ঢাকা ০৬:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ঘুম আসছে না..??

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৪৪০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইমতিয়াজ সাহেব একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। বাসা আর অফিসের কাজ মিলে সারাদিন মোটামুটি ব্যস্ত সময় কাটান। কাজ–কর্ম শেষে যখন রাতে ঘুমাতে যান, তখন তাঁর ঘুম আসে না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিছানায় চুপচাপ শুয়ে থাকেন। দীর্ঘক্ষণ এপাশ ওপাশ চেষ্টা করেও ঘুমাতে পারেন না। এই সমস্যা কেবলমাত্র এক দিন, দুই দিন, তিন দিনের না। দীর্ঘদিন ধরে তাঁর এই সমস্যা। দেখা যায় রাতে ঠিকঠাক ঘুম না হওয়ার কারণে পরের দিন কাজ–কর্মে তার প্রভাব পড়ে।

পর্যাপ্ত ঘুম আমাদের শরীরের জন্য বেশি প্রয়োজনীয়। ঠিকঠাক ঘুম না হলে শরীরে দেখা দিতে পারে নানা জটিলতা। অনিদ্রা থেকে অন্যান্য অসুখও শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। ঘুম না হওয়ার সমস্যাকে বলা হয় অনিদ্রা বা ইনসোমনিয়া। এই অনিদ্রা থেকে শরীরে ক্লান্তি দেখা দেখা দেয়। এতে কাজে–কর্মে মন বসে না। এমনকি মেজাজও খিটখিটে হয়ে যায়।

অনেকে ঘুম কম হলে ঘুমের ওষুধ খেয়ে থাকেন। এটি স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। ঘুমের ওষুধ খেতে খেতে এক সময় তা অভ্যাসে পরিণত হয়। তাই ঘুমের সমস্যার সমাধানে ভুলেও চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঘুমের ওষুধ সেবন করবেন না। আসুন জেনে নিন অনিদ্রা দূর করার কিছু উপায়:

১. ঘুমানোর আগে নিজেকে মুঠোফোন ও ল্যাপটপ থেকে দূরে রাখুন। শোবার ঘর ও বিছানা শুধু ঘুমানোর জন্যই ব্যবহার করুন। বিছানায় বসে ল্যাপটপে কাজ করা, মুঠোফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকা, গেমস খেলা থেকে বিরত থাকুন।

২. মোটেও রাত জেগে কাজ করবেন না। এতে আপনি স্বাস্থ্যজনিত সমস্যায় পড়বেন। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করে ঘুমাতে যান। পাশাপাশি পরের দিনও একই সময়ে ঘুম থেকে উঠুন।

৩. ঘুমের আগে হালকা হালকা গরম পানিতে গোসল করতে পারেন। এ ছাড়া ঘুম না এলে বই পড়তে পারেন এবং মৃদু শব্দে গান শুনতে পারেন।

৪. অনিদ্রা দূর করতে গরম দুধের কোনো বিকল্প নেই। ট্রিপটোফ্যান নামে এক ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে গরম দুধে, যা ঘুম আনতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

৫. ঘুমানোর অনন্ত তিন থেকে চার ঘণ্টা আগে শরীরচর্চা এবং ধূমপান করবেন না। ঘুমানোর দুই ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নিন। ভরপেটে ঘুমাতে যাবেন না।

৬. সকালে দেরি করে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস পরিহার করুন। ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি উঠে শরীরচর্চা করুন। যাঁদের ঘুমের সমস্যা আছে, তাঁরা দিনের বেলা বা দুপুরের দিকে ঘুম থেকে দূরে থাকুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ঘুম আসছে না..??

আপডেট সময় : ১১:০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৩

ইমতিয়াজ সাহেব একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। বাসা আর অফিসের কাজ মিলে সারাদিন মোটামুটি ব্যস্ত সময় কাটান। কাজ–কর্ম শেষে যখন রাতে ঘুমাতে যান, তখন তাঁর ঘুম আসে না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিছানায় চুপচাপ শুয়ে থাকেন। দীর্ঘক্ষণ এপাশ ওপাশ চেষ্টা করেও ঘুমাতে পারেন না। এই সমস্যা কেবলমাত্র এক দিন, দুই দিন, তিন দিনের না। দীর্ঘদিন ধরে তাঁর এই সমস্যা। দেখা যায় রাতে ঠিকঠাক ঘুম না হওয়ার কারণে পরের দিন কাজ–কর্মে তার প্রভাব পড়ে।

পর্যাপ্ত ঘুম আমাদের শরীরের জন্য বেশি প্রয়োজনীয়। ঠিকঠাক ঘুম না হলে শরীরে দেখা দিতে পারে নানা জটিলতা। অনিদ্রা থেকে অন্যান্য অসুখও শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। ঘুম না হওয়ার সমস্যাকে বলা হয় অনিদ্রা বা ইনসোমনিয়া। এই অনিদ্রা থেকে শরীরে ক্লান্তি দেখা দেখা দেয়। এতে কাজে–কর্মে মন বসে না। এমনকি মেজাজও খিটখিটে হয়ে যায়।

অনেকে ঘুম কম হলে ঘুমের ওষুধ খেয়ে থাকেন। এটি স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। ঘুমের ওষুধ খেতে খেতে এক সময় তা অভ্যাসে পরিণত হয়। তাই ঘুমের সমস্যার সমাধানে ভুলেও চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঘুমের ওষুধ সেবন করবেন না। আসুন জেনে নিন অনিদ্রা দূর করার কিছু উপায়:

১. ঘুমানোর আগে নিজেকে মুঠোফোন ও ল্যাপটপ থেকে দূরে রাখুন। শোবার ঘর ও বিছানা শুধু ঘুমানোর জন্যই ব্যবহার করুন। বিছানায় বসে ল্যাপটপে কাজ করা, মুঠোফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকা, গেমস খেলা থেকে বিরত থাকুন।

২. মোটেও রাত জেগে কাজ করবেন না। এতে আপনি স্বাস্থ্যজনিত সমস্যায় পড়বেন। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করে ঘুমাতে যান। পাশাপাশি পরের দিনও একই সময়ে ঘুম থেকে উঠুন।

৩. ঘুমের আগে হালকা হালকা গরম পানিতে গোসল করতে পারেন। এ ছাড়া ঘুম না এলে বই পড়তে পারেন এবং মৃদু শব্দে গান শুনতে পারেন।

৪. অনিদ্রা দূর করতে গরম দুধের কোনো বিকল্প নেই। ট্রিপটোফ্যান নামে এক ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে গরম দুধে, যা ঘুম আনতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

৫. ঘুমানোর অনন্ত তিন থেকে চার ঘণ্টা আগে শরীরচর্চা এবং ধূমপান করবেন না। ঘুমানোর দুই ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নিন। ভরপেটে ঘুমাতে যাবেন না।

৬. সকালে দেরি করে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস পরিহার করুন। ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি উঠে শরীরচর্চা করুন। যাঁদের ঘুমের সমস্যা আছে, তাঁরা দিনের বেলা বা দুপুরের দিকে ঘুম থেকে দূরে থাকুন।