ঢাকা ০১:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

আপনারা কি সংবিধানের বাইরে যাননি? প্রশ্ন রিজভীর

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০১:২০:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৪২৯ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শেখ হাসিনা ও তার নেতাকর্মীরা বলেন, আমরা সংবিধানের বাইরে যাব না। আপনারা কি সংবিধানের বাইরে যাননি? ১৯৯৬ সালে যে বিধ্বংসী আন্দোলন করেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে তখন তো তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংবিধানে ছিল না। তখন আপনারা জ্বালাও পোড়াও করেছেন, তত্ত্বাবধায়ক এর দাবি তুলেছেন। তখন সব দল মিলে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত করা হলো। তাহলে আজ যাবেন না কেন? এক মুখে দুই কথা হয় কীভাবে? আজ দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে। যারা আপনার হালুয়া রুটি খেয়েছে তাদের ভিন্ন কথা বলে জানান বিএন‌পির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল ক‌বির রিজভী।

শুক্রবার (১৩ অ‌ক্টোবর) ঢাকা রি‌পোর্টার্স ইউ‌নি‌টি‌তে জিয়াউর রহমান আর্কাইভ আয়োজিত ফ্যাসিবাদ বি‌রোধী চিত্রকর্মশালা ও ক‌বিতা পাঠ অনুষ্ঠা‌নে তি‌নি এসব কথা ব‌লেন।

তিনি বলেন, আপনার (শেখ হাসিনা) অধীনে নির্বাচন কী সেটা আমরা জানি। সেই নির্বাচনে ভোটারের দরকার নেই, দেশের জনগণের দরকার নেই, বিরোধীদলেরও দরকার নেই।

রিজভী ব‌লেন, এ রাষ্ট্র আর রাষ্ট্র নেই। শেখ হাসিনা এ রাষ্ট্রকে অধঃপতিত করেছেন, তার ভয়ংকর অত্যাচারিত শাসনের মধ্য দিয়ে। তিনি এখন কী করতে চান। তিনি কি ২০১৪ ও ১৮ নির্বাচনের মতো পুনরাবৃত্তি করবেন? তিনি জনগণের দাবি, শৃঙ্খলিত যে গণতন্ত্র , দম বন্ধ করা পরিস্থিতি থেকে মুক্ত হতে দিতে চান না। তিনি তার মন্ত্রীদেরকে দিয়ে বলাচ্ছেন পৃথিবীর সব দেশ ঠিক হয়ে গেছে। ঠিক হয়ে গেছে মানে আপনার অধীনে নির্বাচন? আর আপনার অধীনে নির্বাচন মানে ২০১৪-১৮ নির্বাচনের মতো। ২০১৪ নির্বাচনে ১৫৩টিতে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না। বাকিগুলোতে উপস্থিত ছিল ৫%। আর ২০১৮ নির্বাচন করেছেন রাতে। ভোর হওয়ার আগেই ব্যালট বক্স পূর্ণ হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, জনগণের কথা, আন্তর্জাতিক শক্তির কথা কারো কথাই ঠিক না, আপনার কথাই ঠিক? কীসের জন্য? কীসের জন্য এটা তো আমরা বুঝি। পৃথিবীর প্রতিটি স্বৈরশাসক তাই করে। সব সময় তাই করেছে। ফ্লাইওভার, উড়াল সেতু, হাইওয়ে দেখেছে যাতে চোখে পড়ে। কিন্তু সেই দেশের মানুষ একটা ডিম কিনতে পারে না। মানুষের যে হাহাকার-অনাহার এগুলো তাদের চোখে পড়ে না।

তিনি বলেন,বর্তমান সময়ে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম লাগামহীনভাবে বাড়ছে। আগে তো নিম্নবিত্ত মানুষ কিনতে পারত না,এখন সেটা মধ্যবিত্ত পর্যন্ত চলে এসেছে। তারা পারছে না কারো কাছে হাত পাততে, পারছে না ভিক্ষা করতে। তাদের যে আয় সে আয় দিয়ে কোন কিছু কিনে খেতে পারছে না। একটি ডিম কিনতে যদি ১৭ টাকা লাগে তাহলে ফ্লাইওভার দেখিয়ে আপনি কী করবেন। পৃথিবীর সমস্ত ফ্যাসিস্টরাই এই ধরনের কাজ করেছে।

আ‌য়োজক সংগঠনের সম্পাদক সঞ্জয় দে রিপ‌নের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠা‌নে আরও বক্তব্য রা‌খেন চিত্র শিল্পী ড. আব্দুস সাত্তার, বিএন‌পির সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন আহ‌মেদ উজ্জল, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. র‌ফিকুল ইসলাম. ঢাকা সাংবা‌দিক ইউ‌নিয়‌নের সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ খান প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনারা কি সংবিধানের বাইরে যাননি? প্রশ্ন রিজভীর

