শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত (একদিনে) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো এক হাজার ১৫৮ জনে। এসময় নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে আরও ২০৪৭ জন। শুক্রবার এক হাজার ৬৭৩ জন রোগী শনাক্তের সংবাদ দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

শনিবার (১৪ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, এদিন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৪৬০ জন ও ঢাকার বাইরের এক হাজার ৫৮৭ জন। মৃতদের মধ্যে ৫ জন ঢাকার, ৫ জন ঢাকার বাইরের বাসিন্দা।

চলতি বছরের পহেলা জানুয়ারি থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৩৭ হাজার ২৫১ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৯১ হাজার ৪৬৮ জন। ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন এক লাখ ৪৫ হাজার ৭৮৩ জন। বর্তমানে ঢাকায় ভর্তি রোগীর সংখ্যা দুই হাজার ৫০৯ এবং ঢাকার বাইরে পাঁচ হাজার ৮২৭ জন।

একই সময়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন দুই লাখ ২৭ হাজার ৭৫৭ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৮৮ হাজার ২৩৭ জন এবং ঢাকার বাইরের এক লাখ ৩৯ হাজার ৫২০ জন।

ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার হার ৯৬ শতাংশ। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৮ হাজার ৩৩৬ জন। ভর্তির হার চার শতাংশ এবং মৃত্যুর হার শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ।

২০২২ সালে ডেঙ্গুতে দেশে ২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ডেঙ্গুতে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে ওই বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।

২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে এডিস মশাবাহী এই রোগে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিলো।