ঢাকা ০২:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাই এ সংঘাতের সমাধান, বলছে চীন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:৫০:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৪৩২ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইসরায়েল–ফিলিস্তিন সংঘাতে কোনো পক্ষ নেয়নি চীন। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী স্বশস্ত্র গোষ্ঠি হামাসের রকেট হামলার নিন্দা জানায়নি বেইজিং। আবার গাজায় ইসরায়েলের হামলা জোরদারের ব্যাপারেও কিছু বলেনি। তবে চীন ফিলিস্তিনের পাশে আছে বলেই মনে হচ্ছে। কেননা মধ্যপ্রাচ্যে নিযুক্ত চীনের বিশেষ দূত ঝাই জুন বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাই এ সংঘাতের সমাধান।’

সংঘাতের পর এক প্রতিক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে ‘শান্ত’ থাকতে এবং শিগগির যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার আহ্বান জানান চীনের বিশেষ দূত ঝাই জুন। তবে ‘স্বাধীন ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন’ রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেন তিনি।

সংবাদমাধ্যম পলিটিকো বলছে, এরই মধ্যে এই সংঘাত সমাধান করতে মিসরকে একটি প্রস্তাবও দিয়েছে চীন। তাতে বলা হয়, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিরসনের জন্য চীন মিসরের সঙ্গে সমন্বয় করে মধ্যস্থতা করতে চায়।

এর আগে গত ৮ই অক্টোবর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যকার লড়াই বন্ধে দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের কথা বলেন। এ জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দ্রুত স্থায়ী শান্তির উপায় খুঁজে বের করার আহ্বান জানান তিনি। এক প্রতিবেদনে এমনটাই বলছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

ব্লুমবার্গের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, মধ্যপ্রাচ্যে চীনের বিশেষ দূত ঝাই জুন ইসরায়েল সরকারের সঙ্গে ফোনে কথা বলবেন। এমনটাই জানিয়েছেন চীনে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত। বৃহস্পতিবারই এই আলাপ করার কথা ছিল। কিন্তু এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এমন তথ্য পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তা।

এদিকে জাতিসংঘ খাদ্য কর্মসূচি বলছে, ইসরায়েলের অরবোধ ও হামলার কারণে গাজায় খাদ্য ও পানি ফুরিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে বিদ্যুৎও বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু জিম্মিদের ফেরত না দিলে অবরোধ তুলে নেবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। হামলাও অ্যভাহত রাখবে। এ কারণে সংকট আরও বাড়ছে। বাইরের ত্রাণ সহায়তাও মিলছে না।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে, গত ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত গাজায় ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি ও ইসরায়েলে ১ হাজার ৩০০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাই এ সংঘাতের সমাধান, বলছে চীন

আপডেট সময় : ০৫:৫০:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৩

ইসরায়েল–ফিলিস্তিন সংঘাতে কোনো পক্ষ নেয়নি চীন। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী স্বশস্ত্র গোষ্ঠি হামাসের রকেট হামলার নিন্দা জানায়নি বেইজিং। আবার গাজায় ইসরায়েলের হামলা জোরদারের ব্যাপারেও কিছু বলেনি। তবে চীন ফিলিস্তিনের পাশে আছে বলেই মনে হচ্ছে। কেননা মধ্যপ্রাচ্যে নিযুক্ত চীনের বিশেষ দূত ঝাই জুন বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাই এ সংঘাতের সমাধান।’

সংঘাতের পর এক প্রতিক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে ‘শান্ত’ থাকতে এবং শিগগির যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার আহ্বান জানান চীনের বিশেষ দূত ঝাই জুন। তবে ‘স্বাধীন ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন’ রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেন তিনি।

সংবাদমাধ্যম পলিটিকো বলছে, এরই মধ্যে এই সংঘাত সমাধান করতে মিসরকে একটি প্রস্তাবও দিয়েছে চীন। তাতে বলা হয়, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিরসনের জন্য চীন মিসরের সঙ্গে সমন্বয় করে মধ্যস্থতা করতে চায়।

এর আগে গত ৮ই অক্টোবর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যকার লড়াই বন্ধে দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের কথা বলেন। এ জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দ্রুত স্থায়ী শান্তির উপায় খুঁজে বের করার আহ্বান জানান তিনি। এক প্রতিবেদনে এমনটাই বলছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

ব্লুমবার্গের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, মধ্যপ্রাচ্যে চীনের বিশেষ দূত ঝাই জুন ইসরায়েল সরকারের সঙ্গে ফোনে কথা বলবেন। এমনটাই জানিয়েছেন চীনে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত। বৃহস্পতিবারই এই আলাপ করার কথা ছিল। কিন্তু এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এমন তথ্য পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তা।

এদিকে জাতিসংঘ খাদ্য কর্মসূচি বলছে, ইসরায়েলের অরবোধ ও হামলার কারণে গাজায় খাদ্য ও পানি ফুরিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে বিদ্যুৎও বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু জিম্মিদের ফেরত না দিলে অবরোধ তুলে নেবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। হামলাও অ্যভাহত রাখবে। এ কারণে সংকট আরও বাড়ছে। বাইরের ত্রাণ সহায়তাও মিলছে না।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে, গত ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত গাজায় ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি ও ইসরায়েলে ১ হাজার ৩০০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন।