বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ভালো অবস্থানে বাংলাদেশ
- আপডেট সময় : ০৭:১৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৩
- / ৪৩৬ বার পড়া হয়েছে
২০২৩ সালের বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে (জিএইচআই) ১২৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৮১তম অবস্থানে আছে। সূচকে বাংলাদেশের স্কোর ১৯ দশমিক শূন্য। প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে ভারতের অবস্থান ১১১ তম এবং পাকিস্তানের অবস্থান ১০২তম। দেশ দুটির স্কোর যথাক্রমে ২৮ দশমিক ৭ এবং ২৬ দশমিক ১। নেপাল (৬৯তম) ও শ্রীলংকা (৬০তম) সূচকে তার চেয়ে ভালো অবস্থানে। দক্ষিণ এশিয়া এবং সাহারার দক্ষিণে আফ্রিকা বিশ্বের সর্বোচ্চ ক্ষুধার স্তরযুক্ত অঞ্চল, যার প্রতিটি জিএইচআই স্কোর ২৭, যা গুরুতর ক্ষুধার ইঙ্গিত দেয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার জিএইচআইয়ের ওয়েবসাইটে বিশ্ব ক্ষুধা সূচক (জিএইচআই) ২০২৩ প্রকাশিত হয়। কনসার্ন ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ও ওয়েল্ট হাঙ্গার হিলফে যৌথভাবে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
বিশ্ব ক্ষুধা সূচকের মাধ্যমে অপুষ্টির মাত্রা, ৫ বছরের কম বয়সের শিশুদের উচ্চতা অনুযায়ী কম ওজন, ৫ বছরের কম বয়সের শিশুদের বয়স অনুযায়ী কম উচ্চতা এবং শিশুমৃত্যুর হার হিসাব করে শূন্য থেকে ১০০ স্কোরে ক্ষুধার মাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এ সূচকে স্কোর শূন্য মানে ক্ষুধা নেই। স্কোর ১০০ হলে ক্ষুধার মাত্রা সর্বোচ্চ।
এবছরের সূচকে ১৯ দশমিক ১ স্কোর নিয়ে আরেক প্রতিবেশী দেশ নেপালের অবস্থান ৬৯তম। ৬০তম অবস্থান নিয়ে আরও এগিয়ে আছে শ্রীলঙ্কা। দেশটির স্কোর ১৩ দশমিক ৩। জিএইচআইয়ের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৫ পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ক্ষুধার বিরুদ্ধে অগ্রগতি হলেও এরপর তা থমকে গেছে।
সূচকের উপর ভিত্তি করে রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতে শিশু অপচয়ের হার বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি, ১৮.৭ শতাংশ, যা তীব্র অপুষ্টিকে প্রতিফলিত করে। তাদের উচ্চতার তুলনায় বাচ্চাদের ওজনের উপর ভিত্তি করে অপচয় পরিমাপ করা হয়।
সূচক অনুযায়ী, ভারতে অপুষ্টির হার ১৬.৬ শতাংশ এবং পাঁচ বছরের কম বয়সিদের মৃত্যুর হার ৩.১ শতাংশ।
তবে, বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ভারতের অবস্থান প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার ২০২৩ সালের গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স প্রত্যাখ্যান করেছে যেখানে ভারত ১১১ তম স্থানে রয়েছে। এটিকে “ক্ষুধার” ত্রুটিপূর্ণ পরিমাপ বলে অভিহিত করেছে যা দেশের প্রকৃত অবস্থানকে প্রতিফলিত করে না বলে দাবি কেন্দ্রীয় সরকারের। মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রক বলেছে, সূচকের মধ্যে পদ্ধতিগত সমস্যা আছে এবং একটি খারাপ উদ্দেশ্য দেখানো হয়েছে।
২০২৩ সালের বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে সর্বনিম্ন স্কোরযুক্ত অঞ্চলটি হ’ল ইউরোপ এবং মধ্য এশিয়া, যার স্কোর ৬.০“নিম্ন” হিসাবে বিবেচিত হয়। সাহারার দক্ষিণে দক্ষিণ এশিয়া এবং আফ্রিকা বিশ্বের সর্বোচ্চ ক্ষুধার স্তরযুক্ত অঞ্চল, প্রতিটি জিএইচআই স্কোর ২৭.০, যা গুরুতর ক্ষুধার ইঙ্গিত দেয়।
২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশের জিএইচআই স্কোরে অগ্রগতি হচ্ছে। ২০১২ সালে বাংলাদেশের স্কোর ‘গুরুতর’ পর্যায় ২৮ দশমিক ৬ পয়েন্টে থাকলেও, ২০২১ সালে এ স্কোর ১৯ দশমিক ১ পয়েন্টে নেমে এসেছে যা সহনীয় পর্যায় বলে ধরা হয়।