ঢাকা ০৬:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ভোটার আসলেই নির্বাচন সফল: সিইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৪২৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে। কোনো দল আসুক না আসুক, ভোটার আসলেই নির্বাচন সফল হবে।

আজ (শনিবার) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি) এবং মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আজ শনিবার সকালে এই প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন তিনি।

এ সময় দলীয় চিন্তাভাবনার ঊর্ধ্বে থেকে ডিসি-এসপিদের নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে আহ্বান জানান হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, ‘আগের নির্বাচনগুলোতে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনেক সহযোগিতা পেয়েছি। সেজন্য আপনাদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।’

হাবিবুল আউয়াল বলেন, সামনের নির্বাচনেও আপনারা দলীয় চিন্তাভাবনার উর্ধ্বে কাজ করে জনগণের আস্থা অর্জন করবেন।

‘জনগণকে দেখাতে হবে, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে, মানুষ ভোট দিতে পেরেছে। এটুকু দেখাতে পারলে.. কে আসলো কে আসলো না, মানুষ ভোট দিতে পারলেই আমি মনে করি আপেক্ষিকভাবে বড় সফলতা হয়ে যাবে।’

প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উদ্দেশে সিইসি আরও বলেন, ‘আপনাদের সহায়তায়, আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় আগামী নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে এটিই প্রত্যাশা।’

দুই দফায় মাঠ প্রশাসনের মোট ২২০জন কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে দুটি করে চারটি ব্যাচের দুই দিনের আবাসিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রতি ধাপে ৩২ জন ডিসি, ৩২ এসপি, ৪ জন করে বিভাগীয় কমিশনার ও মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার এবং আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তারাসহ অন্যরা প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বেশ কিছু আইন ও বিধিমালার সংস্কার হয়েছে। এ ছাড়া মাঠ কর্মকর্তারাও নতুন। তাই নির্বাচনের সামগ্রিক আইনকানুনের ধারণা দিতেই মূলত এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি।

তিনি বলেন, প্রায় ১২শ নির্বাচন আমরা করেছি। সেখানে প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর যে সহযোগিতা পেয়েছি, এতে সত্যিই কৃতজ্ঞ। দৃঢ় প্রত্যাশা থাকবে আসন্ন জাতীয সংসদ নির্বাচনে আপনারা রাষ্ট্রের, সরকারের কর্মচারী হিসেবে দলীয় চিন্তা-ভাবনার ঊর্ধ্ব থেকে পক্ষপাতহীন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করে জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হবে। কোনো অনিয়ম, সহিংসতা হবে না শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন— নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা, মো.আলমগীর ও মো. আনিছুর রহমান, ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভোটার আসলেই নির্বাচন সফল: সিইসি

আপডেট সময় : ০৭:৫৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৩

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে। কোনো দল আসুক না আসুক, ভোটার আসলেই নির্বাচন সফল হবে।

আজ (শনিবার) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি) এবং মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আজ শনিবার সকালে এই প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন তিনি।

এ সময় দলীয় চিন্তাভাবনার ঊর্ধ্বে থেকে ডিসি-এসপিদের নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে আহ্বান জানান হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, ‘আগের নির্বাচনগুলোতে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনেক সহযোগিতা পেয়েছি। সেজন্য আপনাদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।’

হাবিবুল আউয়াল বলেন, সামনের নির্বাচনেও আপনারা দলীয় চিন্তাভাবনার উর্ধ্বে কাজ করে জনগণের আস্থা অর্জন করবেন।

‘জনগণকে দেখাতে হবে, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে, মানুষ ভোট দিতে পেরেছে। এটুকু দেখাতে পারলে.. কে আসলো কে আসলো না, মানুষ ভোট দিতে পারলেই আমি মনে করি আপেক্ষিকভাবে বড় সফলতা হয়ে যাবে।’

প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উদ্দেশে সিইসি আরও বলেন, ‘আপনাদের সহায়তায়, আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় আগামী নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে এটিই প্রত্যাশা।’

দুই দফায় মাঠ প্রশাসনের মোট ২২০জন কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে দুটি করে চারটি ব্যাচের দুই দিনের আবাসিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রতি ধাপে ৩২ জন ডিসি, ৩২ এসপি, ৪ জন করে বিভাগীয় কমিশনার ও মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার এবং আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তারাসহ অন্যরা প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বেশ কিছু আইন ও বিধিমালার সংস্কার হয়েছে। এ ছাড়া মাঠ কর্মকর্তারাও নতুন। তাই নির্বাচনের সামগ্রিক আইনকানুনের ধারণা দিতেই মূলত এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি।

তিনি বলেন, প্রায় ১২শ নির্বাচন আমরা করেছি। সেখানে প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর যে সহযোগিতা পেয়েছি, এতে সত্যিই কৃতজ্ঞ। দৃঢ় প্রত্যাশা থাকবে আসন্ন জাতীয সংসদ নির্বাচনে আপনারা রাষ্ট্রের, সরকারের কর্মচারী হিসেবে দলীয় চিন্তা-ভাবনার ঊর্ধ্ব থেকে পক্ষপাতহীন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করে জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হবে। কোনো অনিয়ম, সহিংসতা হবে না শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন— নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা, মো.আলমগীর ও মো. আনিছুর রহমান, ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।