০৩:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘ভোট চোরদের ক্ষমতায় আনবে না জনগণ’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ ভোট চোরদের কখনোই আর ক্ষমতায় আনবে না।’ একমাত্র আওয়ামী লীগই দেশে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন বিএনপি দেশের উন্নয়নে খুশি হয় না বলেই নির্বাচন সামনে রেখে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে।

বিকেলে (১৪ই অক্টোবর) রাজধানীর কাওলায় আওয়ামী লীগের জনসভার এসব কথা বলেন, দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘খালেদা জিয়া ৯৬ এ ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসেছিলো। এদেশের মানুষ ভোট চোরকে ক্ষমতায় থাকতে দেয়নি। বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বন্দুকের নলের মুখে ক্ষমতায় বসেছিলো। সামরিক বেসামরিক মানুষকে হত্যা করেছে। বিএনপির জন্মই হত্যার মধ্য দিয়ে হয়েছে।’

বহু সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত দেশে চক্রান্ত-যড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এটাই তাদের কাজ। মানুষের ও দেশের উন্নয়ন তারা দেখতে পারেনা। ক্ষমতায় থেকে জনগণের সম্পদ লুট করেছে, মানুষ হত্যা করেছে।’

তিনি বলেন, ’৭৫ এর পর ২১ বছর যারা ক্ষমতায় ছিল– জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া এবং ২০০১ থেকে ২০০৮ খালেদা জিয়া থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, এই ২৯ বছর যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা দেশের জন্য কি করেছে? মানুষের জন্য কি করেছে? মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কি করেছে? সেটা একবার চিন্তা করে দেখবেন। অনেকে বড় বড় কথা বলেছে, দেশের মানুষের জন্য তারা কি করেছে?

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ’৯৬ সালে যখন সরকার গঠন করি, বিদ্যুৎ ছিল মাত্র ১৬০০ মেগাওয়াট। এই বিদ্যুতের জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে সে কানসাটে মানুষকে গুলিকে হত্যা করে। ঢাকা শহরে পানির অভাব, বিদ্যুতের অভাব ছিল। মানুষ বিদ্যুৎ ও পানির জন্য আন্দোলন করেছিল। বিএনপির এক নেতাকে পাবলিক ধাওয়া দিয়েছিল, নামই হয়ে গিয়েছিল দৌড় সালাউদ্দিন। পাবলিকের ধাওয়া খেয়ে সে পালিয়েছিল। খালেদা জিয়া চাহিদা পূরণ করতে পারেনি।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ইস্যুতে অনশনের নামে বিএনপি নাটক করছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার নির্দেশে দেশে অগ্নি সন্ত্রাস হয়েছে। বিএনপি দেশের ক্ষতি করতে পারে, ধংস করতে পারে, ভালো কিছু করতে পারেনা। খুনির দল বিএনপি মানুষের কল্যাণের কাজ করতে পারেনা। তারা জঙ্গী লালন করতে পারে। খালেদা জিয়া বাংলাদেশ চিনেনা, মনে মনে পাকিস্তানে আছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘খালেদা জিয়া বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। জাতির পিতার হত্যাকারীকে ক্ষমতায় বসিয়েছিলো। এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে তাদের অবদান নেই। ভোট, মানুষের ভাগ্য নিয়ে খেলা তাদের কাজ’। গণতন্ত্রে যারা বিশ্বাস করে তারা ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়, বর্তমান সরকার তা প্রমাণ করেছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা বলেন, তার (তারেক রহমান) মা এত অসুস্থ, বিএনপি নেতারা অনশন করে। আমার প্রশ্ন বিএনপি নেতাদের কাছে, ছেলে কেন মাকে দেখতে আসে না। এটা কেমন ছেলে। আপনারা অনশন করেন, ছেলে মাকে দেখতে আসে না। মা (খালেদা জিয়া) এত অসুস্থ মরে মরে। তিনি নাকি যখন তখন মরে যাবেন। বয়সও হয়েছে। অসুস্থও বটে। তারপরেও মাকে দেখতে আসে না কেন। আমি তো বলবো মাকে দেখতে আসুক।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার বোন আমার কাছে এসে কান্নাকাটি করল। আমি সাজা স্থগিত করলাম। এখন নাকি তারা খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার জন্য অনশন করছে। অনশনের আগে সকালে কি দিয়ে নাস্তা করে এসেছে? অনশন শেষে রাতে কি দিয়ে ভাত খাবে? নাটকের একটা সীমা থাকে। কয় ঘণ্টার অনশন?

