। আলুর বাজারে মানা হচ্ছে না সরকার নির্ধারিত মূল্য। পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে প্রায় সব রকম সবজির দামও।বরাবরের মতোই সরবরাহ ঘাটতির অজুহাত ব্যবসায়ীদের।

আমদানি অনুমতিতে কিছুটা লাগাম পড়লেও রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে এক ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫৫-১৬০ টাকায়। পাড়া-মহল্লার বাজারে গুনতে হচ্ছে ১৬৫-১৭০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না থাকায় ডিমের দাম বাড়তি।

ক্রেতাদের সঙ্গে খুচরা ব্যবসায়ীরাও অভিযোগ করে বলেন, ‘অস্থির বাজারের জন্য দায়ী ব্যবসায়ীরা না, বরং দায়ী পাইকার ও আড়তদার। তাদের দাবি আমদানি কম থাকায় ক্রয়কৃত দামেই বিক্রি করতে হয় তাদের পণ্য। বিশেষ করে পাবনা পেঁয়াজ বাজারে আমদানি নেই বললেই চলে।’

সরবরাহ সংকটের অজুহাতে বাড়তি সব রকমের সবজির দামও। করলা, ঢেঁড়স, পটলের দাম কেজি প্রতি ৮০ টাকা। টমেটো, গাজর, বেগুন ১০০ টাকার ওপরে। আর কাঁচা মরিচ ঠেকেছে আড়াইশ টাকা পর্যন্ত। দাম বেঁধে দেয়ার এক মাসেও কমেনি পেঁয়াজ ও আলুর দর। উল্টো সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে দেশি পেঁয়াজ।

ক্রেতারা অভিযোগ করে বলেন, সরকার ডিমের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে ১২ টাকা অথচ বিক্রি হচ্ছে ১৪ টাকা। কাঁচা বাজার ও মাছ বাজারে পণ্যের দাম বেশি হওয়ায় ডিমের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। চাহিদা অনুযায়ী কোনো কিছুই কিনতে পারছেন না তারা। সরকার দাম নির্ধারণ করে দিলেও মানছে না ব্যবসায়ীরা। আর এর জন্যই নাকি নাম খারাপ হচ্ছে সরকারের।

ডিম-সবজির পাশাপাশি বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে দেশি ও সোনালি মুরগি। ব্রয়লার মুরগির কেজি ছুঁয়েছে ২০০ টাকার ঘর।

রাজধানীর মাছ বাজারগুলো ঘুরেও দেখা গেছে, মাছ কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। বাজারগুলোতে পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৫০ টাকায়। তেলাপিয়ার কেজি ২৫০ টাকা। চাষের কই, পাবদা বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৪৫০ টাকায়। বড় মাছের কেজি ছুঁয়েছে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। এক কেজির ইলিশ বিক্রি হচ্ছে দেড় হাজার টাকার বেশিতে।