ঢাকা ১১:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

গাজার শিশুদের প্রশ্ন ‘কোথায় যাব’, উত্তর জানা নেই বাবার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:০৮:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৪২৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১১ লাখ ফিলিস্তিনিকে সরে যেতে বলেছে ইসরায়েল। এদিকে জাতিসংঘ বলছে, এ অল্প সময়ের মধ্যে এতগুলো মানুষকে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব না। এমন পরিস্থিতিতে গাজার ভয়াবহ পরিস্থিতির বর্ণনা তুলে ধরা হয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে।

গণমাধ্যমটির গাজা প্রতিনিধি সাফওয়াত আল-কাহলু বলেন, ‘আমার বাবা-ভাই ও বন্ধুদের কাছ থেকে অনেক ফোন আসছে। তারা জানতে চাইছে, কোথায় যাব? বর্তমান পরিস্থিতিতে কোথাও যাওয়া অসম্ভব। গত রাত পর্যন্ত মানুষজন খাওয়ার জন্য পানি খুঁজছিল। এখন তারা গাজা ছাড়তে চাইছে। এটি ১৯৪৮ সালের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। ওই সময় ফিলিস্তিনিদের বাস্তচ্যুত করা হয়।’

‘বাস্তব কথা বলতে, ১১ লাখ মানুষ কীভাবে যাবে? গাধায় চড়ে? তাদের কাছে পর্যাপ্ত গাধা নেই। গাড়িতেও সাত দিন ধরে জ্বালানি নেই। এখন প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনি আতঙ্কে রয়েছে। তাদের কোনো পরিকল্প নেই। এখন আমার সন্তানেরাও জিজ্ঞেস করছে কোথায় যাব? আমি তাদেরকে বলেছি, জানি না।’

ফিলিস্তিনের সরকারি সংস্থা জানায়, গত ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া ইসরায়েল-হামাস সংঘাতে এখন পর্যন্ত গাজায় ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি ও ইসরায়েলে ১ হাজার ৩০০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন। হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর পর ইসরায়েল গাজায় বিমান হামলা অব্যাহত রাখলেও এখনও স্থল অভিযান চালায়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজার শিশুদের প্রশ্ন ‘কোথায় যাব’, উত্তর জানা নেই বাবার

আপডেট সময় : ০৮:০৮:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৩

গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১১ লাখ ফিলিস্তিনিকে সরে যেতে বলেছে ইসরায়েল। এদিকে জাতিসংঘ বলছে, এ অল্প সময়ের মধ্যে এতগুলো মানুষকে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব না। এমন পরিস্থিতিতে গাজার ভয়াবহ পরিস্থিতির বর্ণনা তুলে ধরা হয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে।

গণমাধ্যমটির গাজা প্রতিনিধি সাফওয়াত আল-কাহলু বলেন, ‘আমার বাবা-ভাই ও বন্ধুদের কাছ থেকে অনেক ফোন আসছে। তারা জানতে চাইছে, কোথায় যাব? বর্তমান পরিস্থিতিতে কোথাও যাওয়া অসম্ভব। গত রাত পর্যন্ত মানুষজন খাওয়ার জন্য পানি খুঁজছিল। এখন তারা গাজা ছাড়তে চাইছে। এটি ১৯৪৮ সালের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। ওই সময় ফিলিস্তিনিদের বাস্তচ্যুত করা হয়।’

‘বাস্তব কথা বলতে, ১১ লাখ মানুষ কীভাবে যাবে? গাধায় চড়ে? তাদের কাছে পর্যাপ্ত গাধা নেই। গাড়িতেও সাত দিন ধরে জ্বালানি নেই। এখন প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনি আতঙ্কে রয়েছে। তাদের কোনো পরিকল্প নেই। এখন আমার সন্তানেরাও জিজ্ঞেস করছে কোথায় যাব? আমি তাদেরকে বলেছি, জানি না।’

ফিলিস্তিনের সরকারি সংস্থা জানায়, গত ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া ইসরায়েল-হামাস সংঘাতে এখন পর্যন্ত গাজায় ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি ও ইসরায়েলে ১ হাজার ৩০০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন। হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর পর ইসরায়েল গাজায় বিমান হামলা অব্যাহত রাখলেও এখনও স্থল অভিযান চালায়নি।