‘ভোট চোরদের ক্ষমতায় আনবে না জনগণ’

আপডেট : ১১:৫৮:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ ভোট চোরদের কখনোই আর ক্ষমতায় আনবে না।’ একমাত্র আওয়ামী লীগই দেশে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন বিএনপি দেশের উন্নয়নে খুশি হয় না বলেই নির্বাচন সামনে রেখে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে।

বিকেলে (১৪ই অক্টোবর) রাজধানীর কাওলায় আওয়ামী লীগের জনসভার এসব কথা বলেন, দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘খালেদা জিয়া ৯৬ এ ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসেছিলো। এদেশের মানুষ ভোট চোরকে ক্ষমতায় থাকতে দেয়নি। বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বন্দুকের নলের মুখে ক্ষমতায় বসেছিলো। সামরিক বেসামরিক মানুষকে হত্যা করেছে। বিএনপির জন্মই হত্যার মধ্য দিয়ে হয়েছে।’

বহু সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত দেশে চক্রান্ত-যড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এটাই তাদের কাজ। মানুষের ও দেশের উন্নয়ন তারা দেখতে পারেনা। ক্ষমতায় থেকে জনগণের সম্পদ লুট করেছে, মানুষ হত্যা করেছে।’

তিনি বলেন, ’৭৫ এর পর ২১ বছর যারা ক্ষমতায় ছিল– জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া এবং ২০০১ থেকে ২০০৮ খালেদা জিয়া থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, এই ২৯ বছর যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা দেশের জন্য কি করেছে? মানুষের জন্য কি করেছে? মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কি করেছে? সেটা একবার চিন্তা করে দেখবেন। অনেকে বড় বড় কথা বলেছে, দেশের মানুষের জন্য তারা কি করেছে?

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ’৯৬ সালে যখন সরকার গঠন করি, বিদ্যুৎ ছিল মাত্র ১৬০০ মেগাওয়াট। এই বিদ্যুতের জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে সে কানসাটে মানুষকে গুলিকে হত্যা করে। ঢাকা শহরে পানির অভাব, বিদ্যুতের অভাব ছিল। মানুষ বিদ্যুৎ ও পানির জন্য আন্দোলন করেছিল। বিএনপির এক নেতাকে পাবলিক ধাওয়া দিয়েছিল, নামই হয়ে গিয়েছিল দৌড় সালাউদ্দিন। পাবলিকের ধাওয়া খেয়ে সে পালিয়েছিল। খালেদা জিয়া চাহিদা পূরণ করতে পারেনি।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ইস্যুতে অনশনের নামে বিএনপি নাটক করছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার নির্দেশে দেশে অগ্নি সন্ত্রাস হয়েছে। বিএনপি দেশের ক্ষতি করতে পারে, ধংস করতে পারে, ভালো কিছু করতে পারেনা। খুনির দল বিএনপি মানুষের কল্যাণের কাজ করতে পারেনা। তারা জঙ্গী লালন করতে পারে। খালেদা জিয়া বাংলাদেশ চিনেনা, মনে মনে পাকিস্তানে আছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘খালেদা জিয়া বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। জাতির পিতার হত্যাকারীকে ক্ষমতায় বসিয়েছিলো। এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে তাদের অবদান নেই। ভোট, মানুষের ভাগ্য নিয়ে খেলা তাদের কাজ’। গণতন্ত্রে যারা বিশ্বাস করে তারা ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়, বর্তমান সরকার তা প্রমাণ করেছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা বলেন, তার (তারেক রহমান) মা এত অসুস্থ, বিএনপি নেতারা অনশন করে। আমার প্রশ্ন বিএনপি নেতাদের কাছে, ছেলে কেন মাকে দেখতে আসে না। এটা কেমন ছেলে। আপনারা অনশন করেন, ছেলে মাকে দেখতে আসে না। মা (খালেদা জিয়া) এত অসুস্থ মরে মরে। তিনি নাকি যখন তখন মরে যাবেন। বয়সও হয়েছে। অসুস্থও বটে। তারপরেও মাকে দেখতে আসে না কেন। আমি তো বলবো মাকে দেখতে আসুক।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার বোন আমার কাছে এসে কান্নাকাটি করল। আমি সাজা স্থগিত করলাম। এখন নাকি তারা খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার জন্য অনশন করছে। অনশনের আগে সকালে কি দিয়ে নাস্তা করে এসেছে? অনশন শেষে রাতে কি দিয়ে ভাত খাবে? নাটকের একটা সীমা থাকে। কয় ঘণ্টার অনশন?