বর্তমান সরকার ২০১৪ এবং ২০১৮ এর মতো করে আবারো বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করার পায়তারা করছে। আর সেটার অংশ হিসেবেই বিএনপির নেতাকর্মীদের মিথ্যা সাজা দেয়া হচ্ছে। নেতাকর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হচ্ছে, শত শত নেতাকর্মী প্রতিদিনই কোর্টে হাজিরা দিতে বাধ্য হচ্ছেন আর দ্রুত রায় দেয়ার জন্য অত্যন্ত ঘন ঘন হাজিরার তারিখ দেয়া হচ্ছে। সরকার তাদের ভোট চুরির প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ ইতোমধ্যেই শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সকালে সিএমএম কোর্ট প্রাঙ্গণে তিনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, এরকম পরিস্থিতিতে কোনভাবেই নির্বাচন সম্ভব নয়। বাংলাদেশে স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজমান থাকবে বা, সুষ্ঠু পরিবেশে একটা নির্বাচন হবে সেটাও সম্ভব নয়।
এসময় তিনি বিএনপি নেতা শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানীকে গ্রেফতারেরও সমালোচনা করে বলেন, গতকাল তার মতো একজন জাতীয় নেতাকে কিভাবে গভীর রাতে ডিবি গ্রেফতার করেছে। এছাড়া আমাদের নেতাকর্মীদের নামে শত শত গায়েবী মামলা দেয়া হয়েছে। এর আগেও আমাদের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে রায় দেয়া হয়েছে। গত জুন মাস থেকেই থানা ওয়ার্ড পর্যায়ের অনেক নেতাকর্মীদের নামে রায় দেয়া হয়েছে এবং অনেক নেতাকর্মী মাসের পর মাস ঘর-বাড়ি ছাড়া। সুতারাং এতেই বুঝা যায় যে, এই সরকারের অধীনে নির্বাচন তো দুরের কথা কোন সমিতির নির্বাচন বা সাধারণ কোন সভা সমাবেশ করার মতো অবস্থাও নেই।
বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করে প্রকাশ্যেই বিএনপির সিনিয়র নেতাদের হত্যার হুমকী দিয়েছেন। এটার মধ্য দিয়ে উনি ফৌজদারী অপরাধ করেছেন। এসব অপরাধের জন্য অতীতে মামলা হয়েছে। সেইসাথে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে সুচিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে তার মৃত্যুর দিকে ঠিলে দিচ্ছেন। এসব বিবেচনায়, বোঝা যাচ্ছে দেশের অবস্থা কতটা ভয়াবহ।
ইশরাক হোসেন আরো বলেন, জাতীয় বা আন্তজার্তিক পর্যায় থেকে বার বার নির্বাচনের যে বিষয়টি তোলা হচ্ছে তা হলো, দলীয় সরকারের অধীনে কোনভাবেই কোন নির্বাচন বিশেষ করে জাতীয় নির্বাচন কোনভাবেই সম্ভব নয়। অতএব অবিলম্বে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদকে বিলুপ্ত করতে হবে, কেবিনেটকে বিলুপ্ত করতে হবে, গত ১৫ বছরে আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হওয়া মিথ্যা মামলাগুলোরও নিষ্পত্তি করতে হবে। তারপর নির্বাচনের বিষয়ে আমরা চিন্তা করবো। তার আগ পর্যন্ত নির্বাচনে যাওয়ার কোন প্রশ্নই আসে না এবং বাংলাদেশে কোন নির্বাচন হবে বলে মনে হয় না।
বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌছে গিয়েছে উল্লেখ করে সাবেক এই মেয়র প্রার্থী বলেন, আবারো যদি এই সরকার মনে করে তারা বিনা ভোটে জোর জবরদস্তি করে, আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে বা মিথ্যা মামলা দিয়ে ক্ষমতা দখল করবে, আর জনগণ চুপচাপ বসে থাকবে। তাইলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে।
ইশরাক হোসেন আরো বলেন, আমাদের বিজয় আঁচ করতে পেরেই আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই এখন আর মনোনোয়ন নিতে চান না। কারণ নির্বাচন হবে কি হবেনা সেটা ভালোভাবেই তারা অনুধাবন করতে পারছেন। তারা বুঝতে পারছে অচিরেই হয়তোবা তাদের ওপর বড় কোন ঝড় আসতে চলেছে।