শরীয়তপুরের দুটি স্কুলে যেতে পার হতে হয় হাঁটুপানি। এতে চর্মসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত কোমলমতি শিশুরা। প্রতিনিয়ত কমছে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও।
৯ মাস ধরে দুটি স্কুলের রাস্তাই ডুবে আছে পানিতে। তাই রোজ ময়লা পানি মাড়িয়ে স্কুলে যেতে হয় শরীয়তপুর পৌরসভার আঙ্গালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আঙ্গালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের।
এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে অভিবাভকরা জানান, ভালো রাস্তাটিকে খুঁড়ে তারা গর্ত করে গেছে। এরপর থেকে তারা আর কাজে আসে না। এখন আশপাশের সব আবর্জনা, ময়লা পানি এখানে এসে জমে থাকে।
২০২২ সালে পৌরসভার রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণের জন্য স্কুলের পুরনো রাস্তাটি খনন কাজ শুরু করে সজল বিল্ডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ছয় মাস পর ভূমি জটিলতায় মাঝ পথে কাজ বন্ধ করে দেয় তারা। এতে ওই রাস্তায় তৈরি হয় জলাবদ্ধতা। আর কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিতে সেই পানি জমেছে হাঁটু সমান। এছাড়া আশপাশের ডোবা ও ডাস্টবিনের আর্বজনা মিলেমিশে একাকার।
এমন অবস্থায় ক্ষোভ প্রকাশ করে আঙ্গালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উম্মে কুলসুম জানান, কমে গেছে ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী। আমরা শুধু অভিবাভকদের অনুরোধ করে, বিভিন্ন ধরনের আশ্বাস দিয়ে স্কুলের বাচ্চাগুলোকে ধরে রাখছি।
৭১ লাখ টাকা খরচে আঙ্গালিয়া এলাকায় ২৫০ মিটার ড্রেনসহ রাস্তা ও ৪০ মিটার আলাদা সংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু করে শরীয়তপুর পৌরসভা।