এখনও মুখের বুলি ফোটেনি, জানেনা যুদ্ধ সংঘাতের মানে তবুও রকেট গ্রেনেডের আঘাতে প্রাণ যাচ্ছে নিষ্পাপ সেই শিশুদের। গাজায় প্রতি মুহূর্তে ক্ষত-বিক্ষত হচ্ছে বহু শিশু, যন্ত্রণায় ছটফট করছে হাসপাতালের বিছানায়। মিসাইলের আঘাতে শরীরের অঙ্গ হারিয়ে মৃত্যুর সাথে লড়ছে। শরীর থেকে অঝরে রক্ত ঝরলেও, দেখার নেই কেউ। কাকে রেখে কাকে বাঁচাবেন, কাকেই বা চিকিৎসা দেবেন সে সিদ্ধান্ত নিতেই হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসা কর্মীরা।
ইসরায়েলে হামলায় এ পর্যন্ত প্রাণ গেছে কয়েকশ শিশুর। মিসাইলের আঘাতে ধসে পড়া ভবনের নিচে ঠিক কত শিশুর মরদেহ আছে তা এখনোও অজানা। গৃহহীন হয়ে খোলা আকাশের নিচে, কয়েকলাখ কোমলমতি প্রাণ। তথ্য বলছে, ইসরায়েলের নিপীড়নের শিকার গাজার অর্ধেক বাসিন্দার বয়সই ১৮ বছরের নিচে।
এদিকে পালিয়েও মিলছে না রেহাই, আল্টিমেটাম জারির পর গাজার ভিটে মাটি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে যাচ্ছিল বাসিন্দাদের একটি দল। কিন্তু তাদের গাড়িতেই ছোড়া হয় মিসাইল। মুহূর্তেই প্রাণ যায় নারী শিশুসহ অন্তত ৭০ জনের।
গত শনিবারের অভিযানে ইসরায়েলের কিব্বুত থেকে বেশ কয়েকজন শিশুকে জিম্মি করেছে, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসও। ইসরায়েলের দাবি, এসব শিশুদের জবাই করে হত্যা করেছে গেরিলারা। তবে এমন তথ্য মিথ্যা দাবি করে, ভিডিও প্রকাশ করেছে হামাস। যেখানে অত্যাচার নয়, বরং শিশুদের যত্নআত্তি আর তাদের সাথে খেলাধুলা করতে দেখা যায় হামাস যোদ্ধাদের।