আপডেট সময় : ০১:২০:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৩

শেখ হাসিনা ও তার নেতাকর্মীরা বলেন, আমরা সংবিধানের বাইরে যাব না। আপনারা কি সংবিধানের বাইরে যাননি? ১৯৯৬ সালে যে বিধ্বংসী আন্দোলন করেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে তখন তো তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংবিধানে ছিল না। তখন আপনারা জ্বালাও পোড়াও করেছেন, তত্ত্বাবধায়ক এর দাবি তুলেছেন। তখন সব দল মিলে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত করা হলো। তাহলে আজ যাবেন না কেন? এক মুখে দুই কথা হয় কীভাবে? আজ দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে। যারা আপনার হালুয়া রুটি খেয়েছে তাদের ভিন্ন কথা বলে জানান বিএন‌পির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল ক‌বির রিজভী।

শুক্রবার (১৩ অ‌ক্টোবর) ঢাকা রি‌পোর্টার্স ইউ‌নি‌টি‌তে জিয়াউর রহমান আর্কাইভ আয়োজিত ফ্যাসিবাদ বি‌রোধী চিত্রকর্মশালা ও ক‌বিতা পাঠ অনুষ্ঠা‌নে তি‌নি এসব কথা ব‌লেন।

তিনি বলেন, আপনার (শেখ হাসিনা) অধীনে নির্বাচন কী সেটা আমরা জানি। সেই নির্বাচনে ভোটারের দরকার নেই, দেশের জনগণের দরকার নেই, বিরোধীদলেরও দরকার নেই।

রিজভী ব‌লেন, এ রাষ্ট্র আর রাষ্ট্র নেই। শেখ হাসিনা এ রাষ্ট্রকে অধঃপতিত করেছেন, তার ভয়ংকর অত্যাচারিত শাসনের মধ্য দিয়ে। তিনি এখন কী করতে চান। তিনি কি ২০১৪ ও ১৮ নির্বাচনের মতো পুনরাবৃত্তি করবেন? তিনি জনগণের দাবি, শৃঙ্খলিত যে গণতন্ত্র , দম বন্ধ করা পরিস্থিতি থেকে মুক্ত হতে দিতে চান না। তিনি তার মন্ত্রীদেরকে দিয়ে বলাচ্ছেন পৃথিবীর সব দেশ ঠিক হয়ে গেছে। ঠিক হয়ে গেছে মানে আপনার অধীনে নির্বাচন? আর আপনার অধীনে নির্বাচন মানে ২০১৪-১৮ নির্বাচনের মতো। ২০১৪ নির্বাচনে ১৫৩টিতে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না। বাকিগুলোতে উপস্থিত ছিল ৫%। আর ২০১৮ নির্বাচন করেছেন রাতে। ভোর হওয়ার আগেই ব্যালট বক্স পূর্ণ হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, জনগণের কথা, আন্তর্জাতিক শক্তির কথা কারো কথাই ঠিক না, আপনার কথাই ঠিক? কীসের জন্য? কীসের জন্য এটা তো আমরা বুঝি। পৃথিবীর প্রতিটি স্বৈরশাসক তাই করে। সব সময় তাই করেছে। ফ্লাইওভার, উড়াল সেতু, হাইওয়ে দেখেছে যাতে চোখে পড়ে। কিন্তু সেই দেশের মানুষ একটা ডিম কিনতে পারে না। মানুষের যে হাহাকার-অনাহার এগুলো তাদের চোখে পড়ে না।

তিনি বলেন,বর্তমান সময়ে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম লাগামহীনভাবে বাড়ছে। আগে তো নিম্নবিত্ত মানুষ কিনতে পারত না,এখন সেটা মধ্যবিত্ত পর্যন্ত চলে এসেছে। তারা পারছে না কারো কাছে হাত পাততে, পারছে না ভিক্ষা করতে। তাদের যে আয় সে আয় দিয়ে কোন কিছু কিনে খেতে পারছে না। একটি ডিম কিনতে যদি ১৭ টাকা লাগে তাহলে ফ্লাইওভার দেখিয়ে আপনি কী করবেন। পৃথিবীর সমস্ত ফ্যাসিস্টরাই এই ধরনের কাজ করেছে।

আ‌য়োজক সংগঠনের সম্পাদক সঞ্জয় দে রিপ‌নের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠা‌নে আরও বক্তব্য রা‌খেন চিত্র শিল্পী ড. আব্দুস সাত্তার, বিএন‌পির সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন আহ‌মেদ উজ্জল, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. র‌ফিকুল ইসলাম. ঢাকা সাংবা‌দিক ইউ‌নিয়‌নের সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ খান প্রমুখ।